(১)
ঢাকা শহরে ছাদ মানে এক টুকরো আকাশ, যদিও অধিকাংশ মানুষের কপালে নিজস্ব ছাদের মালিকানা থাকেনা। এই শহরে ছাদ মানে বারোয়ারি উঠান, সবারই মিলেমিশে ব্যবহারের কথা থাকলেও, পারস্পরিক খোঁচাখুঁচি আর কোন কোন ক্ষেত্রে মালিকের চোখ রাঙ্গানিতে কারোই মন খুলে আকাশটায় ভেসে বেড়ানোর সুযোগ থাকেনা বিশেষ! অতন্দ্রিলাদের বাড়ির ছাদে এসে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে অনিকেত, তাও তো প্রায় চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ মিনিট! অতন্দ্রিলা অনিকেতের সহপাঠিনী আর সবচেয়ে ভালো বন্ধু! শুধু ভালো বন্ধু বললে অবশ্য চেপে যাওয়া হবে, তাদের ভিতরের ব্যাপারটা আরো বেশি গভীর; হয়তো তাই অতন্দ্রিলার বাসার দশতলার ছাদে আসলে এখনো অনিকেতের নিজেকে নেশাগ্রস্ত মনে হয়; একটা অদ্ভুত ভালো লাগার নেশা, আকাশে ঊড়াল দিতে মন চায়, বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ভালোবাসা তার উপস্থিতির জানান দেয়! আজকে অবশ্য অসময়ে এসেছে সে! আগে ওর বাসায় আসলে কোন সমস্যা হতোনা; আজকাল ওর মা নীতু আন্টি বিরক্তি আর প্রত্যাখানের চোখে তাকান বলে মনে হয়; সেটা যেমন সেও বোঝে, অতন্দ্রিলাও বোঝে; আসাটা কমিয়ে দিয়েছে তাই। তবু আসতে হলো, মেসেঞ্জারে জরূরী কল দিয়ে তাকে আসতে বলেছে অতন্দ্রিলা এই ভরদুপুরে। তাও ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলতে হবে যে কাঠফাটা রোদের বদলে একটা ঘন মেঘ সৌর উত্তাপকে ঢেকে রেখেছে; নীচে রাস্তা থেকে হালকা শব্দ আসছে। কিন্তু ছাদের ডানপাশ ঘেষে নতুন একটা এক্সটেনশনের কাজ চলছে; সেখান থেকে দানবের আহত সন্তানের মতো দুর্দম ঢালাই আর লোহা পেটানোর শব্দ আসছে! অতন্দ্রিলা আসলেই ছেলেমানুষি করে খুব বেশি, একটা কফিশপে গিয়ে বসলে কি এমন ক্ষতি হতো! কিন্তু না এখানেই আসতে হবে! আসলে সব মেয়ের মাথায়ই কম বেশি ছিট থাকে সম্ভবত, নিজে নিজেই ভাবে অনিকেত! এখন সহ্য করো কানের পর্দার উপর এই অত্যাচার!
