ভালোবাসি তোমায় (২১তম খন্ড)

ইঞ্জা ১৯ আগস্ট ২০১৬, শুক্রবার, ১০:০১:১১অপরাহ্ন গল্প ২২ মন্তব্য

 

1248_e4a0a1f0ee53487855585a465ccd4f4b

 

ভাই আপনারা চলুন আপনাদের রুম দেখিয়ে দিই, আপনারা ফ্রেস হয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিন এরপরে এক সাথে কিছু নাস্তা পানি খাবো, অভির মা হক সাহেবকে বললেন।
জি চলুন।
মা আমিও রুমে যাচ্ছি, তোমরা যাও আনকেলদের রুমে দিয়ে আসো, বলেই অভি উঠে উপরে চলে গেল আর অভির মা এবং প্রিয়ন্তী হক সাহেব আর মোনালিসাকে রুম দেখাতে নিয়ে গেলেন।
ঘন্টা খানেক পর প্রিয়ন্তী গিয়ে উনাদের ডেকে নিয়ে বাগানে চলে এলো চা খাওয়ার জন্য, অভি এখনো না আসাতে মোনালিসা ঘুরে ঘুরে বাগান দেখছিলো, অভি আসার পরে সবাই বাগানের বেতের সোফাতে বসে চা খেতে খেতে কথা বলছিলো।
জানো মা, তোমার মা আমার বান্ধবীর মতোই ছিল, উনি যেদিন ইন্তেকাল করলেন শুনলাম সেইদিন অনেক কান্না করেছিলাম আর তোমার বাবা অভির বাবা মারা যাওয়ার পর তোমার বাবা এতো হেল্প করেছিলেন যার ঋণ আমরা কোনদিনই শোধ করতে পারবোনা, চোখ ছলছল করে মোনালিসাকে অভির মা বললেন।
ছি ভাবী, এইটা কোনো কথা হলো, আপনারা জানেননা ভাই আমার কতো উপকার করেছে, উনি আমার বিপদের মুহুর্তেই আমার সাথে কাঁদে কাঁদ মিলাতেন।
অভির মা চোখ মুছলেন, ভাই কফি আরেক কাপ দেবো?
দেন ভাবী, আপনি তো জানেন কফি আমি বেশিই খাই।
মা আমি রুমে গেলাম, আনকেল আমি উঠি, অভি সৌজন্য মূলক পারমিশন চাইলো।
যাও বাবা, আমরা গল্প করি, তোমাদের বাগানটা বেশ দেখতে, এরি মধ্যে কাজের লোক বাগানের আর বাইরের সব বাতি জালিয়ে দিলো।

সব গুছিয়ে নিয়েছিস মা, অবণীর মা চোখ মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করলেন।
হাঁ মা, ছোট করে জবাব দিলো অবণী।
এয়ারপোর্টে তোর বাবার বন্ধুর ছেলে নাকি তোকে রিসিভ করতে আসবে, একটু ভালো ব্যবহার করিস ছেলেটার সাথে।
মা এইটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছেনা, ওই ছেলে কেন আমাকে রিসিভ করতে যাবে?
দেখ তোকে আমরা কখনো কোনো কিছুতে ধরা বাধা করিনি, তুই ওখানে যাচ্ছিস তোর ইচ্ছায় আর ছেলেটা তোকে হেল্প করতে পারবে ওখানে, সুতরাং তুই না করছিস কেন?
কিরে মা তোর মা কি বলছে, অবণীর বাবা রুমে প্রবেশ করে জিজ্ঞেস করলেন।
বাবা ওই ছেলেটা আমাকে রিসিভ করুক তা আমি চাইনা।
দেখ মা রবিন ছেলেটা ওখানে অনেক বছর ধরে আছে আর ও তোকে চাকরি বাকরির ব্যাপারে হেল্প করতে পারবে আর ছেলেটা বেশ ব্রিলিয়ান্ট, ওখানকার বড় একটা হোটেলের সিইও হিসাবে চাকরি করছে এই অল্প বয়সে, তাই ওকেই আমি অনুরোধ করেছি তোকে রিসিভ করতে, এতে তোর আপত্তি কিসের?
অবণী চুপ করে রইল।
তোর ফ্লাইট তো রাত ১.২০এ, চল আমরা খেয়ে নিই, ওর মা খেতে ডাকলেন।
ঠিক আছে তোমরা যাও আমি আসছি। ওর বাবা মা চলে গেলে সেল ফোনটা বিছানা থেকে টেনে নিলো, দেখলো অভির পাঁচটা মিস কল, নাম্বার সিলেক্ট করে ডায়ালে চাপ দিলো, একটা রিং হতেই অভি রিসিভ করলো, হ্যালো অবণী তোমার ফ্লাইট কয়টায়?
ভোর রাতে।
কয়টায়?
১.২০
ওকে আমি আসবো।
না কষ্ট করে আসার দরকার নেই।
আছে নেই আমি বুঝবো, দেখা হবে, বলেই কেটে দিলো অভি, অবণীর চোখে তখন বন্যার জল।
কেনো এতো কষ্ট দেবে আমায়, কেনো আবার দেখা করবে, আমার কষ্ট কেনো এভাবে বাড়াবে, হু হু করে কাঁদতে লাগলো অবণী।

