সাদাখাতার সাদাপৃষ্ঠা,
তুমি কার?
কুকুরের মতো নাল
ঝরিয়ে, মুখ উচিয়ে,
আমার দিকে ডাইনি চোখে,
সারাক্ষণ তাকিয়ে কেন রও?
তেলেমেখে বেনের ও অসুরের
উচ্ছিষ্ট, বিলাস ভোজন,
রক্ত, আদিকাল থেকেই
বেশতো জমিয়ে খাও!
ইতিহাসের পাতায়,রাত প্রহরে,
রাত পাহারা দিয়ে বেশ তো
আজীবন গীত গাও!
আর বাজনাও দাঁতে বাঁও!
ও সাদাপৃষ্ঠা,
এই বার জঞ্জালে পড়ে না থেকে,
চাষির ঘাম বেঁয়ে,
একটু করে গন্দমবীজ
আর আমন ধান বোনো!
পশ্চিমি বাতাসে,
খুব তো এদিক থেকে ওদিক,
উড়ে উড়ে,প্যাচ নাচিয়ে,
গান গেয়ে বেড়াচ্ছো!
এবার থেকে একটু,
রান্নাঘরের উচু পিড়েয় বসো!
আমার মায়ের বদরক্তের
যন্ত্রনা শুনে, আমার ভাইয়ের
খিদের যন্ত্রনায় চোখের জল,
অল্প না হয় একটু মোছো!
সাদাপৃষ্ঠা তুমি,
দীন মানবীর ফুটোপাত্রে
করেই আধাঁর নামার আগেই এসো!
আমার মায়ের কাঁচা হলুদের
রং পাবে!
আজীবন ধরে ষোলো আনাও পাবে!
@ বাড়ি,
তারিখ-২৫/১০/১২
সময়-১২ঃ৫১ রাত
৯টি মন্তব্য
লীলাবতী
খুব সুন্দর।
জিসান শা ইকরাম
আপনার শব্দ চয়ন খুব সুন্দর
ছোট ছোট কবিতায় অনেক বড় বক্তব্য
ভালো লাগে অনেক ।
প্রজন্ম ৭১
ভালো কবিতা । ঈদ মোবারক ।
জবরুল আলম সুমন
বরাবরের মতোই সুন্দর লিখেছেন। ঈদের শুভেচ্ছা…
ছাইরাছ হেলাল
সাদাখাতার সাদাপৃষ্ঠা এবার না এসে পারবে না ।
ষোল আনা না পেলেও বার আনা নিয়ে তার থাকা উচিৎ ।
ঈদের শুভেচ্ছা ।
শিশির কনা
সাদাপৃষ্ঠা আপনারই , এই যে লিখলেন ! সাদা না হলে লিখতে পারতেন না 🙂 ভালো লাগা কবিতা । ঈদ মুবারক।
আদিব আদ্নান
এই হিমে সাদা পৃষ্ঠা রবে না আর সাদা ।
ঈদে ভাল থাকবেন ।
বনলতা সেন
সুন্দর কবিতা । ঈদের শুভেচ্ছা।
সুরাইয়া পারভীন
চমৎকার লিখেছেন
সাদা পৃষ্ঠা তার
যে এ পৃষ্ঠা কালিতে করেছে রঙীন