গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান ,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ
ধর্মজাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের
জ্ঞাতি ।
‘পুজারী, দুয়ার খোল,
ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পুজার সময়
হলো !’
স্বপ্ন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়
দেবতার বরে আজ রাজা-
টাজা হয়ে যাবে নিশ্চয় !
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান্থ, ‘দ্বার খোল বাবা,
খাইনা তো সাত দিন !’
সহসা বন্ধ হল মন্দির , ভুখারী ফিরিয়া চলে
তিমির রাত্রি পথ জুড়ে তার ক্ষুধার মানিক
জ্বলে !
ভুখারী ফুকারি’ কয়,
‘ঐ মন্দির পুজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয় !’
মসজিদে কাল শিরনী আছিল, অঢেল গোস্ত রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই
কুটিকুটি !
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে-আজারির চিন্
বলে, ‘বাবা, আমি ভুখা ফাকা আছি আজ
নিয়ে সাত দিন !’
তেরিয়াঁ হইয়া হাঁকিল
মোল্লা–”ভ্যালা হলো দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গে-ভাগাড়ে গিয়ে ! নামাজ পড়িস
বেটা ?”
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা !’ মোল্লা হাঁকিল-
‘তা হলে শালা
সোজা পথ দেখ !’ গোস্ত-
রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা !
(অসমাপ্ত)
উপরের কবিতাটি আমাদের জাতীয় কবি বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতার কিছু অংশ বিশেষ।কবি তার কবিতায় সুন্দর ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন ধনী গরিবের ব্যাবধানকে।পৃথিবী সব সৃষ্টির মূলে আছেন স্রষ্টার হাত তবে কেনো মানুষে মানুষে এতো পার্থক্য! তা প্রত্যক সমাজে কিছু নামধারী অমানুষ আছেন যাদের উচ্চাভিলাসা চরিতার্থ করতে গিয়ে অন্যকে ঠকিয়ে সস্পদকে করেন কুক্ষিগত যা সমাজে সাম্যহীনতা সৃষ্টি করেন।কেউ খায় কেউ পায় না,কারো বাস্থানের জমিন অঢেল কারো বা মাথা গোজাবার সামান্যতম জমিনও নেই।এমনি বৈসম্যে সাম্যতার নীতি নিয়ে এগিয়ে আসেন বলিভিয়ায় চে গেভারার পুজিবাদের শোষনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কন্ঠস্বর।
তার পুরো নাম এবং বিস্তারিত… -{@
-{@ নামঃ এর্নেস্তো গেভারা দে লা সের্না
-{@ জন্মঃ জুন ১৪, ১৯২৮ইংরেজী
-{@ স্থানঃ রোসারিও, আর্জেন্টিনা
-{@ মৃত্যু,(কারো মতে মার্ডার)
বলিভিয়ার সেনা বাহিনীর ভাষ্য মতে তারা গেভারাকে ৭ অক্টোবর গ্রেফতার করেন এবং তার মৃত্যু হয় ৯ অক্টোবর ১৯৬৭ সাল বেলা ১.১০ টায়।মৃত্যুর এ সময়কাল এবং ধরণ নিয়ে মত ভেদ এবং রহস্য এখনো আছে।ধারণা করা হয় ১৯৬৭ সালের এই দিনটিতে লা হিগুয়েরা নামক স্থানে নিরস্ত্র অবস্থায় নয়টি গুলি করে হত্যা করা হয় বন্দী চে গেভারাকে পরে বলিভিয়ার সেনা বাহিনী ঘোষণা করে যে বন্দী অবস্থায় নয়টি গুলি চালিয়ে সেই আর্জেন্টাইন ‘সন্ত্রাসবাদী’কে মেরে ফেলতে পেরেছেন এক মদ্যপ সৈনিক। তবে আরেকটি মতা মত হচ্ছে এই দিন যুদ্ধে বন্দী হলেও তাকে এবং তার সহ যোদ্ধাদের হত্যা করা হয় কিছুদিন পর।মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন প্রতিবেদনে পরবর্তীতে এইসব দাবির সপক্ষে কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়।এমনি ভিন্ন ভিন্ন মত বাদ আছে তার মৃত্যুকে নিয়ে।
