পূর্ণালো এবং মায়া ভরা শীতের রাত ,কালপুরুষ পূর্বাকাশে চিৎ হয়ে পড়ে আছে শিকারের আশায়;সপ্তর্ষিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।আজও সে আমাকে দেখা দেবে।ঠিক দেখা দেবে বলাটা ঠিক হচ্ছে না।কেননা আমি তাকে দেখতে পাই না।দেখতে পাই, তার সুন্দর ভেজা দুপায়ের ছাপ।আর থাকে কামরাঙ্গা ফুলের ঘ্রাণ।যখন সে আসে তখন কামরাঙ্গা ফুলের ঘ্রাণে আমার আশপাশ মৌ মৌ করতে থাকে।সেই ঘ্রাণে আমি ঘোরে প্রবেশ করি।
ভেজা দুপায়ের ছাপ,কেননা পানিতে তার বসবাস।তার ভেজা পা এবং ফুলের ঘ্রাণ তার উপস্থিতির প্রমাণ হিসেবে থাকে।
তার সাথে আমার দেখা হয় শুধু রাতে।যখন সবাই ‘প্রথম মৃত্যুর’ মাঝে বিলিন থাকে।আমি ঘুমাতে পারি না।আমি তার আশায় জেগে থাকি।সে কে,তা আমাকে কখনোই বলে নি।শুধু বলেছে সে এক সত্তা যে আমাকে ভালবাসে।আমিও কি তাকে ভালবাসি!? বোধ করি বাসি।কেননা প্রতি ক্ষণে আমি তার জন্য অপেক্ষা করে থাকি।কিন্তু যার পরিচয় এক জোড়া ভেজা পায়ের ছাপ ও কামরাঙ্গা ফুলের ঘ্রাণের মাঝে সীমাবদ্ধ,তাকে কিভাবে ভালবাসা যায়!!??আমি কি তাহলে অসুস্থ???
ঐতো!!ঘ্রাণ পাচ্ছি।তার ঘ্রাণ পাচ্ছি।সে এসেছে! সে এসেছে!
৭টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
ছাপ দেখে বোঝা যাচ্ছে পা দুটোই, তাহলে ভুত প্রেত নয়…ভালোবাসা শুদ্ধ সবসময়ই …জেগে থাকুন, একদিন সে ধরা পরবেই…
ভালো লেগেছে লিখা 🙂
আদিব আদ্নান
এক জোড়া ভেজা পায়ের ছাপ ও কামরাঙ্গা ফুলের ঘ্রাণের মাঝে ভালোবাসা
বাঁচিয়ে রাখা কঠিন বৈকি ।
লেখাটি কিন্তু ভালই লেগেছে ।
খসড়া
পাচ্ছি।তার ঘ্রাণ পাচ্ছি।সে এসেছে! সে আসবেই।
শিশির কনা
সুন্দর লিখেছেন ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
বাহ! বেশ লিখেছেন।
নীলকন্ঠ জয়
সে না এসে যাবে কোথায়? প্রেমিক হৃদয় ভুল করে না। সে এসেছে।
জিসান শা ইকরাম
বাহ! বেশ সুন্দর ।