
চারদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ শিহরন। শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। আজ রবিবার মহাপঞ্চমী। কাল মহাষষ্ঠী। আর এ মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন। এ বোধন মানে জাগরণ বা শিহরণ।
ইতিমধ্যে খড়-কঞ্চি-মাটি-রঙ কর্মযজ্ঞে দেবী দুর্গার রূপদান সমাপ্ত হয়েছে। শাস্ত্র মেনে ত্রিনয়নী দেবীর চক্ষুদান হবে আগামীকাল।
শরৎ মানে কাশফুলের গন্ধে আগমনী বার্তা।রামচন্দ্রের অকাল বোধনে দেবী দুর্গার আগমন। এ আগমন ছিলো অসুরবিনাশ করে জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। দেবী দুর্গা তখন দুর্গতিনাশিনী হয়ে মহালয়া তিথিতে অসুর নিধন করেছিলেন।
মহাশক্তিরূপিনী দেবীগণের মধ্যে আদ্যাশক্তি ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাদেবীর শুভ আবির্ভাব কাহিনী জেনে নিনঃ-
সনাতন হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রের অন্যতম ধর্ম গ্রন্থ “দেবীমাহাত্ম্যম্” নামক গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যায়ের মধ্যে মহাশক্তিরূপিনী ভগবতী শ্রীশ্রীপার্বতী দেবীর আবির্ভাব কাহিনীটি খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে পুরাকালে অসুরগণের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সেই অসুরদের সঙ্গে দেবতাগণের দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভয়ানক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এমন কি সেই ভয়ানক যুদ্ধে দেবতাগণ অসুরগণের নিকট পরাজিতহয়ে শেষ পর্যন্ত স্বর্গচ্যুতও হয়ে ছিলেন। অতঃপর স্বর্গহারা সকল দেবতাগণের স্তব স্তুতিতে পরিতুষ্টা হয়ে ভগবতী দেবী শ্রীশ্রীপার্বতী কত্যায়ানি রূপে নিজের দেহের অংশ দেবতাদের দান করে ছিলেন। তখন কিন্তু দেবী ভগবতী শ্রীশ্রী পার্বতী তাঁদের স্বীয় শক্তিকে কায়া রূপ দান করতে দেবতাগণকে বলে ছিলেন। ফলে দেবতাগণের সন্মিলিত দেহসঞ্জাত তেজঃপুঞ্জ হতেই মহাদেবী শ্রীশ্রী মহামায়া আবির্ভূতা হয়ে ছিলেন। ভগবতী দুর্গতিনাশিনী দুর্গা মহাদেবী ধরনীতে আবির্ভূতা হওয়ার সময়ে সকল দেবগণের শক্তি সম্মিলিত ভাবে একত্রিত হয়ে এক মহাজ্যোতির সৃষ্টি করে ছিল। যার ফলে তখন কিন্তু ধরিত্রীর দশদিক একেবারে মহালোকে উদ্ভাসিত হয়েওঠে ছিল।তখন সেই অভূত পূর্ব্ব ত্রিলোক উদ্ভাসনকারী মহালোক রশ্মি এক হয়ে তৎক্ষনাৎ এক অনিন্দ সুন্দর নারী মূর্তিরূপ ধারণ করলেন।
তখন সমস্ত পৃথিবীর গগন মণ্ডল বিদির্ন করে উদ্ভাসন কারীনী সেই অপূর্ব্ব অনিন্দ সুন্দরী নারী মূর্ত্তিটিই ছিলেন কিন্তু মহাশক্তিরূপিনী দুর্গতিনাশিনী ভগবতী দেবী শ্রীশ্রীদুর্গা। তিনি সিংহ বাহিনী,দশভূজা,ত্রিনয়নী ললাটে অর্ধচন্দ্র শোভিতা। দেবীর দশ হাতে দশ প্রকার অস্ত্র, সর্বগাত্রে বহুমূল্যবান অলংকার ও মালা সুভিতা। সেই সকল ভয়ঙ্কর অস্ত্র ও অলঙ্কারাদি সকলই কিন্তু স্বর্গস্হ দেবগণ মহাদেবীকে সর্বাসুরবধের নিমিত্তে উপহারদিয়ে ছিলেন। তাঁর দেহের সোনার অঙ্গ দেখতে মনেহয় সহস্র সূর্যের ন্যায় উজ্জ্বল। অতঃপর সর্বাসুর বধের নিমিত্তে সেই সিংহবাহিনী শ্রীশ্রীদুর্গা