গত ১৫/০৯/২০১৪ তারিখে আমার স্কুল বন্ধু বলল মা কে নিয়ে বেড়িয়ে যা। আমি স্বাভাবিকভাবে এড়িয়ে গেছি। ওর একটি ছেলে আছে। তারপর বলল আমার ও মা নাই চম্পারও ( বন্ধুর বউয়ের নাম।) মা নাই একদিন নিয়ে আয় খুব ভাল লাগবে। রেখে যা খালা আম্মাকে আমার এখানে কয়েকদিন। ঠ্যাত চিন্তা করলাম ওর ছেলেটার দাদী, নানী থেকে বঞ্চিত নিয়ে জাওয়ায় উত্তম। একবার হলেও ডাকতে পারবে।
গত বছর কাহিনী, আমি সিঙ্গেল রুম ও বারান্দা সহ থাকি আমার পাশের বাসায় এক শিশুর দাদা আসলো আমার মেয়ে তাঁকে দাদা বলে ডাকা শুরু করল।আমাকে বলে আমার দাদা দাদি কোথায়, আমি বললাম গ্রামে আছে। শে বলে আমি যাব। আমি তখন বলেছিলাম ঈদে বাড়ি গিয়ে দাদা-দাদীর কাছে থেক।
এই কথা মনে হল ওর ছেলের কথা মনে হয়ে। এখন অন্তর থেকে সিদ্ধান্ত নিই আমার বন্ধুর বাসায় বেড়াতে জেতে হবে মাকে নিয়ে। কিন্তু কবে যাব এখনও জানিনা।
তবে অবশ্যই যাব একদিন।
আমি অফিস থেকে বাসায় গিয়ে মায়ের পায়ের উপর একদিন শুয়ে আছি আর এক থাপ্পড় গালে আমার। ভ্যাপা-চ্যাকা হয়েছি। প্রচন্ড লেগেছে কিন্তু কি করব। প্রমি বলে, আমি তোমার মামনি না! দাদিকে মা বলছ কেন? এই হল জ্বালা হাসি আনন্দ। মা বলে আমার ছেলে প্রমি বলে আমার ছেলে।মা বলে আমার আব্বা প্রমিও বলে আমার আব্বা এই সব নিয়ে চলে নাতনী আর দাদীর ঝগড়া। মজাও পায় । কোন কোন দিন চলে তাঁদের দুই তিনবার এরকম। মা বলে তোমার কোন পেটে ছিল। প্রমি পেট দেখায়ে বলে এখানে, মা হাসে।
আমি চুপ করে শুনি আর হাসি। মা আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আমার দিকে……………………।
২৬টি মন্তব্য
মরুভূমির জলদস্যু
একান্ত অনুভূতি
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা, দস্যু ভাই একান্ত অনুভুতি।
স্বপ্ন নীলা
আমি চুপ করে শুনি আর হাসি। মা আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আমার দিকে———- ‘’ দারুন লাগলো ——
খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ——দুইবার পড়লাম ——
শুভকামনা রইল
মোঃ মজিবর রহমান
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপুনি।
এতা খুবই একান্ত অনুভুতি।
অলিভার
“আমার ছেলে” “আমার আব্বা”
চরম মজা পেয়েছি এই অংশটাতে এসে।
তবে এটা ঠিক যেই পরিবারে এমন ছায়া বলতে কেউ থাকে না সেই পরিবারে বাচ্চারা বিশাল একটা জিনিষ মিস করে যায়।
অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো আপনার দুই আম্মুর জন্যে 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা অলিভার ভাই।
খসড়া
মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি মোর গেহ খানি রহিয়াছে ভরি।
মোঃ মজিবর রহমান
খসড়া ভাই, আবার দিলেন মনে করিয়ে লতা পাতার ঘর বানিয়ে ছোটো বেলায় খেলা করার কথা ।
সবাই জরা জরি করে বাস করার মজা অনেক কষ্ট ও আছে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
লীলাবতী
খুব কিউট লেখা। প্রমির কথা শুনে মজা পেয়েছি খুব। চলুক লেখা।
মোঃ মজিবর রহমান
দিদি আমি প্রমির উপস্থিতির বুদ্বিতে পারিনা।
কোন উত্তর দিতে দেরি করেনা। উত্তর দেবেই।
শুভেচ্ছা রইলো।
শুন্য শুন্যালয়
দাদী নাতনির পরম মমতাময় ঝগড়া। বেশ মিস্টি।
সব মমতা থেকে দূরে চলে যাচ্ছে আস্তে আস্তে সবাই। রোবট হচ্ছে সব, খারাপ লাগে ভাবতে।
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। দুই মা কে অনেক ভালবাসা জানাবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
অবশ্যই জানিয়ে দিব দিদি।
অনেক সময় উপভগ করি।
খুব ভাল লাগে।
শুভেচ্ছা রইলো।
বনলতা সেন
আদর ও শ্রদ্ধা দু’ মাকেই।
মোঃ মজিবর রহমান
জানাব দিদি দুই মাকেই ।
শুভেচ্ছা রইলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লাগলো ভাই, মাকে নিয়ে লিখুন আরো ।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ আপু কষ্ট করে পড়ার জন্য।
মিথুন
মজা পেলাম ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
আপুরে আমার চড়ের আঘাত মনে হলে এখন ব্যাথা অনুভব করি।
তবে খুব অনুভুতি এগুল ।
প্রজন্ম ৭১
মজারু পোষ্ট 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
তবে শুধু মজার নয়, এগুল পারিবারিক আত্বার সম্পর্ক এখন পাওয়া মুশকিল ।
অতীতে আমরা যা পেয়েছি, বর্তমানে ও ভবিস্যতে কি দাদা, নানা ও নাতী নাতনীর মাঝে এরকম সুসম্পর্ক বা হাজারও হাসি-ঠাট্টার সম্পর্ক পাবেন কি না জানিনা?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মাকে নিয়ে অতীত স্মৃতি এ আর ফিরে পাবার নয়।
আমার মায়ের অসুস্হতায় আমি খুবই ব্যাস্ত এবং চিন্তিত তাই সময় মত ব্লগে আসতে পারছি না বলে দুঃখিত।
মোঃ মজিবর রহমান
মনির ভাই মায়ের যত্ন নিন এবং চিকিৎসা করান আল্লাহর রহমতে সুস্থ হবেন।
ব্লগার সজীব
এমন আত্মীয়তার মায়ার বাঁধনে থাকাই আনন্দময় জীবন ।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক বলেছেন সজিব ভাই।
মায়ার বাধন বড় বাধন ছিন্ন হবার নয়।
জিসান শা ইকরাম
এই সব ভালোবাসা নিয়েই আমাদের এই সব দিন রাত্রি ।
ভালো লিখেছেন ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
বস ,
এই ভালবাসা আমাদের জীবনে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।