
এক পেয়ালা হেমলক দাও,
হাসতে হাসতে পান করি ওয়াইন ভেবে, ঢলে পড়ি মৃত্যুর সরোবরে!
সামনে থেকে সরবেনা কেউ , যতক্ষণ না চোখ বুঁজে আসে!
সাধের জনম পরাধীন ছিল আজ তাকে মুক্ত করে দিলাম।
হংসমিথুন হয়ে বাঁচতে না পারা মৃত্যুর চেয়ে নির্মম!
আজ আর পরোয়া নেই, আপসোস নেই কোন আর, রপ্ত করা হয়নি বলে জীবনের যত সহজ পাঠ।
একজীবনে সবার সব হয়না, আমার ও না হয় হলোনা।
ছেড়ে দিতে চাই সব প্রিয়মুখ, প্রিয় জামা, প্রিয় বই, প্রিয় দুঃখের কেবিনেট।
শোকের ছায়া নামাবে আপনজনের চোখ!
হতে পারে তিরস্কারের দৃষ্টিহানার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার প্রতীক।
কিছু বৃক্ষের ছাল ছাড়িয়ে নিতে হয় প্রয়োজনে, আমিত বৃক্ষ ও নই।
তোমাদের পৃথিবীতে আমি কেবল অযাচিত মেঘ,
আমাকে দাও এক পেয়ালা হেমলক!
আমি নিঃশব্দে নিঃসৃত হতে চাই মৃত্যুর স্রোতে।
অনাদিকাল প্রোথিত ভালো মানুষের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য তা আমি অর্জন করতে পারিনি,
আমার বাঁচা মরায় একচুল ভাটা পড়বেনা চলমান-চিত্রে।
স্রেফ উবে যেতে চাই কর্পূরের উদ্বায়ী হাওয়ায়।
ভালো থেকো তোমরা সব!
বলোনা আবার “মাছের মায়ের পুত্রশোক”!
আমি এবং আমার সব ভুলে ভরা পাপেট !
একটা সত্যি আছে মানো বা না মানো,
তোমাদের জন্য ছিল আমার ভালোবাসার প্রস্রবণ।
জানি কেউ হেমলকের পাত্র এগিয়ে দেবেনা,
আমি ও দিব্যি বেঁচে থাকব।
কেউ জানবেনা-
এ যে এক আত্মাহুতি দেওয়া প্রাণহীন দেহবয়ব।
৭টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমার কাছে পরাজয় ব্যাপারটা ভালো লাগে না। সবাই দেখবে আমি আত্মাহুতি দিচ্ছি এটা ঠিক কেমন যেন।
তবুও কিছু জীবন যেন বেঁচে থাকার পরও মৃত!!!
কবিতায় শুভকামনা 🌹
হালিমা আক্তার
হেমলক নয়, ভালোবাসার সুরায় রাখিব বাধিয়া। জীবনটা এক উৎসর্গের পেয়ালা। কখনো কখনো প্রাণহীন জীবন বয়ে নিতে হয়। শুভ কামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
জনসাধারণের ভালোবাসার যন্ত্রণা হেমলকের চেয়ে কম বিষাক্ত নয়। মরতে দিবে না, বেঁচে থাকার যাতনা তারা বুঝতে চাইবে না। প্রতিক্ষণের আত্মহুতির অর্থ হলো আমৃত্যু ভালোবাসায় জীবাশ্ম হয়ে বেঁচে থাকা।
হেমলক পেতে হলে মন খারাপের বলয় থেকে বেরিয়ে এসে বুঝতে হবে জনতার চেয়ে জীবন বড়- নিজের জীবন। বন্ধুত্ব-ভালোবাসা গড়তে হবে নিজের সাথে।
শুভ কামনা 🌹🌹
বোরহানুল ইসলাম লিটন
কোন এক গুণীজন বলেছিলেন –
’প্রতিটি মানুষই মহামানব
কিন্তু সে জানে না বলে সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করে”
খুব ভালো লাগলো ‘মন খারাপী প্রলাপ’ আপু!
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
হালিম নজরুল
‘মন খারাপী প্রলাপ’ নামকরণ ভাল লেগেছে।
আলমগীর সরকার লিটন
কেউ জানবেনা-
এ যে এক আত্মাহুতি দেওয়া প্রাণহীন দেহবয়ব।
ভয়ঙ্কর অনুভূতির প্রকাশ কবি আপু
প্রদীপ চক্রবর্তী
একদিন মানুষের ইচ্ছে, আকাঙ্ক্ষা, চাওয়া পাওয়া এসব কিছুই থাকে না।
হেমলক অমৃতে পরিণত হয়।
চারপাশ সমুদ্র নতুবা মরুভূমি।
তার পূর্বে মানুষ যদি চিনতে পারে তার নিজেকে তবেই সে জয়ী।
নতুবা ভ্রমিতে হবে।
যথার্থ লিখেছেন।