দেবীই আবার কালক্রমে হয়ে উঠলেন সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মহাশক্তির আধারভূতা শ্রীশ্রীচণ্ডিকা দেবী স্বরূপিনী। আবার আমাদের পুরাণ শাস্ত্র গ্রন্থ গুলির মধ্যে বেশ কিছু পুরাণ শাস্ত্র গ্রন্থের বর্ণনা অনুসারে দেবী শ্রীশ্রীচণ্ডী যে কেবল মাত্র স্বর্গস্হ সকল দেবতাগণের অঙ্গ সম্ভূতা তাহাও কিন্তু সঠিক নহে। তা ছাড়া আবার তিনি কখনই কিন্তু পর্ব্বত নন্দিনী ভগবতী শ্রীশ্রীপার্বতী দেবীর অংশ সমদ্ভূতাও নহেন। তবে তা না হলেও কিন্তু পর্ব্বত নন্দিনী ভগবতী শ্রীশ্রীপার্বতী দেবীই হলেন সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের একমাত্র আদি পরাশক্তি। এমন কি তিনিই হলেন সকল মহাশক্তিময়ী দেবীগণের মধ্যে সর্বোচ্চ দেবী সত্তার মূর্ত প্রতিক। প্রকৃত পক্ষে তিনি নিজেই আসলে আদ্যাশত্তি মহামায়া। এমন কি আমাদের এই নিখীল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির এক মাত্র আদি জননীও আসলে কিন্তু তিনিই । মহাশক্তি রুপিনী দেবী শ্রীশ্রীচণ্ডী যখন মহিষাসুরকে বধ করার জন্য যুদ্ধারম্ভ করে ছিলেন। সেই সময়ে তিনিও কিন্তু তাঁর সাথে মহিষাসুরকে বধ করার নিমিত্তে সেই যুদ্ধে প্রবৃদ্ধা হয়ে ছিলেন। অতঃপর যথাসময়ে মহিষাসুরকে বধ করে শ্রীশ্রীচণ্ডিকা দেবী আবার সেই আদি পরাশক্তি ভগবতী শ্রীশ্রী পার্বতী দেবীর দেহের সাথেই বিলীন হয়ে গিয়ে ছিলেন।অন্য শাস্ত্রমতে মহাশক্তি ও আদিপরাশক্তি পূর্ব্বে ভিন্ন ভিন্ন ছিলো। কিন্তু মহিষাসুরকে বধ করার পর তিনি কেবল মাত্র দেবী মহামায়ার দেহে বিলীন হয়ে যান। তখন কিন্তু তিনি ভগবতী শ্রীশ্রীপার্বতী দেবীরূপে আত্ম প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে দেবী শ্রীশ্রীপার্বতী দেবী যখন শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করার জন্য ঘোরতর যুদ্ধারম্ভ করেন। তখন তিনি আবার তাঁর নিজের দেহের কৃষ্ণ কোষ থেকে নিজেকে সৃষ্টি করেন। অতঃপর তিনি দেবী শ্রীশ্রীপার্বতীর ললাট সম্ভুতা মহাদেবী শ্রীশী কালীর সঙ্গে সকল অসুরদের বধ করেন। পরবর্তীতে তিনি আবার ভগবতী শ্রীশ্রীপার্বতী দেবীর স্বীয় দেহের সাথে বিলীন হয়ে যান। আমাদের পুরাণ শাস্ত্র গ্রন্থের অন্যতম স্কন্দ পুরাণে এই কাহিনিটি বর্ণিত রয়েছে। স্কন্ধ পুরাণে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীপার্বতীর দেহ সম্ভুুুতাএকজন মহাদেবী চণ্ড ও মুণ্ড নামক মহাপরাক্রম শালী অসুর দ্বয়কে বধ করেন।
মহাদেবী শ্রীশ্রী পার্বতীর দেহ সম্ভূতা সেই দেবীর নাম ছিল শ্রীশ্রী চামুণ্ডা দেবী। চণ্ড এবং মুণ্ড নামের অসুর দ্বয়কে বধ করার কারণে তিনি শ্রীশ্রী চামুণ্ডা নামে জগৎব্যাপী সুপ্রশিদ্ধা হয়েছিলেন। প্রকৃত পক্ষে এই শ্রীশ্রী চামুুণ্ডা দেবী ও মহাশক্তিরূপিনী শ্রীশ্রীকালিকা দেবী দেবীদ্বয় আসলে কিন্তু দেবী শ্রীশ্রী চণ্ডিকা দেবীরই একটি অভিন্ন রূপের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। তবে মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রী দুর্গা দশভূজা হলেও কিন্তু মহাশক্তি রূপিনী শ্রীশ্রী চণ্ডী দেবী কিন্তু অষ্টাদশ ভূজা। উক্ত দেবীমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থের মধ্যম চরিতে বর্ণিত ধ্যানমন্ত্র অনুযায়ী দেবী শ্রীশ্রী চণ্ডী কিন্তু আসলে অষ্টাদশভূজা তিনির ১৮ ( আঠার )টি হাতে ১৮ ( আঠার )টি অস্ত্র থাকে।