হাত ঘড়ি দেখলো অভি রাত ৯ টা, অভি লাল টিশার্টটা গায়ে চড়িয়ে, জুতা পড়লো, ফোনটা হাতে নিয়ে নিচে নেমে এলো, নিচে নেমে ড্রয়িংরুমে সবাইকে বসে গল্প করতে দেখলো, নিজেও সবার সাথে বসে পড়লো। অভিকে রেডি হয়ে নিচে নেমে আসতে দেখে মোনালিসা বললো, কি অভি সাহেব কই যান, ডেটিং করতে নাকি?
অভি হেসে বললো, না ডেটিং আমাকে দিয়ে হয়না, একটু এয়ারপোর্টে যাবো, মা তোমাকে বলা হয়নি অবণী চাকরি ছেড়ে দিয়েছে আর আজ কানাডা চলে যাচ্ছে।
কি বলিস, হঠাৎ?
বললো ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে ওখানে।
ওহ, মেয়েটা খুব ভালো ছিলোরে।
অভি চুপ করে রইল কিছুক্ষণ তারপর বললো মা খাবার দিতে বলো, আমি বেরুবো।
এই জন্যই হয়ত আপনার সুন্দরী সেক্রেটারিকে আজ দেখিনি, মোনালিসা কটাক্ষ করে বললো অভিকে।
সুন্দরী কিনা যানিনা কিন্তু এই ধরণের সেক্রেটারি পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার আর সাথে সে আমাদের আইটি ডিপার্টমেন্টো চালাতো খুবই ভালো ভাবে।
তা বাবা এখন তোমার ফ্লিটে কতো গুলো ভেসেল আছে, হক সাহেব জিজ্ঞেস করলেন।
জি সব মিলিয়ে ১২টা।
কি কি ভেসেল আছে, মোনালিসার জিজ্ঞাসা।
৪টা ওয়েল টাংকার আর বাকি গুলা কন্টেইনার।
ড্রাফট কতো?
প্রত্যেকটা ১৮০ উপরে, সামনে ২২০ ড্রাফটের ২ টা কিনবো ভাবছি যা ওয়েল টাংকার হবে।
গুড ভেরি গুড, এই দুইটা আমাদের করতে দাও, ফরেন এক্সচেইঞ্জের দরকার পড়বেনা সাথে ভালো দামও পাবে, হক সাহেব বললেন।
জি আনকেল কালকে ফ্রি থাকলে আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা হবে।