এ সম্পর্কে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা সে সময় লিখেছিলো,
‘একজন মানুষের সঙ্গে সঙ্গে একটি রূপকথাও চির তরে বিশ্রামে চলে গেল।
পরে ১৯৯৭ সালে ভ্যালে গ্রান্দের একটি গণ-কবরে চে ও তাঁর সহ যোদ্ধাদের দেহাবশেষ আবিষ্কৃত করা হয়।
-{@ সমাধিঃ
Che Guevara Mausoleum
সানতা ক্লারা,কিউবা ।
-{@ পেশাঃ
এক জন আর্জেন্টিনীয় মার্কস বাদী, বিপ্লবী, চিকিৎসক, লেখক, বুদ্ধি জীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব।
-{@ প্রতিষ্ঠানঃ
২৬ শে জুলাই আন্দোলন, ইউনাইটেড
পার্টি অফ দ্য কিউবান সোশ্যালিস্ট
রেভোলিউশনও ন্যাশানাল লিবারেশন
আর্মি (বলিভিয়া)
-{@ ধর্মঃ
নাস্তিক (Marxist humanist)
-{@ দম্পতিঃ
Hilda Gadea (1955–1959)
Aleida,March (1959–1967, his
death)
-{@ সন্তানঃ
হিলডা (জন্ম হতে মৃত্যু1956–1995),
Aleida (জন্মঃ1960),
Camilo (জন্মঃ1962),
Celia (জন্মঃ1963),
Ernesto (জন্মঃ1965)
-{@ খুব ছোট বেলা থেকেই সমাজের বঞ্চিত, অসহায়, দরিদ্রদের প্রতি এক ধরনের মমত্ববোধ তাঁর ভিতর তৈরি হতে থাকে। একটি সমাজ তান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার পরিবারে বেড়ে ওঠার করনে খুব অল্প বয়সেই তিনি রাজনীতি সম্পর্কে বেশ জ্ঞান লাভ করেন। তার বাবা ছিলেন স্পেনের গৃহ যুদ্ধে রিপাবলিকানদের একজন গোড়া সমর্থক, সেই সংঘর্ষের সৈনিকদের তিনি প্রায়ই বাড়িতে থাকতে দিতেন।
তার সবচেয়ে বড় গুণ বলেন আর আর্কষন বলেন কবিতার প্রতি ছিলো তার প্রচন্ড আবেগ। বিশেষ করে পাবলো নেরুদা, জন কিটস, এন্টনিও মারকাদো, ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা, গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল এবং ওয়াল্ট হুইট ম্যান, তিনি ভালো কবিতা আবৃত্তি করতে পারতেন। সে স্মৃতি থেকে আবৃতি করতে পারতেন, রুডিয়ার্ড কিপলিং এর “if-” এবং জোসে হার্নান্দেজ এর “Martin Fierro”। গেভারার পরিবারে ছিল ৩০০০ বেশি বই যা চে গেভারা করে তোলে একজন জ্ঞান পিপাসু ও আক্লান্ত পাঠক। যার মধ্যে কার্ল মার্ক্স, উইলিয়াম ফকনার, এমিলিও সল গারির বই। তাছাড়াও জওহরলাল নেহেরু, আলবেয়র কামু, লেলিন, রবার্ট ফ্রস্ট এর বইও তিনি পড়তেন।তার হাপানি নামক এক শ্বাস কষ্ট রোগ থাকার পরও সে তার কর্মে ছিলেন অনবদ্য ক্লান্তহীন।সে সপ্তাহে এক দিন তার পরিধেয় জামা কাপড় পাল্টাতেন তার মুবয়ের গেটাপই বলে দিতো সে এক জন বিপ্লোবি মনের অধিকারী।
চে গেভারা ১৯৪৮ সালে বুয়েনস এয়ারস বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা বিষয়ে লেখা পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন যা ১৯৫১ সালে লেখা পড়ায় এক বছর বিরতি দিয়ে আল বার্টো গ্রানাডো নমক এক বন্ধুকে সাথে করে মোটর সাইকেলে দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমনে বেরিয়ে পড়েন যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পেরুর সান পেবলোর লেপার কলোনিতে (কুষ্ট রোগী দের জন্য বিশেষ কলোনি) স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে কয়েক সপ্তাহ কাজ করা,মাচু পিচ্চুর যাওয়ার পথে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র কৃষকদের চরম দারিদ্র দেখে মর্মাহত হন।এ কৃষকরা ধনি মহা জনদের অধিনে থেকে ছোট ছোট জমিতে কাজ করতেন যা তাঁর ভ্রমণের পরবর্তি সময়ে তিনি লেপার কলোনিতে বস বাস কারী মানুষের মাঝে ভাতৃত্ব ও সহ চার্য দেখে অভিভূত হন।এই অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর ডায়েরীতে(The Motorcycle Diaries,)সে লিখেছিলেন, ‘মানব সত্ত্বার ঐক্য ও সংহতির সর্বোচ্চ রুপটি এসকল একাকী ও বেপরোয়া মানুষদের মাঝে জেগে উঠেছে’ তার এই দিন লিপি নিউয়র্ক টাইমস এর বেস্ট সেলার তা পরে একই নামে (The Motorcycle Diaries,)চলচ্চিত্রও বের হয় যা সেই সময় পুরস্কৃত হয়েছিল।
