মি টু তথা যৌন নিগ্রহের অনেকগুলো কেস পড়লাম। অবাক হইনি। কমন কেস। অহরহ ঘটছে এগুলো।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ পারস্পরিক সম্মতিতে যা খুশি করতে পারে তাতে আমার কিছু বলার অধিকার নাই। তাদের পাপ হলে তাদেরই হবে, প্রচলিত আইনে এটা অপরাধ হলে তারা সাজা পাবে। বাট আমি কিছু বলার রাইট রাখি না। কিন্তু যদি অসম্মতিতে (৯৯.৯% ক্ষেত্রে মেয়েদের) এমন কিছু ঘটে তবে কেবল আমি না প্রতিটা “মানুষেরই” কথা বলার রাইট আছে। বিকজ এটা অন্যায়/জুলুম/অপরাধ/নির্যাতন!!! যারা এটা করে তাদের শুধু রাস্ট্রিয় আইনেই না সামাজিক ভাবেও প্রতিহত করতে হবে।
কেস হিস্ট্রিগুলো পড়ে আমার যেসব উপলব্ধি হল-
১) নিপিড়করা তাদের অবস্থানকে/ইমেজকে ব্যবহার করে নারীদের প্রলুব্ধ করে। বড় ব্যবসায়ী, তারকা, ক্ষমতাধর ব্যক্তি ইত্যাদি।
২) অপরিচিত বা সল্প পরিচিত কারো সাথে নিরিবিলি কোথাও বা কোন কক্ষে যাওয়া উচিৎ না।
৩) মেয়ে শিশুদের শৈশব থেকেই আগলে রাখতে হবে।
৪) কোন পুরুষকেই বিশ্বাস করা যাবে না।
৫) দেশের আইন শৃংখলা সিস্টেম আরো ডেভেলপ না হওয়া পর্যন্ত নারীদের বাইরে একা না থাকাই উত্তম।
৬) রাত ১২ টার পর অচেনা ফেসবুক ফ্রেন্ডের সাথে চ্যাটিং না করা উত্তম।
৭) চাকরির ইন্টারভ্যু বা প্রথমদিন সাথে অভিভাবক কাউকে সাথে নিলে ভাল।
৮) সন্ধ্যার পর নতুন পরিচিত কোন পুরুষের সাথে মিট না করা উত্তম।
৯) বিবাহিত পুরুষদের মুখে নিজের প্রশংসা শুনলেই সতর্ক হতে হবে।
১০) আগ বাড়িয়ে উপকারী বান্ধব হতে চাইলে সতর্ক হতে হবে।
১১) রাতে মানুষের মুড ভিন্ন থাকে। রাত বড় ভয়ংকর এদেশে (অন্য দেশেও)। রাত এড়িয়ে চলুন।
১২) ছেলে বন্ধুদের সাথে ডার্টি জোক্স এভয়েড করুন। সেক্সুয়াল গল্প শুরু করলেই থামিয়ে দিন এবং আস্তে আস্তে তার বলয় থেকে কেটে পড়ুন।
১৩) কাজিনদের থেকে সতর্ক থাকুন।
১৪) হ্যাং আউটে গেলে সাথে কারা কারা যাচ্ছে নিশ্চিত হয়ে নিন। পরিবারকে বিস্তারিত জানিয়ে এবং সবার ফোন নাম্বার দিয়ে যান।
১৫) ওভার নাইট বা লেট নাইট পার্টি পরিহার করুন।
১৬)কিছু ঘটতে নিলে জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করুন, প্রতিহত করুন। নিজের শারিরিক শক্তি আর মাথা ব্যবহার করুন। পালটা আঘাত করুন।
১৭) আপনার পোশাক, আচরণ, কথাবার্তায় শালিনতা রাখুন। ব্যক্তিস্বাধীনতার কথা বলে যাচ্ছেতাই করলে আপনার সাথেও যাচ্ছেতাই ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। বিড়ালকে বিশ্বাস করে দুধের হাড়ি উদাম রাখবেন না। বিড়াল নীতিকথা শোনে না।
১০টি মন্তব্য
শিপু ভাই
লেখা পোস্ট হচ্ছে না কেন???
জিসান শা ইকরাম
নিজের লেখা পেষ্ট করার পূর্বে ‘লেখা’ তে ক্লিক করে পেষ্ট করলেই হয়ে যাবে। এরপর visual এ ক্লিক করে প্রকাশ।
শিপু ভাই
হইছে
জিসান শা ইকরাম
লেখার সাথে সহমত পোষন করছি।
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
সহমত দাদা
আকবর হোসেন রবিন
ভালো বলেছেন। কিন্তু এইভাবে বুঝাতে গেলে কিছু মেয়ে আবার উল্টা বুঝে। মনেকরে আজাইরা জ্ঞান দিচ্ছি।
শিরিন হক
ভালোলাগল লেখাটি।
একটি মেয়েকে নিজের শারীরিক দূর্বলতা নয় মানুষিকতার দিকথেকে শক্ত হতে হবে।নিজেকে মেয়ে নয় মানুষ ভাবতে হবে আগে।পুরুষ শাষিত সমাজে উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নতি হোক।পোষাকে নিজেকে আধুনিক করেনা মানষিকতা মানুষকে আধুনিক করে।
শুধু না্রীকে নয় নামধরী পুরুষ যারা কুকুরের ন্যায় সমাজে রয়েছে তাদের জন্য ও কিছু উপদেশ দিলে ভালোহতো।
সুরাইয়া পারভিন
উপলব্ধিগুলো চমৎকার হয়েছে। হয়তো একটু সচেতনতাই পারে মেয়েদের সম্ভ্রম রক্ষা করতে।
দারুণ লিখেছেন
এস.জেড বাবু
দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ পারস্পরিক সম্মতিতে যা খুশি করতে পারে তাতে আমার কিছু বলার অধিকার নাই। তাদের পাপ হলে তাদেরই হবে, প্রচলিত আইনে এটা অপরাধ হলে তারা সাজা পাবে। বাট আমি কিছু বলার রাইট রাখি না।
এখানে একটা সামাজিক অধিকার কাজ করে। বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক অসামাজিক। প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও অবৈধ, অধর্ম। বাঁধা দেয়ার রাইট থাকে ভাইজান।
তবে আপনার উপলব্ধি যথার্থ। সতেরটি যুক্তি মূল্যবান।
শুভেচ্ছা ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
একজন পুরুষ হয়ে যে পর্যবেক্ষণ বা উপলব্ধি করেছেন, ভালো হত যদি নারীরাও এভাবে বিষয় গুলো গুরুত্বের সাথে ভাবতো। সচেতনতা যত বাড়বে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা গুলো সমাজে ততই কমে।
ধন্যবাদ সুন্দর বিশ্লেসনমুলক পোস্ট দেয়ার জন্যে।
লেখা কিন্ত এখানে প্রতিদিন চাই। ভুলে গেলে মনে করিয়ে দেয়ার জন্যে আমি সর্বদা হাজির থাকবো 🙂