বিষয়টা এমন নয় যে আমি অন্য দল করি বলে আওয়ামীলীগের কারো গুনকীর্তন করা যাবে না।দেশকে ভালবাসতে হলে দেশকে একটি সূখী উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাকে আমরা সাধারন জনতাকে রাজনিতীর উর্ধ্বে থেকে কথা বলতে হবে ভাবতে হবে দেশকে নিয়ে।

আমি এক সময় রাজনিতী করলেও এখন রাজনীতির ধারে কাছেও যাই না।তবে চলমান রাজনীতির উপর সজাগ দৃষ্টি থাকে।এ দেশে মুলত ’৯০ এর পরই জনগণের সরাসরি ভোটে সরকারগুলো এসেছেন।দেশের মসনদে বিএনপি খালেদা জিয়ার সরকার এসেছেন দুই বার এবং আওয়ামীলীগ বর্তমান সহ চতুর্থ বারের ক্ষমতাসীন দল।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দল আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর তার ৭৩তম শুভ জন্ম বার্ষিকী।
শুভ জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ খ্রীস্টাব্দ।

দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদী সাহেরা খাতুনের অতি আদরের এই নাতনীটি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপাল গঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গ মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান।

তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ায় কিন্তু ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশীক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হবার পর প্রথমে পুরনো ঢাকার রজনী বোস লেনে একটি ভাড়া বাসায় পরিবারকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।এরপর তার পিতা যুক্তফ্রন্টে মন্ত্রিসভার সদস্য হবার পর ৩নং মিন্টু রোডে তারাঁ বসবাস করেন।তখন তিনি টিকাটুলির পূর্বে নাম ছিলো নারী শিক্ষা মন্দির বর্তমানে শেরে বাংলা গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে লেখাপড়া আবারো শুরু করেন।তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক,১৯৬৭ সালে বদরুন্নেসা সরকারী মহিলা কলেজ ইন্টামিডিয়েট এবং ঐ বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

দেশের স্বদেশীও স্বাধীনতা আন্দোলনে উত্তাল মাসে ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুর গভীর আগ্রহে পরমাণু বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়ার সাথে তার বিবাহ জীবন শুরু হয়।

মহান স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী বছর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেন পাকিস্তান সরকার।তাকে করাচিতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একটি বাড়ীতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় তার প্রথম পুত্র সন্তান জয় এর মুখ দেখেন এবং এরপর ১৯৭২ সালে ৯ ডিসেম্বর তার কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়।

শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল সহ তারা পাঁচ ভাই-বোন।বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই এখন আর জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কাল রাতে পিতা শেখ মজিব এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছা সহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।অতপর তার জীবনে বেচে থাকাটাই ছিলো চেলেঞ্জিং।পিতার সহ পুরো পরিবারে মৃত্যুর পর ঘাতকরা যেন আরো ভয়ংকর হয়ে উঠেন।কেউ কেউ রাজপথে ট্যাঙ্কের উপর দাড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন। দেশে পুরো পুরি নিষিদ্ধ হল বঙ্গবন্ধুর নামটি মুখে নেয়া।মহান নেতার হত্যার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে কারো প্রতিবাদ করা ছিলো মৃত্যুরশামিল। অসম্ভব অমানবিক জীবন যাপন করে আজকের এই দিনটির জন্য তিনি নিজেকে বাচিয়ে রেখেছেন।

এরপর তিনি ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সু-সংগঠিত করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মত ক্ষমতায় আসেন।নির্বাচনে কিছু বিতর্কীত থাকলেও দেশের জনগণের মৌণতা প্রমান করে জনগণ তার নেতৃত্বে দেশকে উন্নত বিশ্বের দিকে আরো এগিয়ে নিতে চান।

দেশের বিচক্ষণ দূরদর্শী বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসি না  জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান করতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।এরই মধ্যে তিনি পলি টিকাদান কর্মসূচীর সফল রাষ্ট্র নায়ক হিসাবে “ভেকসিন হিরো” নামে পুরষ্কীত হয়েছেন যা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তিকে উজ্জ্বল করেছেন। এ ছাড়াও নারীর ক্ষমতায়ন,  বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে , স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি,খাদ্যে স্ব-নির্ভরতা, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ,পদ্মা সেতু সহ বেশের শহরাঞ্চলে উড়াল সেতু নির্মান সহ তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

১৯৭৫ এর পর পর্যায়ক্রমে সামরিক শাষকের দূর্নীতি অনিয়ম,স্বৈর শাষকের নিপেষিত জনতার আশা স্বপ্ন,বিএনপির দু’বারের ক্ষমতায় দেশে যখন জঙ্গিবাদ সন্ত্রাবাদ আবাদে অভায়ারণ্য,দেশের অর্থনীতির চাকা যখন ক্রমশত নিন্মমুখী এবং মুক্তি যোদ্ধাদের বুকে ছুড়ি চালিয়ে যখন রাজাকার আলবদরদের মন্ত্রীত্ব দিয়ে গাড়ীতে দেশের পতাকা লাগানোর সুযোগ দিয়ে দেশকে দেশের মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করে ঠিক তখনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আবারো তার শক্ত হাতে দেশের হাল ধরেন।একে একে বিচারের রায় কার্যকর করেন “রাজাকার” তথা দেশের মুল শত্রুদের।দেশ এবার এগিয়ে যাবার পালা।

 আজ তারঁ
“শুভ জন্ম দিন”
এমন জন্মের শুভ ক্ষণে তারঁ জন্য রইল আমার অহর্ণিশ শুভ কামনা”

 

ছবি ও তথ্য
দৈনিক ইত্তেফাক/
অনলাইন মাধ্যম

১৭০৫জন ১৬০৪জন
0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