১৯৫৩ সালের ৭ই জুলাই মাসে চে আবারও বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, পানামা, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, হনডুরাস এবং সাল ভাডরের উদ্দ্যেশে বের হন।গুয়েতে মালা ছাড়ার পূর্বে ১৯৫৩ সালের ১০ডিসেম্বর কোষ্টারিকা থেকে তার আন্টিকে সব কিছুর বৃত্তান্ত দিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানির বিভিন্ন প্রদেশে ভ্রমণের কথা লিখেছিলেন। তিনি এভাবে তার সংরক্ষনশীল আত্মীয়দের আতঙ্কিত করতে চেয়েছিলেন।
১৯৫৪ সালের গোড়ার দিকে চে মেক্সিকো শহরে পৌছান এবং সদর হাসপাতালে এলার্জি বিভাগে চাকুরি করেন।পাশাপাশি ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভির্সিটি অব মেক্সিকোতে মেডিসিন বিষয়ে প্রভাষক এবং লাতিনা সংবাদ সংস্থার চিত্র গ্রাহক হিসেবে কাজ করেন।১৯৫৫ সালের জুন মাসে তার বন্ধু নিকো লোপেজ রাউল কাস্ত্রোর সাথে তার পরিচয় করান এবং পরে তার বড় ভাই ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে পরিচিত হন।কাস্ত্রোর সাথে তার প্রথম সাক্ষাতে দীর্ঘ আলাপ চারিতা হয় এবং চে বলেন যে কিউবার সমস্যা নিয়ে তিনি চিন্তিত।২৬শে জুলাই আন্দোলন দলের সদস্য হন।সেই সময় তিনি যুক্ত রাষ্ট্রের সাম্রাজ্য বাদের ঘোর বিরোধী ছিলেন এবং সে বিশ্বাস করতেন এই ঘৃণ্য আগ্রাসি তৎপরতার আশু সমাপ্তি প্রয়োজন।
বিপ্লবের পরি কল্পনায় কাস্ত্রের প্রথম পদ ক্ষেপ ছিল মেক্সিকো হতে কিউবায় আক্রমণ করেন। ১৯৫৬ সালের ২৫শে নভেম্বর তারা কিউবার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।পৌছানোর সাথে সাথেই বাতিস্তার সেনা বাহীনি দ্বারা তারা আক্রান্ত হন।সেখানে তার ৮২ জন সহ যোগি কারা বন্দী হয় অনেকে ধারনা করেন মারা যায়। কেবল মাত্র মাত্র ২২জন এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিল।গেভারা লিখেছিলেন “সেটা ছিল সেই রক্ত ক্ষয়ী মুখো মুখি সংঘর্ষের সময় যখন তিনি তার চিকিৎসা সামগ্রীর সাথে এক জন কমরেডের ফেলে যাওয়া এক বাক্স গোলা বারুদ নিয়েছিলেন, যা তাকে অবশেষে চিকিৎসক থেকে বিপ্লবীতে পরিনত করে”।
পরবর্তীতে সিয়েরা মস্ত্রা পর্বত মালায় বিদ্রোহীদের ছোট্ট একটা অংশ পুনরায় সংঘবদ্ধ হতে পেরেছিলেন। সেখানে তারা ২৬ শে জুলাই আন্দোলনের গেরিলা এবং স্থানীয় লোক জনদের সহ যোগিতা লাভ করেতে পেরেছিলেন। সিয়েরা থেকে দল উঠিয়ে দেবার সময় কাস্ত্রোর একটি সাক্ষাতকার নিউয়র্ক টাইমসে প্রকাশ করা হয়।
যার আগে ১৯৫৭ পর্যন্ত সারা পৃথিবীর মানুষ জানত না তিনি বেঁচে আছেন কি না! সেই নিবন্ধে কাস্ত্রো ও বিপ্লবীদের কাল্পনিক ছবি ছিল।গেভারা সেই সাক্ষাতকারে উপস্থিত ছিলেন না কিন্তু কিছু দিন পর তিনি তাদের এই বিপ্লবে প্রচার মাধ্যমের গুরুত্ব বুঝতে পারেন। আত্মবিশ্বাসের সাথে সাথে রসদ সরবরাহ কমে এসেছিল পাশাপাশি ছিল প্রচণ্ড মশার উত্পাত তাই গেভারা সেই সময়টাকে যুদ্ধের সবচেয়ে ব্যাথার সময় বলে অবহিত করেছিলেন।