মহাদেবী শ্রীশ্রীচণ্ডীর হস্তস্হিত সকল অস্ত্র গুলির নাম যথাক্রমে অক্ষমালা, পরশু, গদা, তীর, ধনুক, বজ্র, পদ্ম, কমণ্ডলু, মুদ্গর, শূল, খড়্গ,ঢাল,শঙ্খ, ঘণ্টা, মধুপাত্র, ত্রিশূল, অঙ্কুশ ও চক্রধার শোভা পায়। তিনি রক্তবর্ণা ও পদ্মাসনে উপবিষ্টা থাকেন। বঙ্গভারত উপমহাদেশের কোনো কোনো মন্দিরে দেবী শ্রীশ্রী চণ্ডী কিন্তু আরো অনেক নামেও তাঁর ভক্তগণের দ্বারা প্রতিদিন পূজিতা হচ্ছেন। বঙ্গভারত উপ মহাদেশে যে সমস্ত নামে শ্রীশ্রী চণ্ডীদেবী বিভিন্ন স্হানে ভক্তগণের দ্বারা প্রতি দিন পূজা পাচ্ছেন।
সে সমস্ত নাম গুলির মধ্যে অন্যতম
(১ ) শ্রীশ্রীমহাকালী দেবী, (২) শ্রীশ্রী মহালক্ষ্মী দেবী ও (৩) শ্রীশ্রীমহাসরস্বতী দেবীগণ ।
তবে আবার বঙ্গভারত উপমহাদেশের কোথাও কোথাও কিন্তু আজ পর্যন্ত মহাদেবী শ্রীশ্রীচণ্ডীকে চতুর্ভূজা মূর্তিতেও পূজা করতে দেখা যাচ্ছে।
অসুরবধের নিমিত্তে দেবতাগণ যেসকল অস্ত্রদ্বারা মহাদেবী দুর্গাকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন তার বিবরণঃ
স্বর্গ ধামের সকল দেবতাগণ যখন অসুররাজ শম্ভু ও নিশম্ভুর অত্যাচারে একেবারে অতিষ্ট হয়ে পড়লেন। ঠিক তখন তাদের সকল দর্প চীরতরে বিনাশ করার নিমিত্তে তাঁরা সকেলে মহাদেবী দুর্গতিনাশিনী ভগবতী শ্রীষ্রীদুর্গা দেবীকে মহাশক্তিময়ী করে তোলার নিমিত্তে প্রয়াশী হলেন। তদনুসারে অসুর বংশ সমূলে নিধনের নিমিত্তে। সকল দেবতাগণ সমন্মিলিত ভাবে তাঁদের প্রত্য্যেকের সবচাইতে শক্তিশালী মারনাস্ত্র সমূহ দ্বারা মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে সুসজ্জিত করার প্রতি গভীর মনযোগী হলেন। তদনুসারে মাতৃ পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতেই কিন্তু সকল দেবতাগণের ইচ্ছানুসারে তাঁরা মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গার দশহাতের মধ্যে তাঁদের প্রত্যেকের ভিভিন্ন প্রকারের শক্তিশালী মারনাস্ত্র গুলো সংযোজন করে দিয়ে ছিলেন। তখন কিন্তু অত্যাচারী অসুর বংশ সমূলে নিধন করার নিমিত্তে দেবতাগণের প্রদত্ত যে সকল মারনাস্ত্র দ্বারা মহাদেবী দশভূজা ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাদেবী সুসজ্জিতা হয়ে রনরঙ্গিনী হয়ে ছিলেন।অতঃপর তিনি দেবতাগণের প্রতি শ্রুতি পূরণ করার নিমিত্তে সকল অসুরকে একে একে সবংশে নিধন করে ছিলেন। যার ফলে ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গা দেবী স্বর্গধাম তথা সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে অনাবিলশান্তি ফিরিয়ে এনে দিয়েছিলেন।পাঠকবন্ধুগণ আমি আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে দেবতাগণের মধ্যে যিনি মহাদেবী শ্রীশ্রীভগবতীদুর্গাকে অসুরবংশ নিধনের নিমিত্তে যে অস্ত্রটি প্রদান করে ছিলেন সেই অস্ত্রটির নাম ও অস্ত্র প্রদানকারী সেই সেই দেবতাগণের নাম নিন্মে ক্রমান্বয়ে লিপিবদ্ধ করলাম–
