শেষ সৈনিক টি তৃষ্ণায় খাখা বুক নিয়ে ক্যান্টিনটি উচুঁ করে ধরে।
খটখটে ক্যান্টিন এক ফোটা …. দুফোটা জলবিন্দু গড়িয়ে দিয়ে নীরব হয়ে যায়।
এম্বুশার রা এগিয়ে আসছে……. সংখ্যায় সাতের বেশী, খট করে বাড়ি খায় শুন্য চেম্বারে ফায়ারিং পিন।
কোমড় থেকে টেনে নেয়া রিভলবারের চেম্বার থেকে একটা কার্তুজ খুলে নিয়ে, মুঠোয় পুরে পাশে পরে থাকা সদ্য সাবেক কোম্পানি কমান্ডারের দিকে একবার তাকিয়ে বাকি পাচটি গুলিতে তিনজন এম্বুশার কে সাবেক সৈনিক বানিয়ে দেয় শেষ সৈনিকটি।
মুঠোয় ধরা কার্তুজের দিকে তাকিয়ে মনে করে জি, আইয়ের শিখানো সেই অমোঘ উচ্চার ” every bullet have a name on it….. Son ; always keep the last one written own name “
– এবং ফেলে আসা জীবনের দিকে একবার ফিরে তাকিয়ে চোখ টিপে দিয়ে সেও সাবেক সৈনিক হয়ে যায়।
৩২টি মন্তব্য
মশাই
অনুগল্প !! দারুন হয়েছে যদিও আমি মূল চিত্রকল্প ছুতে ব্যর্থ হয়েছি তবে হ্যাঁ আজকের সেরা পাঠ আমার জন্য এই লেখাটি।
আগুন রঙের শিমুল
আত্মসমর্পণের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়।
যদিও সে সাহস সবার হয়না 🙂
শুন্য শুন্যালয়
I hate war..:(
এতটুকু লেখাতেই অনেক বলা।
ভালো লেগেছে অনেক।
আগুন রঙের শিমুল
পাঠ প্রতিক্রিয়া আসলে ভালোবাসা প্রভাবিত হলে এমনই হয় 😀
ছাইরাছ হেলাল
” every bullet have a name on it….. Son ; always keep the last one written own name ”
এটি পড়লেই গা হিম হয়ে যায় ।
আগুন রঙের শিমুল
ট্রিগার টেপার পর থেকে বুলেট ছুটে গিয়ে হিট করার মাঝের কয়েক মাইক্রোসেকেন্ড গোটা একটা জীবনের সমান হেলাল ভাই 🙂
গা হিম হলেও কিছু করার নাই মৃত্যু একমাত্র সত্য
বনলতা সেন
আমি যুদ্ধবিরোধী মানুষ । এ সব নিতে পারি না ।
আগুন রঙের শিমুল
🙁 🙁
ব্লগার সজীব
কেন এমন নিজকে হত্যা ?
আগুন রঙের শিমুল
সজীব
আত্মসমর্পণের চে আত্মহত্যা শ্রেয় ,পুরুষের জন্য 🙂
ব্লগার সজীব
আবার পড়লাম , বুঝেছি এবার ।
আগুন রঙের শিমুল
🙂
আদিব আদ্নান
হত্যা শুধু হত্যাকেই ডেকে আনে যুদ্ধে ।
সুন্দর লিখেছেন ।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ আদিব
আজিম
প্রথমত: উপস্থাপনা সুন্দর।
দ্বিতীয়ত: কেন যুদ্ধ?
তৃতীয়ত: আত্মহত্যার চেয়ে যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুবরন অধিকতর শ্রেয়।
আগুন রঙের শিমুল
প্রথম ধন্যবাদ
দ্বিতীয় সময়ের প্রয়োজনে ,ক্ষেত্রবিশেষে সভ্যতাকে আগায়ে নেয়ার জন্যই যুদ্ধ
তৃতীয় এবং আত্মসমর্পণের চে আত্মহত্যা শ্রেয় ,পুরুষের জন্য 🙂
আজিম
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিত এবং ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এগুলির কোন প্রয়োজনীয়তা-ই ছিলনা মোটেই। এগুলো ছিল পৃথিবীকে কব্জা করার দু’একজন উচ্চমার্গীয় পাগলের সিদ্ধান্ত।
পৃথিবীর অধিকাংশ যুদ্ধেই সভ্যতা এগোয়নি, বরং পিছিয়ে গেছে।
আগুন রঙের শিমুল
তাইবা কিভাবে বলি , এই দুই যুদ্ধ যত টেকনোলজি মানুষকে দিছে তার জন্য মানুষকে আরও সোয়াশ বছর অপেক্ষা করতে হতো
মিথুন
যুদ্ধ ও একরকম খুনই। প্রয়োজন কি এমন যুদ্ধের?
আগুন রঙের শিমুল
যুদ্ধ সভ্যতাকে আগায়ে নিছে ,ধংস নতুন সৃষ্টিকে জায়গা করে দেয়
পুষ্পবতী
আত্মহত্যা করা উচিত না।
আগুন রঙের শিমুল
আত্মসমর্পণ মৃত্যুর চেয়েও খা্রাপ
আজিম
যুদ্ধে এসে যে আত্মসমর্পন করবে সে তো যোদ্ধা-ই হতে পারেনা। আত্মসমর্পন কেন করবে? শেষ সৈনিক হলেও যুদ্ধ করতে করতেই মারা যাওয়া উচিত।
আত্মসমর্পন অথবা আত্মহত্যা, কোনটা-ই করা একজন যোদ্ধার কাজ হতে পারেনা।
তবে যুদ্ধের বিরাট কৌশলগত কোন কারন থাকলে আলাদা কথা।
জিসান শা ইকরাম
যুদ্ধ এলোমেলো করে দেয় সব কিছু
যুদ্ধ ভালো লাগেনা , যদিও তা অনিবার্য
ভালো লেগেছে খুব ।
আগুন রঙের শিমুল
হ্যাঁ দাদা
ধন্যবাদ 🙂
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
লেখার সাথে এমন ছবি দিলেন যে আতকে উঠেছি । শীতল একটা অনুভুতি এসে গ্রাস করলো আমাকে । খুব ভালো লেখা শিমুল ভাই ।
আগুন রঙের শিমুল
পাঠক আতকে উঠেছে 🙂
তারমানে আমি দাগ কাটতে পেরেছি আমার লেখা সার্থক 🙂
খসড়া
বড় কঠিন, ভাল লাগল।
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাঙ্কস 🙂
অজানা এক পথে চলা
একজন প্রকৃত সৈনিক কারো কাছে আত্মসমর্পন করেনা ।
আগুন রঙের শিমুল
ইয়েস এইটাই মেসেজ 😀
সিনথিয়া খোন্দকার
লেখককে চিনতে কষ্ট হয়েছে এক মুহূর্তের জন্য। সহজ স্বীকারোক্তি- এমন একটা দৃশ্যের কল্পনা করাও কঠিন। আর সেটাকে এভাবে ফুটীয়ে তোলা শুধু শব্দে, জানি না কেমন অনুভূতিটা।