অতন্দ্রিলা আসছে হয়তো, ওর পায়ের আওয়াজ অনেকটা ঝরা পাতা মচমচ করে ভেঙ্গে যাওয়ার মতো, অনিকেত জানে! ওর মন জানে! হালকা নীল জামার উপর সাদা ওড়না জড়িয়ে অনেকটাই হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো অতন্দ্রিলা। অনিকেত কিছু একটা বলার চেষ্টা করতেই, থামিয়ে দিল। তারপর অচেনা কন্ঠে বলল-‘মা আমার সম্বন্ধ পাকা করে ফেলেছে!’ মেয়েটা কাঁপছে, ছোটবেলায় কুড়িয়ে পাওয়া ঝড়ে আধামরা একটা বসন্তবৌরি পাখির মতোন। কি করার আছে এখন তাদের! অনিকেত কেবল অনার্স শেষ করলো, আর চাকুরীর বাজার সেতো চন্দ্রবিজয়ের চেয়েও কঠিন কাজ; এই বাজারে নীল আর্মস্ট্রং ও কিছু জোটাতে পারতোনা! কিন্তু তাই বলে এমন তো নয় ওর মা জানতো না! বরং বেশি যাওয়া আসা দেখেই তড়িঘড়ি করে এতো সব আয়োজন করল? হঠাত সব জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেলো অনিকেতের কাছে! এতো বড় অপমান, কাঁপতে শুরু করল সে। রেগে গেলে তার নানান অদ্ভুত আচরণ শুরু হয়, কাঁপতে কাঁপতে ভেঙ্গে ফেলতে মন চায় সব। আকাশে মেঘ বাড়ছে, একটা বিস্তৃত মেঘ দখল করছে সবটুকু মাঠ, মুঠি পাকিয়ে কয়েকটা কিল ছুড়ল সে শূন্যে! অতন্দ্রিলা ভয় পেয়ে গেলো- ‘আরে! কি করছ! সবাই টের পাবে তো! মা এসে গেলে নতুন সিন ক্রিয়েট শুরু হবে!’ আসুক ওর মা আসুক চৌদ্দগোষ্ঠী আসুক ভাবে ছেলেটা। একটা ইটের টুকরো তুলে নিয়ে নিজের পায়ের কাছে ছুড়ে মারে সে; বেশিদূর যায়না, ওর পায়ের কাছেই বিকট শব্দ তুলে বার দুয়েক লাফিয়ে স্থির হয়! নাহ আর বাড়াবাড়ি করতে দেয়া যায়না ভেবে মেয়েটি হাত চেপে ধরে অনিকেতের! বলে-‘জোর করলে তোমার সাথে পালিয়ে যাব, প্রস্তুত থেকো!’
অত্নদ্রিলার মা নীতু বছর পঞ্চাশের খুঁতখুঁতে মহিলা, মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ আসার পর থেকেই বিড়ালের মতো সতর্ক থাকেন! আজকেও খেয়াল রেখেছিলেন বোধ হয়। উল্টোদিক থেকে অনেকটায় বিনা ভূমিকায় মঞ্চে এসে হাজির হলেন যেন। গলাখাকাড়ি দিয়ে সতর্ক করতে চাইলেন মেয়েকে! চট করে হাত সরিয়ে নিল অতন্দ্রিলা। নীতু বেশি কিছু বললেন না, দুদিন পর বিয়ে, এখন হইচই করা বোকামি। এত বোকা তিনি নন। বৃষ্টি আসবে তাড়াতাড়ি নেমে এসো নীচে তন্দ্রা- বলে নেমে গেলেন নীচের দিকে! মহিলা এতোক্ষণ পাহারা দিচ্ছিল! ভাবতেই অনিকেতের মাথা বনবন করে ঘুরে উঠল, রাগটা সাপের মতো মাথার ভিতরে মোচড় দিতে লাগল! পায়ের কাছে থাকা ভাংগা ইটে কেডস দিয়ে আবার একটা সটান লাথি বসিয়ে দিল সে! না এবার আর থামলোনা কোথাও সেটা; কিছুটা দূর তীব্র গতিতে গিয়ে, তারপর অনেকটা মোরগ লাফ খেলার মতো হোঁচট খেয়ে খেয়ে, ডানদিকের