( ১ ) সকল দেবতাগণের সাথে সহমত পোষণ করে মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে অত্যাচারী অসুর বংশ সমূলেনিধন করার নিমিত্তে দেবাদীদেব ভগবান মহাদেব তাঁর হস্তস্হিত শত্রুনিধনের নিমিত্তেথাকা মহাশক্তিশালী অমোঘ অস্ত্র ত্রিশূলটি দিয়ে ছিলেন।
( ২ ) সেই একই ধার্বাহিকতায় ভগবান শ্রীশ্রীমহাবিষ্ণু অসুর বংশ নিধনকরার নিমিত্তে মহাদেবীভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে দিলেন তিনির হস্তস্হিত মহাশক্তিশালী শত্রু নিধনের অমোঘ অস্ত্র সুদর্শন চক্র।
( ৩ ) শ্রীশ্রীবরুণদেব সকল অসুর বংশ ধ্বংশ করে স্বর্গ ধামে চীরশান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে দিলেন তাঁর হস্ত স্হিত মহাশঙ্খ।
(৪ ) সকল অসুরকে সবংশে নিধন করার নিমিত্তে মহাদেবী দুর্গতিনাশিণী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গা দেবীকে শ্রীশ্রীঅগ্নিদেব দিলেন তাঁর মারনাস্ত্র –শক্তি অর্থাৎ গদা।
( ৫ ) মরুদ্গণ মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে অসুর বংশ নিধন করার নিমিত্তে দিলেন তাঁদের সবচাইতে অমোঘ অস্ত্র নামে বিক্ষাত ধনুক ও বাণপূর্ণ তূণ।
( ৬ ) দেবরাজ শ্রীশ্রী ইন্দ্র দেব সর্ব্বাসুর নিধনের জন্য মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে দিলেন তাঁর সবচাইতে শক্তিশালী মারনাস্ত্র –বজ্র ও সেই সাথে দিলেন ঘন্টা।
( ৭ ) মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে অসুর বংশ ধ্বংশ করার জন্য শ্রীশ্রীবৈবস্বতযমদেব দিলেন তিনির হস্তস্হিত অমোঘ অস্ত্র — লৌহ নির্মিত দণ্ড ( শিরিকা )।
( ৮ ) বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে সকল অসুরদের সবংশে বিনাশ করে তাদের সকল দর্প চূর্ণ করার জন্য সমুদ্রদেব মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে দিলেন তিনির ভয়ানক অস্ত্র– নাগপাশ।
( ৯ ) অসুর বংশ সমূলে নিধন করে স্বর্গ ধামে চীরশান্তি স্হাপনের নিমিত্তে মহাদেবীভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে দিলেন ভগবান প্রজাপতি ব্রহ্মাদেব তাঁর হস্তস্হিত — অক্ষমালা ও কমণ্ডলু। এবং
( ১০ ) সকল অত্যাচারী অসুরদেরকে সবংশে নিধন করে দেবতাগণের হৃতরাজ্য ফিরিয়ে দিতে সর্বাত্তক ভাবে সহযোগিতা করার জন্য শ্রীশ্রীকালদেব মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গাকে দিলেন — খড়্গ ও চর্ম অর্থাৎ ঢাল।
ঠিক এমনি ভাবে স্বর্গের সকল দেবতাগণের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভয়ানক মারনাস্ত্রে সকলের দ্বারা যখন মহাদেবী দুর্গতিনাশিণী ভগবতী দশভূজা শ্রীশ্রীদুর্গাদেবীর দশটি হাতের মধ্যে সকল হস্তই পরিপূর্ন হয়ে গিয়েছিল। ঠিক সেই সময়ে আবার সকল দেবতাগণের সাথে কিন্তু দুর্গতিনাশিনী মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গার অসুর বংশ নিধনকরার ক্ষেত্রে একাত্ততা পোষণ করলেন জগৎপতি শ্রীশ্রীসূর্যদেব। পরিশেষে জগৎপতি শ্রীশ্রীসূর্য দেব তাঁর নিজের দেহের কিরনের তেজ রশ্মি ছড়িয়ে দিলেন মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রী দুর্গার দেহের সমস্ত রোম কূপের মধ্যে। অতঃপর