যুদ্ধ চলাকালীন চে বিদ্রোহী সেনা বাহিনীর অখন্ড অংশ হয়ে গিয়েছিলেন।সে ফিদেল কাস্ত্রোকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, কূটনীতি এবং অধ্যবসায়ের কথা জানিয়ে ছিলেন।চে গ্রেনেড তৈরির কারখানা, রুটি তৈরীর জন্য চুল্লি প্রস্তুত এবং নিরক্ষর সঙ্গীদের লেখাপড়ার জন্য পাঠশালা তৈরি করেন।এ ছাড়াও সে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, সামরিক প্রশিক্ষনের কর্মশালা আয়োজন এবং তথ্য সর বরাহের জন্য পত্রিকা প্রচার করতেন। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তিন বছর পর তাকে ’’কাস্ত্রোর মস্তিষ্ক’’’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। তার পর তিনি বিদ্রোহী বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে পদোন্নতি পান। গেভারা শৃঙ্খলার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন, কর্তব্যে অবহেলাকারীদের তিনি নির্দ্বিধায় গুলি করে মারতে দ্বিদাবোধ করেননি।এই প্রচন্ড মানসিকতা তাকে তার ইউনিটে সবার চেয়ে ভয়ংকর ভাবে উপস্থাপন করেছিল।তাই গেরিলা অভিযানের সময় গুপ্ত ঘাতকদের মৃত্যু দন্ড দেবার দায়িত্ব ছিল তার উপর। চে এমন কঠিন প্রশাসক হওয়া সত্ত্বেও সৈন্যদের শিক্ষক হিসেবে ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং কাজের ফাঁকে তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থাও করতেন।
সে ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত চে কিউবার শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।সেই সময় সে কিউবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।এসময় কিউবান নোট গুলোতে তার স্বাক্ষরে শুধু “চে” লেখা থাকতো। ১৯৬৫ সালে আল জিয়ার্স সফর কালে সোভিয়েত সরকারকে সাম্রাজ্য বাদের দোসর আখ্যা দেয়ার ফলে দেশে ফেরার সাথে সাথে তার মন্ত্রীত্বও বাতিল হয়।তার পর থেকে সে বিপ্লবের পথে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন এবং নিয়ম তান্ত্রিক রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান।
মোটা মোটি এই ছিলো তার সংগ্রামী জীবনের ঘাত প্রতি ঘাত তবে সে সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় কিংবা সর্বো স্তরের মানুষের মনোযোগ আর্কষন করেন ১৮৮৬ সালের ১ মে শ্রম ঘণ্টা (আট ঘণ্টা) নির্ধারণের দাবিতে যুক্ত রাষ্ট্রের শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেটে’ নির্যাতিত শ্রমিকদের শান্তি পূর্ণ কর্ম সূচিতে মালিক এবং সরকার পক্ষের বর্বরোচিত আক্রমণ, গুলিবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যদিয়ে ‘মহান মে দিবস’-এর সূচনা হয়।
সে দিনের সেই কর্মসূচিতে প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক তথা মেহনতী মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।দাবি আদায়ের জন্য সেদিন শ্রমিকদের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয় শিকাগোর রাজ পথে পথে। শ্রমিকদের এই আত্মত্যাগ ও রক্ত স্নাত ঘটনার মধ্যদিয়ে দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ঐতিহাসিক বিজয় হয়।
সে দিনের সেই ঘটনার মাত্র ৩ বছরের মাথায় ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগো ট্র্যাজেডিকে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। সেই থেকে আজ অবধি শ্রমিকের ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের সংগ্রামী চেতনার অমিত তেজ সঞ্চারের দিন হিসেবে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে আর তাতে লিডার ছিলে বিপ্লোবী চে।
