ছেলেবেলায় আব্বা যখন বাড়ি ফিরতেন সন্ধ্যাকালে,
হাতে থাকতো বাজারের ব্যাগ।
আমরা তখন অপেক্ষায় থাকতাম কি এনেছেন! জিজ্ঞেস করলেই আব্বা বলতেন- দেখ্, খুলে দেখ্!
ব্যাগের ভেতর পেয়ে যেতাম কিছু না কিছু।
আমাদের চোখগুলো রাত্রিকালীন লঞ্চের মতো জ্বলে উঠতো, উজ্বল সে আলো।
অনেক বছর পর যখন শিশু মনের বুক ছিঁড়ে বড় হতে লাগলাম – আব্বা এখনো বাজারে যান
তবে ফিরে আসেন ব্যাগ ভর্তি শূন্যতা নিয়ে। আম্মা ব্যাগ থেকে শূন্যতা বের করেন, মেঘের মতো ঘ্রাণ।
আমরা পাখির ছানার মতো কাড়াকাড়ি করে গিলে ফেলি শূন্যতা।
আমাদের চোখগুলো আবারো জ্বলে উঠে রাত্রিকালীন আহত লঞ্চের মতো।
বিষন্ন সে আলো। আব্বা পুড়ে যান সে আলোয়।
আব্বা মিলিয়ে যান
দূর থেকে দেখা যায় আব্বার সাদা পাঞ্জাবি,
আব্বার বুকে বেজে উঠে শূন্যতার আযান।
১২টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতি মুগ্ধতা পেলাম কবি দা ভাল থাকবেন——–
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ দাদা।
হালিমা আক্তার
মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল। শূন্যতার আলো ও পুড়িয়ে দেয়। শুভ কামনা রইলো।
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
দারুণ লিখেছেন।
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।
রিতু জাহান
এমন কেনো হয় শূন্যতাগুলো!
মন ছুঁয়ে গেলো
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক বিশুদ্ধ অনুভূতি। চমৎকার লিখেছেন।
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
শূন্যতার ঘ্রাণ মেঘের মতো….
খুব সুন্দর একটা উপমা দিয়েছেন। লেখাটা মর্মস্পর্শী।
শুভ কামনা 🌹🌹
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।