সে এসেছিলো গতরাতে
যাকে আহবান করে দুইদিন আগেও কবিতা লিখেছিলাম।
যার অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা তৃষ্ণার্থ হৃদয়ে
হাহাকার চিত্তে প্রহর গুনেছি।
যাকে কামনা করেছি প্রতিটি নি:শ্বাসে প্রশ্বাসে।
যার অনুপস্থিতিতে শরীর-মন-দেহে পানিশূন্যতা
বিরাজ করার দ্বারপ্রান্তে।
সে এসেছিলো গতরাতে,
গভীর রাতে যখন আমি অঘুরে ঘুমুচ্ছিলাম।
তার নুপুরের রিমঝিম সুরেলা আওয়াজ আমার
আধজাগা কানে এসেছিলো।
তার আচল দোলানো পত-পত শব্দ আমি শুনেছিলাম বটে।
সে আওয়াজে কোন কর্কশতা ছিলোনা,
ছিলো মায়াবী সুরেলা ঘুম পাড়ানী গানের
নেশাতুর তরঙ্গমালা।
আমি এমনিতে ঘুমকাতুরে মানুষ,
তার আগমনে আমার ঘুমের ঘনত্ব আরো বেড়েছিলো।
সে আমাকে ঘুম থেকে জাগাতে পারেনি।
তার নাচনের আওয়াজ, গানের কণ্ঠ, আচলের দোলাচল,
কর্ণের দুল চুরির ঝন ঝন আওয়াজ,
নোলকের ঝলকানি চমক আমাকে যদি জাগাতে না পারে
সে কি আমার দোষ ?
>
আসুন দু’দিন আগে তাকে আহবান করে যে কবিতাখানি লিখেছিলাম সেটা একটু দেখি।
>
এসো হে বৃষ্টি:
এসো হে বৃষ্টি
টুপ রিম ঝিম,
বাতাসের দোলাচলে
করে দাও হিম।
রোদ্রে পোড়ে যায় চাম
কঁচি থেকে পেকে যায় আম।
তরমুজ খেতে লাগে
ভারী মিষ্টি,
এসো হে বৃষ্টি, এসো বৃষ্টি।
১৫টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
দেশে নাকি মারাত্মক বৃষ্টি হচ্ছে। কৃষকদের মাথায় হাত। চাল-আলুর দাম অনেক বেশি বেড়েছে। আর আপনি বৃষ্টিকে আহবান করছেন আবার?
তবে কবিতা ভালো হয়েছে। তা নইলে যে কি হতো! 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
স্ত্রী বাপের বাড়ি গেলে স্বামী বেচারার রান্নাঘরে যে অবস্থা হয় ঠিক সেরকম খরার সময় বৃষ্টি না হলে প্রত্যেকটি মানুষের একই অবস্থা হয়।
তাই অভিমানী বৃষ্টিকে আহবান করছিলাম আসার জন্য।
ভাগ্য ভালো কবিতা আপনার পছন্দ হয়েছিলো। না হলে কী যে হতো বুঝতে পারছি না…. ;?
সুন্দর মন্তব্যের জন্য প্লাসিত ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
(y)
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহা। এই মন্তব্যের পর কি বলা উচিৎ সেটা বুঝতে পারছিনা। তবে খুব মজা পেয়েছি। 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
মজা পেয়েছেন জেনে খুশি হলাম। -{@
রুম্পা রুমানা
আপনার ডাকে আজকেও আসবে মনে হচ্ছে !
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বৃষ্টি আল্লাহর রহমত এটা আল্লাহ নিজেই বলেছেন।
ক্ষতিকর যা তা আমাদের পাপের ফল।
আচ্ছা, আপনি কি সেই রুম্মান? ;?
মিষ্টি জিন
এমন করে বৃষ্টিকে ডাকলে তো দেশে বন্যা হয়ে যাবে।
কবিতা অনেক ভালো হয়েছে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বৃষ্টি আল্লাহর রহমত। দেশের মাটি উর্বর হবার জন্য বন্যারও দরকার আছে।
অতিবৃষ্টি যদিও ক্ষতিকর, সেটা যাতে না হয় তার জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন। -{@
মৌনতা রিতু
ঘুমকাতুরে মানুষদের জন্য বৃষ্টি দরকার। এ কথা সত্যি।
কিন্তু এই হঠাৎ অসময়ের বৃষ্টি ভাসিয়ে নিবে সব।
তবু কেটে যাক কারো একাকিত্ব এ বৃষ্টিতে।
কবিতা অনেক ভাল হয়েছে। শুভকামনা রইলো।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
এটা ঠিক যে অতিবৃষ্টি ক্ষতির কারণ। তবুও বৃষ্টি ছাড়া আমাদের চলে না। বৃষ্টি আল্লাহর রহমত।
পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। -{@
ইঞ্জা
এই সময় বৃষ্টি আমাদের ক্ষণিকের সিক্ত পরশ ভুলিয়ে দিলেও, দেশের চাষিদের জন্য কিন্তু খারাপ সময়।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভালো খারাপ দুটিই আছে। কারো জন্য ভালো, কারো জন্য খারাপ। তবে আল্লাহর উপর ভসরা করা উচিত। কারণ বৃষ্টি দেয়া না দেয়া আল্লাহর ইচ্ছ।
পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। -{@
ইঞ্জা
আল্লাহ্ ভরসা।
শুন্য শুন্যালয়
অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি এগুলো মানুষের তৈরি বিপর্যয়ের ফল। আল্লাহর রহমত যদি বলেন তবে বলবো আল্লাহ্ গরীবদের রহমত করেন না।
বৃষ্টি আপনার ঘুম ভাঙ্গাতে না পারলে কী হবে, কবিদের ঘুম ঠিকই ভাঙ্গায়। আপনি আবার কবি নয়তো? 🙂
ভালো লেগেছে কবিতা বাহার ভাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
স্কুলে পড়েছিলাম বন্যার ফলে ফসলী জমি গুলো উর্বর হয়। ফলে ফলন ভালো হয়। সাময়িক কষ্ট হয়তো হয়।
তবে অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প, প্রাকৃতিক দূর্যোগ এগুলো অনেক সময় মানুষের পাপের কারণে এসে থাকে।
না, আমি কিন্তু কবি নই! -:- -:-
তবু কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন। -{@