মৃত্যু ঠিক পূর্বো মুহুর্তে সে বলেছিল…‘তোমার সৈন্যদের বলো, লক্ষ্য স্খির করে গুলি ছুড়তে। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।’বিপ্লোবীর কখনও মরন হয় না যুগে যুগে এরা বেচে থাকেন সব সুবিদা বঞ্চিত মানুষের মাঝে হঠাৎ জেগে উঠার মানষে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথা যোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। এ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শোভা যাত্রা, আলোচনা সভা, মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়ে থাকে।
-{@ চে গুয়েভার মৃত্যুর ভিডিও
-{@ চে এর সংগ্রামী জীবনের কিছু অংশ বিশেষ ভিডিও
-{@ গুয়েভারার সম্পূর্ণ ডকুমেন্টরী ভিডিও
-{@ সবাইকে বিপ্লোবী মে দিবসের শুভেচ্ছা এবং শ্রমিকের শ্রমের ঘাম মুছে যাবার আগেই তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবার আহবান।
…………………………………………………………………………………………………………….
কৃতজ্ঞতায়
বিভিন্ন ব্লগ এবং উইকিপিয়া
১৬টি মন্তব্য
ইমন
বাহ! একটি তথ্য বহুল রচনা। আপনাকে ধন্যবাদ মনির ভাই এমন একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য। 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপনাকেও।ভাল থাকবেন।
স্বপ্ন নীলা
অনেক না জানা বিষয়গুলো জানা হলো — তথ্যবহুল একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অশেষ ধন্যবাদ আপু।
ব্লগার সজীব
এমন পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ মনির ভাই।অনেক অজানা তথ্য পেলাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপনাকেও যেহেতু আমি শ্রমিক সে হিসাবে এটা আমারও আন্দোলন তাইতো নিজে জানা এবং জানানোর চেষ্টা করছি মাত্র।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মনির ভাই। অনেক কিছু জানবার ছিল, যেটা আজকে পূর্ন হলো। বাংলায় তার নামটা একেক জন একেক ভাবে উচ্চারন করে। আপনিও কনফিউজড হয়ে গেলেন? দুইরকম নাম এক পোস্টে কেমন যেন লাগেনা !! 🙂
আবারও অনেক ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চে গেভারাই আসল মনে হয় তবে চে গুয়েভারাও অনেকে বলেন প্রথম প্রথম আমিও চে গুয়েভারাই জানতাম তবে পোষ্ট করার আগে অন লাইনের বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দেখতে পাই তাই আমিও কনফিউজ ভাবে দুটো শব্দই ব্যাবহার করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
খেয়ালী মেয়ে
চে গুয়েভারাটাই সঠিক জেনে আসছিলাম এতোদিন ধরে..
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ তথ্যবহুল পোস্টের জন্য….
একজন মানুষের সঙ্গে সঙ্গে একটি রূপকথাও চির তরে বিশ্রামে চলে গেল (y)
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপনাকে ভাল থাকবেন।
রিপন তালুকদার
আজকের মে দিবসে তাকে স্যালুট জানাই ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ বিপ্লোবী আপনাকেও।
লীলাবতী
বিপ্লবী চে গুয়েভারার জন্য আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হ্যা শ্রমিকের ন্যার্য হিস্সা দেয়া ফরজ।ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
মনির ভাইয়া শিরোনামে বিপ্লোবী শব্দের পরিবর্তে বিপ্লবী করে দিন।সম্ভবত আমি খেয়াল করতে পারেননি।