মহাদেবী ভগবতী শ্রীশ্রী দুর্গা ঠিক তখনই হয়ে উঠলেন সর্বাসুর নিধন করার নিমিত্তে মহাশক্তিময়ী দেবীরূপে। অবশেষে দেবতাগণের কাছ থেকে সকল ভয়ানক শক্তিশালী সমরাস্ত্র সমূহ পেয়ে। মহাদেবী ভগবতী দুর্গা হয়ে উঠে ছিলেন অসুর নিধনের নিমিত্তে মহাশক্তিময়ী। তার পরই তিনি দেবতাগণের প্রতিশ্রুতি পূরণের নিমিত্তে একে একে সকল অসুরকে সবংশে নিধন করতে আরম্ভ করে দিলেন। তাতে করে খুব অল্প দিনের মধ্যেই তিনি সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে অসুর মুক্ত করে ফেললেন। যার ফলশ্রুতিতে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র ফিরে পেলেন তাঁর প্রাণাধিকা পত্নি জনক নন্দিনী সীতাদেবীকে এবং সকল দেবতাগণ ফিরে পেলেন তাঁদের হৃতরাজ্য। মহাদেবী দুর্গতিনাশিণী ভগবতী শ্রীশ্রীদুন্গা অসুর বংশ ধ্বংশ করার ফলে সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে ফিরে এলো চীর শান্তির নির্মল বাতাস।
মহিষাসুরের নিকট থেকে দেবীদুর্গার মহাশক্তিরূপিণী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করার কাহিনীঃ–
ত্রেতাযুগে ভগবান শ্রীরাম বনবাসে থাকা কালে সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে প্রচণ্ড শক্তির অধিকারী ছিলেন মহিষাসুর। এই মহিষাসুরের জন্মদাতা পিতা ছিলেন অগ্নিদেবের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। অতপ কারণেই সব সময় অগ্নি দেবের প্রত্যক্ষ বরও ছিল মহিষাসুরের প্রতি। মহিষাসুর অগ্নি দেবের প্রত্যক্ষ আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার কারণেই কিন্তু সে এত প্রচণ্ড রকমের অত্যাচারী হয়ে উঠে ছিল। তা ছাড়া এর পেছনে আরো একটি কারণও রয়েছে মহিষাসুরের জন্ম হয়েছিল সরাসরি অগ্নিদেবের শক্তিতে এবং এটি কিন্তু তার পিতার সর্বশেষ ইচছা অনুযাীই হয়েছিল। অতপ কারণেই মহিষাসুরের রাজত্ব কালে আদ্যাশক্তি মা মহামায়ার প্রত্যক্ষরূপের কোন প্রভাব কোন দিনই তার রাজ্যে কখনো বিদ্যমান ছিল না। মহিষাসুর এতই ভয়ংকর ও অচ্যাচারী ছিল যে, খোদ অসুরবংশের সকল নারীগণ পর্যন্ত তার ভয়ে সর্বদা আতঙ্কে থাকতেন। অনেক নারীগণ প্রাণের ভয়ে মহিষাসুরের সেবা করতেও পর্যন্ত যেতে চাইতেন না। মহিষাসুরের রাজত্ব কালে প্রকৃত পক্ষে সমগ্র অষুর সাসিত রাজ্যে সেই সময়ে নারীগণের কোন অাধিপত্য বলতে কিছুই ছিল না । বরঞ্চ অসুর রাজ্যে সেই সময়ে বসবাস রতা সকল নারীগণ ছিলেন নিতান্তই অসহায়া ও অবলা। সে জন্যই তাদের মান , ইজ্জত ও সম্ভ্রম বলতে আসলে তেমন কিছুই আর অবশিষ্ট ছিল না। যার ফলে মহিষাসুরের রাজত্বকালে তার নিকট নারীর দূর্বলতা প্রকটরূপ ধারণ করে ছিলর। অতপ কারণে মহিষাসুর একদিন স্বদম্ভে জগতের সমগ্র নারীকুলের প্রতি আক্রোশ প্রকাশ করে বলে ছিলেন–” যদি এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র ভোগ আর কেবল সেবার জন্য নারীদের কোন প্রয়োজনই না হতো, তাহলে এই বিশ্বের সমগ্র সৃষ্টি থেকে আমি নারী শব্দটি চীরতরে মুছে ফেলতাম”। ভেবে দেখুন! পাঠক বন্ধুগণ মা জাতীর প্রতি কত বড় অপমান জনক উক্তি করেছিলেন পাষণ্ড মহিষাসুর। ত্রিলোক জয়ের উদ্দেশ্যে পাষণ্ড মহিষাসুর