মুসলমান এবং ঐক্য০২

মনির হোসেন মমি ৯ নভেম্বর ২০১৩, শনিবার, ০৫:২০:৪৪অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪ মন্তব্য

মালালা একজন প্রতিবাদী মেয়ে। কাদের বিরুদ্ধে সে প্রতিবাদ করছে একটি মুসলিম রাষ্ট্রে বাস করে?মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঐসব মুসলমান যারা ইসলামের নামে মানুষের উপর অত্যাচার করছে বিশেষ করে নারীদের অথচ ইসলামে নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে।ইসলামেই আছে প্রত্যক নর-নারীর জন্য জ্ঞান অজন করা ফরজ ।যদি সূদূর চীনে যেতে হয় তাও যাবে।সেখানে তালেবানরা কেনো বাধা দেয়?কেনো নারীকে ঘরে বন্দী করে রাখে?কেনবা এত হিংস্র।তালেবানদের হিংস্রতার স্বীকার মালালার মত আরো নাম না জানা অনেকে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ৮০ দশকে তালেবান আমেরিকারই সৃষ্টি।তালেবানদের আমেরিকাই অস্ত্রবাজীর প্রশিক্ষন দেয়।অথচ এখন আমেরিকার চোখে তারা সন্ত্রাসী।এরকম ওসামা বিন লাদেনও ডিগ্রী নিয়েছিলেন আমেরিকায়। অবশেষে তাদের হাতেই মৃত্যু আর ইসলামকে বিশ্বের দরবারে সন্ত্রাসী হিসাবে আখ্যা দিল অথচ ইসলামের বিশ্বনেতারা তা হজম করলেন একেবারে অনায়াসে।কিছু দিন জানা যায় মালালা আমেরিকারএকটি সাজানো ঘটনা ।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ।এখানে বিভিন্ন RELIGIONS এর সমান অধিকারের বসবাস।যা সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই মতে বিস্বাসী এ দেশের প্রতিটি জনগণ।একটা সময় এ দেশের ধর্ম পরায়ন মানুষ মনে করত মসজিদের হুজুরই FOR THE BEST মানুষের যে কোন সমস্যায়। সামান্য পানি পড়া দিয়েও অনেক কঠিন রোগ ভালো করে দিত।ধীরে ধীরে মানুষের ঈমানের জোর কমতে থাকে এবং বাচার তাগিদে বিভিন্ন পথ অবলম্ভন করে।মানব সেবার নামে ভন্ডামী ভর করে কিছু কিছু পীর -হুজুরের মাঝে ।কালের আবর্তনে মানুষ উচ্চ শিক্ষিত হতে থাকে।এবং এ রকম ভন্ডামীর দিন শেষ হয়।ইসলামের সহজ ক্ষমা ইসলামকে মানুষ হতে দূরে ঠেলে দেয়।আজ বাংলাদেশের শতকারা ৯০%মুসলমান ।আল্লাহ ইবাদতে মসগুল।কর্তব্যের প্রয়োজনে কেউ স্কুলে কেউবা মাদ্রাসায় লেখা পড়া শিখছে।মা বাবা সাধারনত তার অপেক্ষাকৃত মেধাবী ভালো ছেলেকে স্কুল কলেজে আর অপেক্ষাকৃত কমজুড়ী ছেলে মেয়েদের মাদ্রাসায় দিত।স্কুল এবং মাদ্রাসা আমাদের গুরুজনেরাই বিভাজন করে গেছেন।সাথে রাষ্ট্রের অনিহা অনাগ্রতা মাদ্রাসার ছেলেদের হতাসায় ফেলে রাখে তখন ভন্ড পীর কিংবা হুজুররা তাদের মেধাকে কাজে লাগান শুধুই গুড়ামী ইসলামের দিকে ।কেহ কেহ তাদের মান্যতাকে পুজি করে আল্লাহ নামে শহীদ হবে বলে সন্ত্রাসী কাযকলাপ করান।রাষ্ট্রের উচিত চিল মাদ্রাসার দিকে বিশেষ নজর দেয়ার।তাদেরও অধিকার আছে রাষ্ট্রের সুবিগুলোর প্রতি।আমাদের অবহেলায় ওরা আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়।আর রাষ্ট্র তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে যেমন ১০ মিনিটে শাপলা চত্বর পরিস্কারএক মুসলমানকে আর এক মুসলমান এভাবে মারতে পারে!!! রাষ্ট্রের অভিযোগ ওরা বিশৃংখলা করেছে -পবিত্র কোরান পুড়েছে।এটাও কি হয় যে কোরানকে স্পর্শ করতে অজুঁ করতে সেই কোরানকে পুড়ে ফেলা কি একজন মুসলমানের পক্ষে সম্ভব?রাষ্ট্র কত নির্মম।কত টা ডেঞ্জার।ক্ষমতার তরে রাতকে দিন,দিনকে রাত করতে সময় লাগেনা তাদের।রাষ্ট্রের গাগলিতর কারনে বাংলাদেশ জন্ম হওয়া থেকে এমন ইসলামী আন্দোলন আর কখনও এ দেশে ঘটেনি।মাদ্রাসার কচি মনের ছেলেদের রাস্তায় নামানো এবং রাতের আধারে নেতৃত্বহীন করে তাদের মৃত্যুর মূখে ঠেলে দেয়া কোন সভ্য সমাজের নেতার পরিচয় হেফাজতি নেতারা দিলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।এ দেশ যদিও মুসলিম সংখ্যা বেশী তার পরও স্বাধীনের পর হতে ‘৯১/৯২তে দেশে পোষাক শিল্পে এক বিরাট বিল্পব ঘটে যা দেশের অথনৈতিকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করে সেই পোষাক শিল্পের চালিকা শক্তি হলো এ দেশের গ্রাম থেকে উঠে আসা অর্ধহারে-অনাহারে থাকা নারীরা।তাদের নিয়েও হেফাজতের তিরস্কার। ” জগতে যা কিছু কল্যানকর অর্ধেক আনিয়াছে নর অর্ধেক আনিয়াছে তার নারী”সেই নারীকে ঘরে রেখে কোন জাতি উন্নয়ন করতে পারবেনা।সিঙ্গাপুর প্রবাসে যখন ছিলাম তখন বিদেশীরা অবাক হত আমাদের নারীদের কেবল ঘরের গৃহিনী ভেবে।কি করে সম্ভব যেখানে ওরা নর-নারী উভয় কাজ করেও নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে পারেনা সেখানে আমরা নারীদের বাহিরে কোন কাজই করতে দেইনা।বিশ্বের বহু দেশে আমাদের মত ফ্যামিলি চালানোর দায়ীয়ত্ব শুধু দুই একজন পূরুষের উপর বর্তায় না।তারা যার যেমন আয় তার তেমন খরচ হিসাবে চলে।কারো আয়ের উপর কেউ নির্ভর নয়।তাই দেশ উন্নয়নে নারীদেরকেও বাহিরে কাজে লাগাতে হবে।আজ আমরা যখন সেই দিক দিয়ে সফল হতে চলছি তখন হেফাজতের এমন মন্তব্য খুবই দুঃখজনক।যেহেতু আমি(নারী)মুসলিম আমাকে কিভাবে পর্দাশীল ভাবে চলতে হবে তা আমার হাদিস কোরানেই বলা আছে।কোরানে বলা নেই নারীরা বাহির হতে পারবেনা বাহিরে কাজ করতে পারবেনা।