রেলিঙের ভাংগা অংশ দিয়ে পড়ে গেলো নিজে। ‘সর্বনাশ ওইদিকে ত রাস্তা! দোকান! কি করলে এটা অনিকেত? কি করলে তুমি এটা? কারো মাথায় যদি পড়ে? – তীব্র আতংকে প্রায় নীল হয়ে বলে মেয়েটা! অনিকেতের মাথায় কিছু কাজ করছে না! নির্মাণ কাজের জন্য কখন যে ঐ জায়গাটা ভেঙ্গে রাখা হয়েছে, তা সে নিজেও লক্ষ্য করেনি! নিতান্তই অভ্যাসবশত করেছে! কিছুক্ষণ কান পেতে থাকল তারা দুজন, না কোন শব্দ আসছেনা নীচ থেকে, হালকা গাড়ির হর্ণের শব্দ ছাড়া! অপরিচিত দৃষ্টি নিয়ে কয়েক মুহূর্ত দৃষ্টি নিয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ! অতন্দ্রিলার চোখে পানি, অনিকেতের চোখে ভয়! এরকম আর করোনা প্লিজ- অনুনয় করে মেয়েটি! দুজনেই বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছে ভেবে নিঃশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে এখন। একটু আগে একটা মিছিল গিয়েছে বিরোধী দের, এখন আবার হালকা হইচইয়ের শব্দ নীচ থেকে; সরকারী দল বের হবে মনে হয়! তবু আগ্রহ নিয়ে দুজনেই আগায় রেলিঙের দিকে; ঐদিকটায় রাস্তা। অনেক নীচে একদল মানুষ রিকশায় এক মহিলাকে তুলছে, তার বাঁকা ঘাড় দেখে বোঝা যাচ্ছে জ্ঞান নেই অথবা খারাপ কিছু, পাশে স্কুল ড্রেস পড়া একটা ছোট বাচ্চা চেচাচ্ছে বিষম! আশেপাশের কিছু লোক তাদের ছাদের দিকটা আঙ্গুল তুলে দেখাচ্ছে! এখানে কমস্ট্রাকশনের কাজ চলে, তাই জনতার সন্দেহ করাটা স্বাভাবিক! সবটুকু স্বস্তি দুম করে উড়ে গেলো তাদের দুজনের! হালকা বৃষ্টিতে অনিকেত মৃগী রূগীর মতো কাঁপছে! অতন্দ্রিলা পাথরের দেবীর মতো শক্ত মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে! হঠাত গমগমে গলায় বলে উঠলো-‘যথেষ্ট হয়েছে অনিকেত! প্লিজ, পুকুরের পাশের গেট দিয়ে বের হয়ে যাও, নাহলে সবাই মিলে বিপদে পড়ব! কেউ জানেনা কে ফেলেছে! সন্দেহ করলে পাশের ওই কনস্ট্রাকশন সাইটকে করবে! এরমধ্যে আমাদের ছাদে দেখলে মহা ঝামেলা হবে! প্লিজ, অনিকেত নামো!’ বৃষ্টি বাড়ছে ধীরে ধীরে, তারা দুজন দৌড়ে চলে গেলো সিঁড়ির দিকে।
বাসা থেকে বের হতে সমস্যা হলোনা ছেলেটার, এমনকি মূল রাস্তায় ও আর বেশি ভিড় নেই; যেন কিছুই কখনো হয়নি এখানে। চোখ বন্ধ করে এলাকাটা পার হয়ে এসে দৌড় দিল অনিকেত! ভিজে যাচ্ছে সব, মোবাইল, জামা কাপড়! অনিকেত দৌড়াচ্ছে, তার পিছনে পিছনে ছুটে আসছে ভয়ের অক্টোপাস! অনিকেত কিছুই দেখছেনা ভালো মতো, শুধু ভয় আর ভয়! সে নিজেও জানেনা কোথায় গন্তব্য! তবু অভ্যস্ত পা দুটো তাকে টেনে নিচ্ছে সম্ভবত। বৃষ্টি তীব্রতর হচ্ছে; অনিকেতের পিছনে লেজ পাকিয়ে সাপের মতো তাড়া করছে ভয়ের সরীসৃপের মতো দেহ! সবকিছু