তার প্রবল শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য বহুকাল যাবৎ প্রজাপতি ব্রহ্মা দেবের কঠিন তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন । অবশেষে তার তপস্যায় মুগ্ধ হলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা দেব। তিনি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে তার অভিলসিত বর প্রার্থনা করতে বললেন। তাতে আসলেই কিন্তু তভন এক মহাবিপদ সমুপস্হিত হলো ! অবশেষে অচ্যাচারী মহিষাসুর সুযোগ পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রজাপতি ব্রহ্মাদেবের নিকট একেবারে অমরত্ব বরই চেয়ে বসলেন। অদূর ভবিষ্যতে মহিষাসুরের দ্বারা সমগ্র জগতের মধ্যে ভয়ানক মহাবিপদ সমুপস্হিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কার কথাভেবে শেষ পর্যন্ত প্রজাপতি ব্রহ্মাদেব বাধ্য হয়ে মহিষাসুরকে বললেন–
” হে মহিষাসুর অমর হতে পারলে তো তোমার আর জন্মই হতো না! তা ছাড়া সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে একমাত্র দেবতা ভিন্ন কিন্তু অন্য কেহই আর অমরত্ব বর লাভ করতে পারেন না। অতএব তুমি অন্য কোন বর প্রার্থনা কর”। তখন প্রজাপতি ব্রহ্মা দেবের মুখ থেকে এমন কথা শুনে মহিষাসুর পূনঃরায় অন্য বর প্রার্থনা করলেন– ” তাহলে আপনি আমাকে এই বরনদিন যেন আজ থেকে ত্রিভূবনের কোন দেবতা,দৈত্য ,দানব,মানব ও অসুর এমন কি কোন পুরুষের দ্বারা যেন কখনো আমার মৃত্যু না হয়। আপনি এবার তাহলে আমাকে সেই বরটি দিন প্রভু!” এবার মহিষাসুরের শেষ ইচ্ছা পূরণের নিমিত্তে তখন প্রজাপতি ব্রহ্মাদেব বললেন “তথাস্তু”।মহিষাসুর তার হীন বুদ্ধির বলে এই বরকেই পরোক্ষ ভাবে অমরত্ব বর হিসাবেই ধরে নিলেন এবং সানন্দে সে সুপ্রসন্নও হয়ে গেলেন। কারণ মহিষাসুরের বাস্তবতায় কিন্তু এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের দূর্বল নারীদের হাতে কখনো তার মৃত্যু হবে এমনতর বিশ্বাস তার মোটেও ছিল না। তা ছাড়া ভবিষ্যতে দুর্বল নারীগণ কোন দিন তার সাথে যুদ্ধ করবে ! এমনতর অকল্পনীয় চিন্তাও মহিষাসুরের কোন দিন মনের মনিকোঠা মধ্যে একেবারেই কিন্তু ছিল না। তাই প্রজাপতি ব্রহ্মাদেবের সাথে নিজে চালাকি করে জিততে পেরে মূর্খ মহিষাসুর নিজে নিজে হাসতে লাগলেন । অতঃপর কালের পরিক্রমার জন্য অপেক্ষা করে প্রজাপতি ব্রহ্মাদেব নিজেেও হেসে সেই স্হান থেকে যথারীতি প্রস্হান করলেন। এদিকে বর পায়োর পর ত্রিলোক জয় করে মহিষাসুর দেবতাগণের উপর একেবারেই ভয়ংকর অত্যাচার আরম্ভ করে দিলেন । এমন কি সকল দেবতাগণকে স্বর্গলোক থেকে বিতারিত করে তিনি নিজে স্বর্গরাজ্য পর্যন্ত দখল করে নিলেন । তার নিদ্দেশ অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে দেবপূজা, যাগ, যজ্ঞ, ঘন্টা ধ্বণি ও শঙ্খ ধ্বণিও বন্ধহয়ে গেল।স্বর্গহারা সকল দেবতাগণ তাঁদের হৃতরাজ্য পূনরোদ্ধার করার জন্য পর্যায় ক্রমে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের শ্বরণাপন্ন হলেন। অবশেষে স্বর্গহারা সকল দেবতাগণ ত্রি দেবের কথামত মা মহামায়ার স্তব-স্তুতি পাঠ করতে লাগলেন। অবশেষে দেবতাগণের স্তব স্তুতিতে সন্তুষ্ট হয়ে মা মহামায়া তাঁদের সন্মুখে এসে স্বশরীরে হাজীর হলেন। তখন মা মহামায়া দেবগণের কাছ থেকে তাঁদের করুন ইতিহাস শ্রবন করলেন।অতঃপর মহাদেবী মহিষাসুরকে তার বংশ সমেত নিধন করে দেবতাগণের হৃত রাজ্য পূনরোদ্ধার করার সংকল্প করলেন–