যাক সে অনেক কথা মূল কথা হলো বাংলাদেশকে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে হলে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও রাখতে হবে এর কোন ব্যাতিক্রম নেই।ভাবতে হবে সকলকে -এ দেশ আমার অস্তিত্ব আমার অহংকার এখানে কে মুসলিম কে বা হিন্দু নেই কোন জাতের বেদাভেদ।

 

 

 

 

আমি জন্মেই দেখেছি,খেলেছি,খেয়েছি,সহবস্হানে

 কি মুসলিম কি হিন্দু কি বা বৌদ্ধ কাধে কাধ মিলিয়ে

 জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি দিয়েছি রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রয়ায়ী

ছিনিয়ে এনেছি রক্তের বিনিময়ে লাল-সবুজের পতাকা।

এনেছি গনতন্ত্র স্বৈরাচারের পতনে

কারো দাসত্বে নয়

মাথা উচু করে দাড়াব আমরা

বিশ্বের শক্তি ধরের পাশাপাশি

ভ্রাতৃত্বের বন্দনে-

শপথের তীব্র হুংকার

RELIGION যার যার

 BANGLADESH সবার।

মানুষের সবচেয়ে বাস্তব এবং চিরসত্য কথা সে মরনশীল।জন্মিলে মরিতে হবে এটাই সত্য বিশ্বের অন্য RELIGIONS যদি মর্যাদার সহিত পৃথিবীতে রাজত্ব করতে পারে তবে আমরা মুসলিমরা কেনো পারবনা ?একটা সময় পূরো পৃথিবীকে শাসন করেছিল মুসলমানরা ইতিহাস সাক্ষী তখনকার নেতাদের মাঝে ছিল ইসলামের রণকৌশল আর আদর্শ। সে জন্যে প্রয়োজন নারী পুরুষের জ্ঞান অর্জন করা। আগে মাঠে ময়দানে সম্মুখ যুদ্ধ হত এখন তা ঘরে বসে সাইবারে।এই সাইবার দখল যার হাতে সেই ক্ষমতাবান।মুসলমানদের পৃথিবীর চোখ হতে সন্ত্রাসী খেতাবটি মুছে ফেলাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ । আর ঐক্যের বন্দনে ন্যায়ের পক্ষে গর্জে উঠার সময় এখনই।সিরিয়া আক্রমনে ইসরাইল তাদের পাশে আমরা মুসলিমরা কেনো বিভক্ত?কেনো পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে জিহাদের ডাক এলে সারা দেই না?আল্লাহ মাফ করুক আমাদের ঈমানের খুটি যেন না ভেঙ্গে পড়ে।ইনশাল্লাহ জয় এক দিন ইসলামের হবেই । RELIGIONবিশ্লেষনে ইসলামই একমাত্র শান্তি এবং চির সত্য ধর্ম।বাকী সব বাপ-দাদার অনুসরন অনুকরন মাত্র।

৬৫০জন ৬৫০জন
0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