– আশ্চর্য! এত ক্ষেপে যাচ্ছো কেন?
– অস্বাভাবিক লাগছে? তুমি একটা ছেলের হাত ধরে বসে আছো। আমি ক্ষেপতে ও পারবো না।
– না, পারো না। উনি জ্যোতিষি।
কথাটা শুনে বালক বয়ফ্রেন্ড হিমেলকে কষিয়ে এক চড় বসিয়ে দিলো। হিমেল অবস্থার আকস্মিকতা বুঝতে পারলো না। তাই নিজের গালে হাত দিয়ে -ধ্বংস হয়ে যাবি বললো। প্রতিবাদ করলো লুবনা।
– তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে?
– না।
– তবে উনাকে চড় মারলে কেন?
– উনি যদি জ্যোতিষিই হবে তাহলে সকালে বের হওয়ার সময় নিজের হাতটা দেখে বের হয় নি কেন? যে জ্যোতিষ নিজের ভালোই করতে পারে না। অন্যের ভালো করবে কি করে?
– বাজে বকবে না। ইউ আর সিক। তোমার সাথে আমি আর নেই।
হিমেল এইবার ঠান্ডা গলায় বললো – আমি আগেই বলছিলাম। ছেলেটা ভালো না। হক মাউলা।” বালিকার বয়ফ্রেন্ড আরো ক্ষেপে গিয়ে কয়েকটা বাংলা গালি শুনিয়ে দিলো। বালকের বাজে গালি শুনে বালিকা ছিঃ ছিঃ করতে করতে হাঁটা ধরলো। এতক্ষনে বয়ফ্রেন্ডের বোধ ফিরলো। পাখি চলে যাচ্ছে। পাখিকে আটকানোর জন্য বালক তার যাবতীয় ইমোশনাল বানী ছাড়তে ছাড়তে বালিকার পিছন পিছন গেল। হিমেল ভবিষ্যত বিপদের আন্দাজ করে সেখান থেকে উল্টা দিকে হা করে হাওয়া খেতে চলতে লাগলো।
তার মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি ঘুরছে। পড়াশোনা শেষ। চাকরি হচ্ছে না। বেকার সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা দর্কার। কয়েক মাস হাওয়া বাবা সেজে বালিকাদের নরম, মোলায়েম হাত দেখা খারাপ হয় না। যেই ভাবনা সেই কাজ। বাস ধরে নীল ক্ষেত গিয়ে হাজির। বই দোকানের আশপাশে ঘুরতে দেখে জৈনিক তুখোড় ব্যবসায়ী বলিলো :
– মামা কি লাগবে?
– কি আছে?
– সব। প্রেমের, রাজনৈতিক, দর্শনের ঐগুলাও আছে।
– জ্যোতিষ বিদ্যার উপর কিছু আছে?
– আছে। মামা ঐগুলা লাগবে না?
– ধুর মেয়া! যেটা চাইছি ঐটা দেন।
টানা দুইদিন জ্যোতিষ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে হিমেল নিজের মধ্যে একটা জ্যোতিষ ভাব উপলব্ধি করতে পারলো। এখন দর্কার একটা গেটআপ। বর্তমানে গেটআপ ছাড়া কিছু না। লেংটা বাবা এক্ষেত্রে সুবিধায় ছিলো। লেংটা থাকতো। বাড়তি কোন খরচ ছিলো না। জুতা বাবার শুধু জুতা লাগতো। তবে হিমেল যেহেতু বিখ্যাত ধাপ্পাবাজ হাওয়া বাবা হইতে চায় সেহেতু তার পিকুউলিয়ার গেটআপ আবশ্যক।এক্ষেত্রে বুদ্ধির জন্য তার বন্ধু শাকিলের সাথে আলাপ করতে গেল।
– বন্ধু খবর কি?
– চলে ডাইলে চাইলে। তোর?
– চলবে কয়েকদিন পর। জাস্ট তোর হেল্প লাগবে।
– বড় সড় আইডিয়া আসছে নাকি?
– হুম। তোকে যেটা করতে হবে কয়েকজন বৃদ্ধি মহিলা জোগাড় করতে হবে। আর চ্যাংটা কয়েকটা পোলাপাইন।
– ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। তা এগুলা দিয়ে কি হবে?
– সব সময় কথা বেশী। কাজের…..
৬টি মন্তব্য
ইঞ্জা
:D)
নীরা সাদীয়া
দেখা যাক কি ঘটান হাওয়াবাবা।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম হাওয়া বাবা…!
অলিভার
বয়ফ্রেন্ডের রিএ্যাকশনটা একটু অতিরিক্ত মনে হয়েছে। আরও দুই একটা ডায়লগ পরে হলে অবশ্য ব্যাপারটা স্বাভাবিকই মনে হতো। তবে হাওয়া বাবা যে পিকুলিয়ার কিছু একটা করতে যাচ্ছে তার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এখুনি।
দেখা যাক সামনের পর্বে কি হয় 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আগে পর্ব-১ পড়ে আসি…..
জিসান শা ইকরাম
উপস্থাপনায় আপনি সব সময়েই অতি ভাল 🙂
ভাল লাগছে,