অবণী ফাল্গুনীকে এক পাশে টেনে নিয়ে গেলো, শুন অভি নাকি এখানে আসবে, তাই আমি এখনই ভিতরে ঢুকে পড়ছি আর আমি ভিতরে প্রবেশ করলেই তুই বাবা মাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে চলে যাবি, খেয়াল রাখিস তোদের সাথে যেন অভির সাথে কোনভাবেই দেখা না হয়, ভুঝেছিস?
ঠিক আছে আপু।
অবণী ফ্যামিলির সবার কাছে বিদায় নিতে গেলে ওর বাবা মেয়েকে জড়িয়ে ধরলো, তুই পোঁছেই কল দিবি আর তোর দাদীকে আদর দিস বেশি বেশি।
ঠিক আছে বাবা, মা আমি আসি?
অবণীর মা মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন চোখ মুছতে মুছতে আর বললেন, ভালো থাকিস মা।
অবণী বোন দুজনকে জড়িয়ে ধরলো, জড়িয়ে ধরা অবস্থায় বাবাকে বললো, বাবা তোমরা চলে যাও আমি ভিতরে চলে যাচ্ছি, তোমাদের আর দাঁড়ানোর দরকার নেই।
তুই আগে তো ভিতরে যা তারপর আমরা যাবো।
ঠিক আছে আমি তাহলে আসি, আল্লাহ্‌ হাফেজ।
আল্লাহ্‌ হাফেজ, যা তুই ভিতরে যা।
আগেই বোর্ডিং পাশ নিয়ে নিয়েছিলো অবণী, এগিয়ে গেল ভিতরে সিকিউরিটি চেকের জন্য, দরজায় পাসপোর্ট দেখিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো, আজ এক সাথে অনেক ফ্লাইট যাবে তাই লাইনো আজ বড়ই লম্বা, লাইন যেন শেষ হবার নামই নিচ্ছেনা।
অভি এয়ারপোর্ট কনকর্স হলের গেইটে নিজের সিআইপি কার্ড দেখিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এইদিক ওদিক খুঁজতে লাগলো অবণীকে, খেয়াল করলো অবণীর ফ্যামিলি এগিয়ে আসছে গেইটের কাছে, অভি এগিয়ে গিয়ে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো অবণী কই?
কিছুক্ষণ আগে ভিতরে প্রবেশ করেছে বাবা, অভির বাবা জবাব দিলো।
ঠিক আছে আনকেল আপনারা যান আমি দেখি দেখা করতে পারি কিনা বলেই তাড়াহুড়ো করে হাটতে শুরু করলো গেইটের দিকে, গেইটে গিয়ে নিজের সিআইপি কার্ড দেখিয়ে বুঝিয়ে বললো যে ওর পরিচিত একজন বিদেশ যাওয়ার জন্য এই মাত্র ভিতরে প্রবেশ করেছে, পারলে একটু দেখা করিয়ে দেওয়া যায় কিনা দেখার জন্য। সিকিউরিটি বললো, স্যার গেইট একটু খুলে দিচ্ছি আপনি দেখুন যদি উনি এখনো থাকেন তা হলে ডেকে দেবো, বলেই গেটটা একটু খুলে ধরলো, এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলো অভি ইতিউতি করে তারপর দেখলো অবণী সিকিউরিটি চেকের পর ভিতরে প্রবেশ করছে, ঐ যে উনি, দেখিয়ে বললো গেইট সিকিউরিটিকে।
সরি স্যার উনি তো সিকিউরিটি চেক করে ভিতরে প্রবেশ করে ফেলেছেন, উনাকে আর ডাকা যাবেনা আর সেই মুহুর্তেই অবণী ফিরে চাইলো গেইটের দিকে, দেখলো অভি দাঁড়িয়ে আছে গেইটে, ছলছল করা চোখের জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো দুগাল দিয়ে আর অভি চেয়ে রইল কিছুক্ষণ তারপর হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো অবণীকে, অবণী মুখ ঘুড়িয়ে হাটতে শুরু করলো তার ফ্লাইটের নির্দিষ্ট গেইটের উদ্দেশ্যে।

অভি বড় একটা নিশ্বাস ফেলে হেঁটে বেড়িয়ে এলো সিকিউরিটি এরিয়া থেকে তারপর এগিয়ে গিয়ে ওয়েটিং চেয়ারে বসে পড়লো। নিজেকে খুব খালি খালি মনে হচ্ছে, খুব টায়ার্ড ফিল করতে লাগলো কিন্তু বুঝতে পারছেনা কেনো এমন ফিল করছে। আধা ঘন্টা চুপচাপ বসে থাকলো ও তারপর উঠে গেট দিয়ে বেড়িয়ে এলো বাইরে, ফোন দিয়ে ড্রাইভারকে গাড়ী নিয়ে উপরে আসতে বলে একটা সিগারেট ধরায়ে ভাবতে লাগলো অবণীর কথা, ভাবতে লাগলো অবণীর সাথে কাটানো কিছু সময়ের কথা। ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে কাছে এসে দাঁড়ালে সিগারেটটা ফেলে পা দিয়ে পিশে আগুন নিভিয়ে দরজা খুলে পিছনের সিটে উঠে বসলো।
বাসায় ফিরেই নিজ রুমে এসে কিছুক্ষণ বসে রইল সোফাতে চুপচাপ, একটার পর একটা সিগারেট ধরিয়ে টানতে লাগলো এরপর ড্রেস চেইঞ্জ করে ছাদে চলে এলো আর ছাদে রাখা বেতের ডিভানে বসে আকাশ দেখতে লাগলো, মাথার উপর একটা এরোপ্লেন উড়ে যেতে দেখলো আর তা দেখে মন আরো খারাপ হয়ে গেলো যেনো অভির, অভি সিগারেট ধরায়ে টান দেওয়ার সময় খেয়াল করলো সিঁড়ির দরজায় কেউ এসে দাঁড়িয়েছে।
কে ওখানে?
অভি আমি মোনালিসা।
ওহ তুমি এখানে, ঘুমাওনি এখনো?
না ঘুম আসছিলোনা আর এইসময় দরজা খোলার শব্দ শুনে বেড়িয়ে দেখলাম আপনি সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যাচ্ছেন ভাবলাম কিছুক্ষণ আপনার সাথে গল্প করি তাই উঠে এলাম, কি করছেন এইখানে এতো রাতে?
আমারো ঘুম আসছিলোনা, তাই উঠে এলাম, আপনার কি মন খারাপ?
না না মন খারাপ হবে কেন, বসো।
মোনালিসা পাশের চেয়ারে বসে পড়লো, শুনলাম আপনি আমেরিকা থেকে পড়াশুনা করেছেন?
হুম।
তা এখানে চলে এলেন কেন, ওখানেই সেটেল হতে পারতেন?
তুমি চলে এলে কেন?
ওহ আই সি, প্রশ্নইটা ভুল হয়েছে আমার, খিল খিল করে হেসে দিলো মোনালিসা।
চলো অনেক রাত হয়েছে, ঘুমাবে না?
ঠিক আছে চলুন যায়, মোনালিসা উঠে অভির পিছন পিছন নেমে এলো।
ওকে গুড নাইট।
গুড নাইট অভি।

