আমরা এই সেই জাতি যেখানে শিক্ষক কে নতজানু মস্তকে সন্মান করি। তা না সেখানে সেই মানুষ গড়ার কারিগরকে অযথা, কোন কারন ছাড়াই ভুয়া কথা তুলে শাস্তির চেয়েও অপমানকর কান ধরে উঠবস শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
যে শিক্ষক সমাজ সারা জাতিকে কান ধরে উঠবস করাতে পারে আর সেই শিক্ষককে এই শাস্তি দিয়ে সমাজের মাথা নুয়ে দিলো এই এম পি। তাঁর কি কাজ আইন প্রয়োগ করা, তাঁর কাজ আইন তৈরি।
সমাজে যা জনসম্মুক্ষে ঘটে তা কি আবার সাক্ষির দরকার পড়ে! এই আইন চাইনা। যা সবার সামনে সবার চোখের সীমানায় আছে তা আবার বিচারক আইনবিদদের মাধ্যমে জেনে দুই নম্বরি কারার চিন্তা করে, অনেক সময় দোষী স্বীকার করার পরই তা ঘরান হয়।
এক গ্রাম্য সালিশের বিচার, আমি ঘরে বন্দি আর ঘরের বাহিরে বিচার কারয্য চলছে, আসামীকে কোন কথা বলতে দেওয়া হবে না কারন সে এই গ্রামের না তাঁর বাহু বলও নায়। চুরির অপরাধে বিচার কারয্য। যে বিবাদী সে বলে আমি এই জিনিস টা নিয়ে যাওয়ার পর আসামী ঘরে বা দোকানে ঠুকেছিল, এটা বিচারে সবার সামনে বলল বিবাদী তবুও বিচারে কি হলে ঐ জিনিসের অপরাধে আসামীকে শাস্তি দেওয়া হল। এই আমাদের গ্রাম্য শাস্তি।
আমারত মনে হয় এই এম পি র বিচার করার কোন যোগ্যতাই নায়। এই শিক্ষকের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেই এই এম পি ছোট্ট হবে না বরং আর সন্মানবধ হওয়া যায়।
এম পি সাহেব প্রতিবার আংগুলি নিরদেশ করেন আর দয়াবান শিক্ষক অসহায়ের মত ৫ বার কান ধরে উঠবস করেই অপমানে লজ্জায় মাটিতে পড়ে যান তারপরেও তাঁকে করজোড়ে মাপ চাওয়াতে বাধ্য করা হয়। দয়াবান বললাম এই জন্য যে তাঁদের শিক্ষা নিয়ে আজ আমরা পেটের রজকার করি আর দেশে বিদেশে ডাক্তার উকিল বৈমানিক যে যায় করুক সবাই এই শিক্ষক সমাজের নিজে তাঁদের জন্য তাঁরা আজ এখানে।
সরকার কি করে সেটা দেখার বিষয়। না ত্বকি হত্যার মত হয় তা দেখার বিষয়।
আশা করব সরকার প্রধান এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে সারা শিক্ষক সমাজের সন্মান সুউচ্চে আনবে। তাতে কেউ অস্নমান হবে।
৭টি মন্তব্য
লীলাবতী
ভাইয়া কি বলবো বুঝতে পারছি না। এই সংবাদ এবং ফটো দেখে এত অসহায় লাগছে নিজেকে যে গত দুইদিন ফেইসবুকেই যাইনি। কি হচ্ছে আমাদের এই সোনার দেশে?
স্বপ্ন
খুব খারাপ একটি উদাহরন সৃষ্টি হল এই ঘটনায়।
অনিকেত নন্দিনী
একজন নিষ্ঠাবান শিক্ষকের মান-সম্মান কি এতোটাই ঠুনকো? এতোটাই সস্তা?
কোথায় জিম্মি হয়ে আছি আমরা?
“জয় বাংলা” স্লোগানের ছায়ায় ঘটালে কি তার করা খুনের বিচারও হবেনা? 🙁
সঞ্জয় কুমার
আসল ঘটনা নিজেই দেখুন
https://m.youtube.com/watch?sns=fb&v=msnKNDX74jI
নীলাঞ্জনা নীলা
এ দেশে সব কিছুই সম্ভব। সব অসম্ভব সম্ভবের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ।
যেখানে কলম চালালে অস্ত্রের আঘাতে খুণ হতে হয়।
যেখানে সত্যি কথা বললে অপমানিত হতে হয়। যেখানে সততার দাম নেই।
সেই দেশে শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বসা করানো তো যেতেই পারে। এর বিচার কিছুই হবেনা। বেশী প্রতিবাদ করলে এ হলো সরকারদলীয় এমপি, কোনদিকে মেরে এক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দেবে। যেখানে হত্যা/ধর্ষণের বিচার হয়না। এখানে আজও তনু হত্যার বিচার হয়নি। সাগর-রুনী। কি আশা করা যায়? আর এই শিক্ষক তো আবার সংখ্যালঘু, ফেসবুকে দেখলাম মালাউন বলেও সম্বোধন করা হয়েছে। দেশ থেকে বের করেও দিতেও পারে। যাবে কোথায়? পার্শ্ববর্তী দেশ কলকাতায়, পরিচয় হবে বাঙ্গাল। ধুর কি সব লিখছি। অসহ্য লাগছে শিক্ষককেও সম্মান দেয়া শিখলো না এসব মানুষ।
মৌনতা রিতু
কিছুদিন আগে জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে যা করল তা তো আমরা সবাই দেখেছি। এখন এই ঘটনা। কোথায় যাচ্ছি আমরা ? ধিক্কার কাকে দিব? কিছু বলার নেই। যাস্ট কিছু বলার নেই।
শুধু ক্ষমাই চাইতে পারি শিক্ষকদের কাছে।
ইনজা
দুঃখজনক হলেও সত্য এখন আমরা আইনের উর্দ্ধে যাওয়ার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছি যা এই দেশ ও জাতির জন্য চরম লজ্জাজনক আর একজন শিক্ষক যখন ভুল না করেও কান ধরে উঠবস করতে বাধ্য হয় তখন জাতিও যেন কান ধরে উঠবস করছে কারন এই জাতি ঘঠনে এই শিক্ষকদের অবদান প্রথম আসে।