আদ্যাশক্তি মহামায়া দেবী দুর্গা যখন মহিষাসুরকে তাঁর সাথে যুদ্ধে আহব্বান করলেন। তখন দেবীর অট্টহাস্যে ত্রিলোক পর্যন্ত প্রকম্পিত হচ্ছিল। তা দেখতে পেয়েও কিন্তু মহিষাসুরের কাছে সেটি আসলে একটি দিবাস্বপ্ন বলে মনে হচ্ছিল। এমন কি মহিষাসুর দেবীকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যেতে বললেন। এমনকি সে তার নিজের আত্মমর্যাদার অহঙ্কারে তখনআবার অসুর সেনাদেরকে পাঠালেন জন্মাতা মহামায়ার কেশাগ্র ধরে তার সামনে হাজীর করার জন্য। শুধু তাই নয় যদি সহজে আসতে না চায় তবে সন্মুখ যুদ্ধে তাকে তখন হত করে ফেলতে ও আদেশ প্রদান করলেন মহিষাসুর ।পরিশেষে সেখানে মহাদেবীর ভয়ংকরযুদ্ধ নিপুণতায় অসংখ্য অসুরসেনার মৃত্যু দেখতে পেয়েও তাঁর সাথে আরো ভয়ংকর যুদ্ধ আরম্ভ করে দিলেন মহিষাসুর।
এমন কি তখন মহাদেবীর সাথে অতিব ভয়ংকর যুদ্ধ নিপুণতা পর্যন্ত প্রদর্শন করতে লাগলেন মহিষাসুর। তার পরও কিন্তু মহাদেবী দুর্গার যুদ্ধ নৈপুন্যের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়ে ছিলো অত্যাচারী মহিষাসুরকে। সর্বশান্ত হওয়ার পরেও কিন্তু মহাশক্তিরূপিনী দেবী দুর্গার যুদ্ধের ভয়াবহ তাণ্ডবতা ও জয়ধ্বনি দেখেও শেষ পর্যন্ত মহিষাসুর তার নিজের পরাজয়ের বিশ্বাসের মধ্যে সামান্যতস দাগ কাটতেও পারেনি।
বরং প্রবল পরাক্রমে বারং বার তিনি তাররুপ পরিবর্তন করে প্রবল শক্তিতে মহাদেবীর সাথে লড়াই করে চলে ছিলেন তাও আবার একমাত্র টিকে থাকার জন্য। তাতেও কিন্তু মহিষাসুর দেখলেন এতে কোন মতেই তার শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
অবশেষে মহিষাসুর মহাদেবীর সাথে যুদ্ধের কৌশল পাল্টাতে বাধ্য হলেন।
পরিশেষে মহিষাসুর যুদ্ধক্ষেত্রে দেব প্রকম্পিত এক ভয়ংকর মহিষরূপ ধারণ করলেন এবং গণ দেবতা এবং মহদেবীর বাহনকেও ধরাশায়ী করে ফেলতে লাগলেন। শুধু তাই নয় মহাদেবীকে তিনি বারংবার নানা ভাবে আক্রমন করতে লাগলেন।
সেই সময়ে মহাদেবী দুর্গার সাথে মহিষাসুরের ভয়ংকর যুদ্ধ উম্মত্ততা দেখে দেবতাদের প্রাণ প্রায় শুকিয়ে যাচ্ছিল।তখন আদ্যাশক্তি মহাদেবী ভগবতী দুর্গা একে একে মহিষাসুরের সকল প্রকারের আঘাত প্রতিহত করতে লাগলেন। অতঃপর সর্বশেষ সম্মুখ সমরে প্রচণ্ড তেজ নিয়ে তিনি মহিষাসুরকে তাঁর নিজের পাদতলে দমিয়ে ফেললেন এবং তাঁর হস্তস্হিত ত্রিশূলের প্রচণ্ড আঘাতে মহিষাসুরের প্রাণ সংহার করে ফেললেন।
অবশেষে তারদেহের সমস্ত শক্তির বিনিময়েও মহিষাসুর আর উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হলেন না।পরিশেষে তার পরাজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে মহিষাসুর কিন্তু জগতের নারীকে শুধু অবলাই নয়। বরং নারীশক্তি আসলেই যে মহাশক্তিরূপিনী হতে পারেন শেষ পর্যন্ত তিনিতা বুঝতে পারলেন এবং অকপটে স্বীকারও করে নিলেন। তারই সাথে সাথে পরিসমাপ্তি ঘটলো একটি ভয়ংকর অশুভ শক্তি সমূলে বিনাশের সেই কালো অধ্যায়ের। অবশেষে সকল স্বর্গহারা দেবতাগণ ফিরে পেলেন তাঁদের হৃত রাজ্য। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সকল নারী জাতিগণ পৃথিবীতে ফিরে পেলেন পূনঃরায় তাঁদের হারিয়ে যাওয়া আত্মসন্মান।