এরোপ্লেন যখন টরেন্টো এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করলো তখন স্থানীয় সময় দুপুর তিনটা, এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি কিলিয়ারেন্স (এম্বারকেশন) করে লাগেজ নিয়ে যখন এরাইভাল লাউঞ্জে অবণী বেড়িয়ে এলো তখন প্রায় চারটা, বেড়িয়েই ইতি উতি দেখতে লাগলো, খেয়াল করলো দাদী দাঁড়িয়ে, দৌঁড়ে গিয়ে দাদীকে জড়িয়ে ধরলো।
তুই শেষ পর্যন্ত এলি তাহলে।
কেমন আছো তুমি?
ভালো কিন্তু তোর এই অবস্থা কেন বুড়ী, চোখের নিচে এতো কালি পরেছে কেন, অবণীকে ওর দাদী আদর করে বুড়ী ডাকে।
আরেহ কালি পড়বেনা, সারা ফ্লাইটেই তো ঘুমাতে পারিনি, চাচ্চু চাচি কই বলেই এইদিক ওদিক দেখতে লাগলো অবণী।
ওদের তো জব আছেরে তাই আসতে পারেনি, ওহ হাঁ এর সাথে পরিচয় তো করে দিইনি, এ হলো রবিন।
দাদীর কাছাকাছি ছিলো ছেলেটা এতক্ষণ খেয়াল করেনি অবণী, ছেলেটা হেলো বলে হাতটা বাড়িয়ে দিলে অবণী হাত না বাড়িয়ে হ্যালো বললো।
রবিন হাত নামিয়ে নিলো অসস্তি নিয়ে তারপর বললো, আপনারা বাইরে বেড়িয়ে আসুন আমি গাড়ীটা পার্কিং থেকে নিয়ে আসছি, তারপর দ্রুত একজিট গেইটের উদ্দেশ্যে হাটতে শুরু করলো।
চলো দাদী বাইরে বেড় হই।
চল চল, বলে দাদী হাটতে লাগলো আর অবণী লাগেজ ট্রলিটা ঠেলে নিয়ে পাশে পাশে হাঁটতে লাগলো।

রবিন গাড়ী নিয়ে এলে অবণী ট্রলি ঠেলে গাড়ীর কাছে নিয়ে গেল, রবিন দ্রুত এসে বললো, আপনি দাদীকে নিয়ে গাড়ীতে উঠুন আমি লাগেজ গুলো তুলে নিচ্ছি। অবণী দাদীকে পিছনের সিটে উঠিয়ে দিয়ে নিজেও অন্য দরজা দিয়ে উঠে বসলো।
কি বুড়ী তোর মুখ শুকিয়ে আছে কেন?
অবণী দাদীর বুকে মাথা রেখে চুপ করে রইল, দাদী অবণীর মুখটা তুলে দেখতে গেলে দেখলো অবণীর চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে, কিরে তোর কি হয়েছে, কাঁদছিস কেন?
চোখ মুছে অবণী বললো, না দাদী কিছুনা।
তোর বাবা মার কথা মনে পড়ছে, ওদের ছেড়ে এসেছিস তাই কাঁদছিস?
অবণী গাড়ীর গ্লাসে মাথা দিয়ে উদাস মনে বাইরে চেয়ে রইল।
দাদী সামনে একটা সাবওয়ে আছে, আর পনেরো মিনিট লাগবে পোঁছাতে, ওখানেই থামি কি বলেন, লাঞ্চ তো আর করা হলোনা, রবিন বললো।
ঠিক আছে, রবিন তুমি তোমার সুবিধা মতো দাঁড়াও।
বিশ মিনিট পর রবিন গাড়ী পার্ক করলে অবণী বললো, দাদী তোমরা যাও আমি গাড়ীতে বসি, আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা।
আরে ম্যাডাম আমাদের ঘরে যেতে আরো দুই ঘন্টার উপর লাগবে আর কেউ আমরা খাই নাই, চলুন চুলুন নামুন খেয়েনি বলেই অবণীর সাইডের দরজা খুলে ধরলো রবিন আর অবণীও উপায় না দেখে কার্টেসির খাতিরে নেমে এলো গাড়ী থেকে।

___________ চলবে।
ছবিঃ Google.

৫২১জন ৫২১জন

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