ঘোলাটে আর ঝাপসা; ক্রমশ বিমূর্ততার আড়ালে শরীর ঢেকে দিচ্ছে অনাবিল বাস্তবতা! রেল ঘুমটির কাছে টহলরত পুলিশের ইনস্পেকটরেরে কাছে, কেমন যেন লাগলো, অনিকেতের দৌড়ানোর ধরন! হাজার হোক হাজার খানেক অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ পুলিশের চোখ! তবু একটা আলসেমির কারণে অথবা বৃষ্টিতে ভেজার অনিচ্ছায় বেরোলো না সে টিনশেডের আড়াল থেকে! অনিকেতের অবশ্য এতো কিছুতে নজর দেয়ার সময় ছিলোনা। এখন তার সামনে বিস্তীর্ণ মাঠ, সে শুধু জানে তাকে দৌড়াতে হবে।
সেদিনের ঝড়ো বৃষ্টিটা আর বর্ষণে সীমাবদ্ধ থাকলোনা। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছাড়াই একটা উথাল পাথাল ঝড় শহর কাঁপিয়ে দিল! অর্ধেক মহানগরী সেদিনের রাতে তীব্র অন্ধকারে ডুবে গেলো, অনেকটা অর্ধেক অংশ কৃষ্ণবিবরের মাঝে ঢুকে যাওয়ার মতো! নীচু দিক গুলো অথৈ নদীর মতো থৈ থৈ করতে লাগল। যেসব বাচ্চারা কথা বলতে শিখছে মাত্র, তাদের উতলা মায়েরা বারান্দার গ্রীলের ফাঁক দিয়ে সন্তানদের নদীর শব্দ চেনাতে ব্যস্ত হলেন, শহরে নদী এসে যাওয়া কম উল্লেখযোগ্য ঘটনা নয়! এদিকে বছর সত্তর বয়সের রাজু ইঞ্জিনিয়ার তার মসৃণ টাক পড়া মাথায় হাত বোলাচ্ছিলেন। তার ছেলে অনিকেত আজ একবারও ফোন করেনি। এমনিতেই এ যুগের ছেলে মেয়ে গুলো কেমন যেন; তারউপর এই ব্যাটা একটা আস্ত বেয়াক্কেল, নাহলে ঢাকা শহরে নিজের বাসা রেখে কেউ ভার্সিটির হোস্টেলে উঠে! বাসাটা সামান্য দূরেই না হয়, তা বলে কি যাওয়া আসা করা যায়না! আসলে সংগদোষে সব ভাসে। যতো বেশি ভাবছিলেন ততো মেজাজ চড়ে যাচ্ছিল তার। অন্যদিকে সমস্ত ঘরে হিসহিসে অন্ধকার, জানালায় সামান্য চাঁদের আলো ছুঁয়ে আছে। হঠাত হেসে উঠলো অনিকেতের মা বেণু।
-‘হাসির কি হলো?’
-‘চান্দের আলোয় তোমার টাক মাথা কেমন ঝলক খাইতেছে। চোখ মুখ আন্দাজ করা যায়না, খালি টাকই বোঝা যায়!’
বলে আবার ফিকফিক করে হাসি! মহিলার বয়স হয়েছে কান্ডজ্ঞান হয়নাই, যেমন ব্যাটা তেমন মা, ভাবে রাজু সাহেব! রাতের কাটা ক্রমশ ঘুরছে। আলো থাকুক বা নাই থাকুক ঘুমের পাহারাদার এসে যাচ্ছে সবার চোখে। ঘুম সম্ভবত দুঃশ্চিন্তাকে কমিয়ে দেয় খানিকটা, রাজু সাহেব ও বিছানার দিকে যাবেন, এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো। সব শব্দেরই একটা কাঙ্ক্ষিত সময় থাকে। অনাকাংখিত সময়ে সেই পরিচিত শব্দও ভয়াবহ আবেগীয় বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে! কাঁপা কাঁপা পায়ে দরোজার সামনে গিয়ে চেঁচালেন রাজু সাহেব-
-কে?
উত্তর নেই। একটা অপার্থিব নীরবতা। ভয় খেলে গেলো তার মনে। আবার চেঁচালেন,
-কে? কি চাই?
