
সৃষ্টিকর্তা একশো ভাগ মায়ার মধ্যে। মাত্র এক ভাগ মায়াকে ৯৯ ভাগ করে শস্য পরিমাণ মায়া দুনিয়ায় দিয়েছেন। অথচ এই শস্য পরিমাণ মায়া পেয়েই আমরা মানবজাতি কত মায়াবী এবং দয়াশীল। একে অন্যকে ছাড়া থাকতে পারিনা। পছন্দের মানুষকে না পেলে আত্মহত্যা করি। কেউ কেউ সারাটি জীবন কাটিয়ে দেয় নির্দিষ্ট একজনের মায়ায়। দুনিয়ার শস্য পরিমাণ মায়ার মোহে পরে, আমরা প্রায় সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেছি! একবার চিন্তা করে দেখুন তো ‘যদি বাকী ৯৯ ভাগ মায়া পৃথিবীতে দেয়া হত। তাহলে কি সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ একজন আছেন ;এটা কেউ বিশ্বাস করতো? আমার তো মনে হয় বাকী ৯৯ ভাগ মায়া দুনিয়ায় দিলে। মানুষ মৃত্যুকেই ভুলে যেত! সবাই নিজেকে অমর বলে দাবি করতো। কেউ সৃষ্টার ইবাদত করতো না। অতএব, এর থেকে প্রমাণ হয়। মানুষ সৃষ্টির আদিকাল থেকেই স্বার্থপর এবং লোভী। মানুষের চাহিদার শেষ নেই। যার এক টাকা আছে? সে দুইটাকা চায়। যার এক লাখ তার দুই লাখ চাই। যার এক কোটি আছে? সে একশো কোটি চায়। চাহিদা আর লোভের কোনো শেষ নেই।
আল্লাহ্ পাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন। আমি মানবজাতিকে সৃষ্টি করার আগে তাদের ‘তাকদীর অর্থাৎ ভাগ্য নির্ণয় করেছি। অতঃপর সৃষ্টিকর্তা সেই ৯৯ ভাগ মায়া হাতে রেখে। মাত্র এক ভাগ মায়া দিয়ে গোটা পৃথিবী তৈরী করেছেন। আর আমরা তাতেই দিশেহীন উন্মাদের মত জীবন যাপন করছি। নিজের প্রয়োজন ছাড়া কখনোই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করিনা। আর এসব স্বার্থপরতার কারণেই সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতেই মৃত্যুকে সৃষ্টি করেছেন। এবং মানুষকে ঘুড়ির মত মুক্ত আকাশে উড়িয়ে। নাটাই নিয়ে সেই আরশে আজিমে বসে আসেন। অতএব, একদিন প্রত্যেক প্রাণীকেই সৃষ্টার ডাকে সাড়া দিতে হবে। আর এটাই ধ্রুব সত্য।।
→ মায়া এবং মোহ ←
৬টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
চির সত্যের ঘরে সবাইকে যেতে হবে মাফ নাই।স্রস্টাকে খুজার আগে তার সৃস্টিকে খুজো ৴৴মানে হলো একাই উদহারন দেই ভুমিকম্প ঝড় তুফান ঝর্ণা এসব বানালো কে নিয়ন্ত্রণ করে৴৴৴
উপলব্দি সুন্দর।সবাইকে আল্লাহর হুকুমমত চলার তৌফিক দিন।
মাছুম হাবিবী
আমীন। অনেক ধন্যবাদ বড় ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
আসলে দুয়াটা মানুষের জন্য অভিশপ্ত। জন্মের পুর্বেই যার ভাগ্য নির্ধারণ করা আছে তাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রন করা যাবে? সেই ভাগ্য পালটানো মানুষের কর্ম নয়। এটা বুঝি, যেতেই হবে তখন হানাহানি বাদ দিয়ে মহান স্রষ্টা রাব্বুল আলামিন আল্লাহ্র জিকর করাই উত্তম। তার কাছেই ফিরতে হবে, তার কাছেই মাফ, দয়া, ক্ষমা, চাইতে হবে। তিনিই পারেন আমাদের মুক্তি ও শান্তি দিতে। আল্লাহ সবাইকে তার ইবাদত করার তৌফিক দিন আমিন। আস্তাগফিরুল্লাহ।
সুবহানআল্লাহ, আলহামদুল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ , আল্লাহু আকবর। জিকির করি। সর্বদা।
আলমগীর সরকার লিটন
সুন্দর কথা বলেছেন মায়া না থাকলে জল থাকতো না মায়া আছে বলে যত সব জলের খেলা খেলি———–
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সত্য ও সুন্দর কথা বলেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া। স্রষ্টার সৃষ্টিকেই আমরা কখনো কখনো ভুলে যাই, ভুলে যাই জন্মিলে মরিতে হবে সাথে তখন কিছুই যাবে না।
হালিমা আক্তার
আমরা সেই একভাগ মোহ মায়ায় আবিষ্ট। আর কিছুটা ভালোবাসা পেলে মানুষ পাগল হয়ে যেত। হয়তো তাই সৃষ্টিকর্তা বাকিটা নিজের হাতে রেখে দিয়েছেন। একবারও ভাবিনা আল্লাহ আমাদের সকলকে কত ভালোবাসেন। শুভ কামনা রইলো।