২০১০ সালের আজকের মাসের শুক্রবার…
বাড়ী তিস্তা নদীর পাশে হওয়ায় সব সময় নদীতেই গোসল করেছিলাম সব বন্ধুরা মিলে।
একবার নদীতে ড্রেজিং করেছিল বাঁলু তুলে অন্য একটি বড় পুকুর ভরাট করার জন্য । এত্ত বাঁলু তুলেছিল যে__সেই জায়গাটা এটা বিশাল গভীর এ পরিনত হয়েছিল।
আমরা সেখানে গোঁসল করতাম…সেখানে সবাইও গোঁসলও করত।
সবাই প্রতিদিন গর্তের মাঝখানে গিয়ে বালু তোলার জন্য ডুব দেয়…কিন্তু কেহই পানিতে ডুঁপ বাঁলু আর তুলতে পারে না।
….সেই দিন আমরা ৫ বন্ধু গোশল করতে গেলাম..
খোকনঃ ঐ তুই এখান থেকে বালু তুলতে পারবি ?
আমিঃ হ, পারবাম ।
খোকনঃ তুলে দেখা দেহি?
….আমি আল্লাহর নাম নিয়ে ওর দেখানো জায়গায় গিয়ে একটু দিলাম ডুব।
হায় হায় শুধু পানির নিচে যাচ্ছি আর যাচ্ছি কিন্তু পানির নীচের স্হল আর খুজে পাচ্ছি না।
দম একদম পাচ্ছিলাম না ! এবং যাচ্ছি আর যাচ্ছি….হঠাত্ পায়ে একটা রহস্য পেয়ে গেলাম । দেখি বরফ নাকি মাঠি ?
অবশেষে পেয়ে গেলাম মুল্যবান ঠান্ডা বালু কণা।কিন্তু দম তো শেষ । পাঁ দিয়ে একটা মাঠিতে চাপ দিয়ে উঠতে শুরু করলাম।
হয় তো দম আগেই শেষ হয়ে গেছে..হাতে একমুষ্টি বালু নিয়ে উঠতেছি..
উপরেয় সবাই চিন্তিত…!
তারা ভেবেছে আমি যে সেই ডুব দিয়েছি আমি কৈ ?
অবশেষে আমার দেখা মিলে পেল তারা ..খুশিতে তারা সবাই লাফাচ্ছে….
আমি হাতের মুষ্টি খুলে দেখালাম..এই যে নীচের বাঁলু ।
তারা সেই সময়ে কত্ত বাহবা আমাকে দিল সেটা বল্লাম না ।
একটু পানি দিয়ে মুখে দিতে দেখি পানি লাল হয়ে গেছে…
তখন দেখি আমার নাক থেকে রক্ত ঝড়ছে….সবাই অবাক।
এবং সবাই ভয় ও পেয়ে গেয়েছিল…
ছোট ছোকড়া গুলি গ্রামের সবাইকে বলে দিল..আমাকে পানির ভূত এ ধরেছে।
তখন থেকে সবাই আমাকে বলে ভূতটি ক্যামন ?
আমি রঙ্গ করে বলি ভূত আবার কেডা ! আমিতো আসল ভূত ।
সেই দিন থেকে ঐ জায়গায় ভয়ে আর কেউ গোসল করে না ।
কিন্তু আমি জানি ভূত না , ঠান্ডার কারণে সেটা হয়েছে…
কিন্তু আজ ঐ বন্ধুগুলী একটিও দেশে নাই…প্রবাসে পারি দিয়েছে..
আর আমি সবাইকে দোয়া করি ।
-আর আমি তো আগের মতই এখনও রয়েছি..তোরা ভাল থাকিস।
৮টি মন্তব্য
মা মাটি দেশ
-{@ (y)
সাইদুর রহমান সিদ্দিক
-{@ (y)
খসড়া
তিস্তা নদীর বালুকা বেলায় কাটিয়েছি সময় অনেক হেলায়।:)
সাইদুর রহমান সিদ্দিক
হেলাটা কিন্তু এখন বুঝতেছেন
অলিভার
ঐ সময়টাতে আসলে এইসব দু:সাহসিক কাজ খুব করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আপনি সত্যিই অনেক বেশি দু:সাহস দেখিয়েছেন। গভীরতা শুধু অনুমানের উপর নির্ভর করে এমন করা কারোর জন্যেই একদম উচিৎ হবে না।
সাইদুর রহমান সিদ্দিক
আসলেই সত্যি বলেছেন ভাইয়া কিন্তু আবেগটা একটু বেশি ছিল
জিসান শা ইকরাম
স্মৃতি হাতরে লেখা ভালো লাগে সব সময়ই
এধরনের লেখায় আন্তরিকতা থাকে ।
সাইদুর রহমান সিদ্দিক
দোয়া করবেন ভাই,একজন অশিক্ষিত লোক হিসেবে এই ধরনের পোস্ট করার চেষ্টা করব