ইতি পূর্বে তাঁর সকল জল্পনা কল্পনার পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে অবশেষে মৃত্যুর পূর্বে মহিষাসুর মহাশক্তিরূপিনী দেবী ভগবতী দুর্গার নিকট চাইলেন পূজা ও যজ্ঞের ভাগ। মহিষাসুরের শেষ ইচ্ছা পূর্ন করলেন মহাদেবী জগত মাতা ভগবতী দুর্গা দেবী।
মহিষাসুরের মৃত্যুর ঠিক পূর্ব্ব ক্ষণে মা মহামায়া তাঁকে সম্পূর্নরূপে কথাও দিলেন।অবশেষে মহাশক্তিরূপিনী জগন্মাতা ভগবতী শ্রীশ্রীদুর্গা দেবী মহিষাসুরকে তার অন্তিম মুহূর্তে বললেন– “হে মহিষাসুর আজ থেকে জগতের মধ্যে আমার যত ভক্ত রয়েছে তারা সকলে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড প্রলয় হওয়ার পূর্ব্ব পর্যন্ত ঠিক এইরূপেই আমাকে আরাধনা করবে। সুতরাং তুইও অনন্তকাল ব্যাপি আমার সাথে পূজা এবং যজ্ঞের ভাগ পাবি। সেই সাথে পূর্ন হবে তোর শেষ মনোবাসনা”।
..
শারদীয় দূর্গোৎসবে আজ মহাপঞ্চমী আগামীকাল মহাষষ্ঠী। বোধন , আমন্ত্রণ ও অধিবাস দূর্গাদেবীর আরাধনা সাথে ঢাকে কাঠি , শঙ্খধ্বনি , ঘন্টা কাঁসার উলুধ্বনিতে মুখরিত শরৎ প্রাত জমজমাট ।
বাঙালি মন আবেগী , আনন্দময়ী মায়ের আশীর্বাদ পৌঁছে যাক জাতিধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি গৃহে । আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো অশেষ । ভালো কাটুক সারাদিন। খুশীর প্লাবন ছড়িয়ে পড়ুক গৃহের চতুর্দিকে সকলের মনে। এই শুভকামনা রাখলাম।
সর্বতথ্য পরিমার্জিত ও সংশোধিত।
৫টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
দূর্গা জন্ম এবং মহিষাসুর বোধ ইতিহাস সম্পর্কে প্রথমে জেনেছিলাম রেডিওতে। ছোটবেলায় দূর্গা পূজার সময় রেডিওতে এই নাটক প্রচারিত হতো। পরে বিভিন্ন বই পুস্তক পড়ে এবং আরো পরে টিভিতে দেখেছি। এখন আমাদের দেশে প্রায় সবখানেই দূর্গা পূজার উৎসব বেশ ধুমধামে পালিত হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে অন্যান্য ধর্মের মানুষেরাও এই উৎসবে যোগ দিয়ে আনন্দ লাভ করে।
তোমার উপস্থাপনা ভালো লাগলো। শারদীয়া দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থেকো। নিয়মিত হও। শুভ কামনা 🌹🌹
মোঃ মজিবর রহমান
শারদীয় দুর্গোৎসব -এর শুভেচ্ছা সবাইকে।
মনির হোসেন মমি
শারদীয় দুর্গোপুজার আদি অন্ত চমৎকার উপস্থাপনা।
শুভেচ্ছা সহ শুভ কামনা রইল।
অনন্য অর্ণব
অনেক বড় লেখা যদিও পুরোটাই পড়লাম। আমার একটা ছোট জিজ্ঞাসা ছিলো- প্রকৃত দেবী কি সত্যিই দশানন ছিলেন? নাকি এই ত্রিনয়নী, দশভুজা এগুলো রূপকার্থে বলা ?
নার্গিস রশিদ
পুরো ইতিহাস টা বিস্তারিত যানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। যদিও কিছু কিছু জানতাম কিন্তু এতো বিস্তারিত নয়। অনেক ধন্যবাদ সুব্দর লেখার জন্য।
সবায় মিলে উৎসবের আনন্দ টি ভাগা ভাগি করে নেই , যা করতাম ছোটো বেলায়।