একটা অস্ফুট গোঙ্গানির মতো ভেসে এলো। মনে হলো কেউ বলল বাবা! একটা কন্ঠ বলে উঠলো ‘বাবা খোল!’ এই একটা শব্দ বাবারা ভুল শুনতে পারেননা কখনো। যতো আস্তেই হোক আর যতো দূরেই হোক তারা শুনে ফেলেন। দুরমুর করে দরোজা খুলতেই ভিতরে হুমড়ি খেয়ে ঢুকলো অনিকেত! ততোক্ষণে বেণু হাতে চার্জার লাইট নিয়ে চলে এসেছেন! হ্যা! অনিকেতই এসেছে! কিন্তু একি অবস্থা! সমগ্র শরীর চুপসে আছে, কাদায় মাটির স্তূপের মতো দেখাচ্ছে শরীর! কোন প্রশ্নের উত্তর সে দিতে পারছেনা! ভয়ে শিড়দারা কেঁপে উঠলো তাদের, যেন ছেলেটার শরীর ফিরে এসেছে, বাকী সব চেতনা লুপ্ত! খানিক বিস্ময়কর স্তব্ধতার পর হুট করে চেঁচিয়ে উঠলেন দুইজন! জেগে উঠল বাড়ির আর সকলেই! এইরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ফিরে এলো বিদ্যুৎ। জ্বলে উঠলো আলো, জাগলো সবাই। অনিকেত ফিরে এসেছে ঘরে! কিন্তু কে এই অনিকেত! কি হয়েছে তার?
মা বেণু মাথায় হাত দিতেই বুঝলেন ভয়ংকর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তার পুরো শরীর। কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে যেন, পার্থিব নাকি অপার্থিব কেউ! কে জানে! পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ছোট মেয়ে নীলা ছুটলো পানির বালতি আনতে। প্রশ্নের উত্তর পড়ে খোঁজা যাবে, আগে শরীরটা পরিষ্কার করে জ্বর নামানো দরকার!
চলবে………
১২টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
গল্পের শুরুটা দারুন হয়েছে ভাই। অতন্দ্রিলা ও অনিকেতের সম্পর্ক টা স্বাভাবিক ভাবেই প্রেমের দিকে বাঁক নিয়েছে। এমনটাই হয় আশেপাশে, মায়েরাও এমন শেয়ানা গিরি করে থাকে । অনিকেতের মায়ের মজা করাটা দারুন লাগলো। এ ব্যাটা আস্ত বেয়াক্কেল- কথাটায় মজা লাগলো অনেক। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
সৌবর্ণ বাঁধন
ধন্যবাদ দিদি।
ফয়জুল মহী
মনোযোগ দিয়ে পড়লাম । মুগ্ধ হলাম লেখায়
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল কবি দা দ্বিয়পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
মা বলে কথা।
পড়লাম।আর একবার পড়তে হবে।
ধন্যবাদ।
সৌবর্ণ বাঁধন
অসংখ্য ধন্যবাদ
সাবিনা ইয়াসমিন
গল্পের শুরুতেই দুর্ঘটনা! মনের অজান্তে হয়ে যাওয়া দুর্ঘটনার রেশ অনিকেতকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় ভাবছি। সন্তানের কন্ঠস্বরে কি আছে সেটা যেমন জন্মদাতা বুঝতে পারে, তেমনি আইনের লোকের দৃষ্টিতে অপরাধীর ক্রিয়া/প্রতিক্রিয়াও গোপন থাকে না।
শহুরে ছাঁদ আর উঠোনের পার্থক্যটা বেশ ভালো লাগলো।
পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় আছি 🙂
শুভ কামনা 🌹🌹
সৌবর্ণ বাঁধন
ধন্যবাদ। সুস্থ ও সাবধানে থাকুন।
আরজু মুক্তা
শুরুটা দারুণ।
বাকির অপেক্ষায়।
শহুরে ছাদ হলো এক ফালি আকাশ।
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ।