হাওরের বুকে জন্ম নিয়েছে কোটিকোটি সবুজ জলজ উদ্ভিদ’
একটি মাঝারি আকৃতির নৌকো বেয়ে এগিয়ে চলছি জলের বুক চিরে’
এ যেনো হৃদয় কল্পিত নৈঃস্বর্গ ভূমিপট
এ যেনো রুপ নন্দিত মাধুর্যকরী জল সবুজের উপকূল_
কলমি ডাটার খোঁজে বিলে নেমেছে এক ঝাঁক অল্প বয়সী কিশোরী
কাঁধে বাঁশের চাটাই-দুহাতে রঙিন নকশার কাচের চুড়ি
আমাকে দেখে ঘোমটার আড়ালে ঢেকে নিলো মুখ
কক কক আওয়াজে চারপাশে ছড়িয়ে যাচ্ছে রাজ হাঁস পাতিহাঁস
কিছু পানকৌড়ি আর কবুতরো
মাঝে মাঝে হঠাৎ পূর্বাভাসের মতো দু’চারটে কুচকুচে কালোয় খয়েরী সাদাতে মেঢ়ুন শঙ্খ শালিক ও গাঢ় লাল ঠোঁটের মাছ রাঙ্গা চোখপেয় হচ্ছে
এ যেনো হৃদয়ের কল্পিত শিল্প স্বচ্ছ স্কেচ খাতা
যে খাতার বুকে ভর করেছি একান্তের কলতানে
টোপাপানা কচুরিপানার ফাঁক ফোঁকর হাতিয়ে জেলেরা কৃষকেরা বেকার কিশোরেরা মাছ শিকারে মগ্ন
যতদূর দৃষ্টি জুড়ায় জল সবুজের আঁকি বুকি
হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো
কিছুক্ষণ থমথমে নিঝুম আবহ
একে একে সকলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে
জল সবুজের মাঝ বৃত্তে স্থির হয়ে রইলাম নৌকো নিয়ে
ঝুম ঝাপ বৃষ্টির অনুরণন ছড়িয়ে যাচ্ছে এপারে ওপারে
জলের উপরে জল ঢেউয়ের উপরে ঢেউ সাঁতরাচ্ছেই
আমি আজ মুগ্ধতায় বিমূঢ় এমন মেঘাচ্ছন্ন জল সবুজাভ আবহে।
৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
আমি আজ মুগ্ধতায় বিভূঢ় এমন মেঘাচ্ছন্ন জল সবুজাভ আবহে।
বাংলা প্রকৃতির রূপের কারুকার্য কবিকে মুগ্ধ করে করবে।কারন এমন দেশটি কোথাও খুজেঁ পাবে নাকো তুমি….। কৈশোরের এমন উদ্দীপণা মন হারিয়ে গেল স্মৃতির সাগরে। খুব ভাল লাগল।কিছু শব্দ নতুন এসেছে শিখে নিলাম।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ প্রিয়
নিতাই বাবু
বাংলার সবুজ শ্যামল রূপ দেখে অনেক দেশের কবি সাহিত্যিক বিমোহিত হয়েছিল। লিখেছিলেন কতনা কবিতা। বিশ্বকবি রবিঠাকুর আর জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিমউদদীনও লিখেছিলেন বাংলার রূপের কাহিনী। আপনিও লিখলেন। শুভেচ্ছা আপনাকে। সাথে এক নদী ভালোবাসা।
মাসুদ চয়ন
ভালোবাসা প্রিয়
আরজু মুক্তা
প্রকৃতি হচ্ছে মা! তার কাছ থেকেই তো আমরা শিখবো।
অসাধারণ লিখলেন।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ আপু
শাহরিন
এমন সুন্দর দৃশ্যপট দেখে কে না মুগ্ধ হবে!! অনেক সুন্দর করে বর্ননা করেছেন। দেখার দৃষ্টি সুন্দর করে চারপাশ আরো সুন্দর রূপ ধারন করে।
তৌহিদ
কবিতা নয় যেনো বাংলার প্রকৃতিকে চোখের সামনে দেখলাম। লেখা ভালো লাগলো চয়ন ভাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রকৃতি ব্যতীত আমরা একাকার।
ভালো লেখনী দাদা।