কি লিখবো?
লিখতে গেলে কলম চলবে কি?
অন্য কিছু লিখুনির মাঝে হঠাৎ থমকে দেবে মন
এই থাম!
এখন লিখ,রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওদের ওপর মানবতার চরম অবমুল্যায়ণ
লিখ,বিশ্ব মানবতায় যেন উপচে পড়ছে বাংলাদেশে!
হ্যামিলিওয়নের বাশির সূরের মতন দল বেধে ছুটে এসো এ বঙ্গ দেশে;
আফগানিস্থান কিংবা সিরিয়ার নির্যাতীত সকল জনগণ!!
অভিনন্দন তোমাদের জামাই আদরে;
ফের যাবে কি না জানি না,তবে
যাবার বেলায়
তোমাদের পয়জনে ভরে যেও
এ দেশের নতুন প্রজন্মের সুন্দর ভবিষৎ গর্তগুলো!।
আমি বলি,
মানবতা আজ কোথায়?বলনা আমার অবুঝ মন!
চে গুয়েভা,সাদ্দাম,গাদ্দাফী,লাদেন হত্যা এ কোন মানবতায়?
যুব সমাজ ধ্বংসের,
অসংখ্য ইয়াবা পাচারে রোহিঙ্গা শীর্ষে!
তবুও কেনো আমাদের অন্তরে এতো মানবতা কেদে মরে?
এ জগৎ বিশ্বে মানবতায় দেশ জনতা কি একা আমরাই?।
গুণীজনের কথা ভাসি হলেও ফলে
“ভাবিয়া করিও কাজ
করিয়া ভাবিও না”
আমাদের বেলায় হয়েছে তার উল্টো!
করিয়া ভাবি,
হায় হায় একি হলো!এখন উপায় কি?
ভাবিয়া করি না,
যেমনটি করেন উন্নত বিশ্ব।
কি লিখবো?
লিখতে গেলে মনে হাজারো কথার অন্ধকার ভীড় করে
এটা লিখ ওটা লিখ!
এটা লিখিস না ওটা লিখিস না!
লেখার মাঝে লাগাম টানতে পারিস না,
অল্প বয়সে জীবনটাকে বিপদে আর ফেলিছ না।
মনের অন্য পক্ষ বেজায় রাগ!
যা হবার তা হবে,বাধা!তুই এবার ভাগ!,
জানিস না তুই!শুনিসনি তুই!রবী ঠাকুরের অমর বাণী!
“উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
ভয় নাই,ওরে ভয় নাই
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’’
‘৭১ এ লক্ষ কোটি জনতা না জাগলে
এ স্বাধীনতা আসতো না,
স্বাধীনের আগে পরে বুদ্ধিজীবি হত্যা!,
সব ত্যাগ মিলিয়ে কাঙ্ক্ষিত এ স্বাধীনতা পাওয়া।
‘৯০ এ স্বৈরাচার হঠাও গণতন্ত্র আনো
জনতার এমন উচ্চাকাংক্ষায় রাজনিতী রক্ত চায়!
আমজনতা নূর হোসেনদের রক্ত!
এখন,কেবলি বৃথা যেন!।
কোথায় সেই প্রতিশ্রুতির গণতন্ত্র?
কোথায় সেই প্রতিশ্রুতি,
“জীবনের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি”?
কোথায় সেই প্রতিশ্রুতি,
নেশা মুক্ত সমাজ,
ভেজালঁ মুক্ত খাদ্য,নিশ্চিন্তময় চিকিৎসা?।
৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
রোহিঙ্গারা আমাদের বিশাল একটি ক্ষতির কারন হতে পারে। বাংলাদেশের মধ্যে অন্য আর একটি আবাসভুমি তৈরীর সম্ভাবনাও আছ্র।
আমরা যা চাই, বাস্তবে তার কিছুই পাচ্ছিনা।
ভাল লিখেছেন মনির ভাই।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমারও কেন যেন প্রথম থেকেই এমনি একটি ধারনা ছিল….ওদের মানবতা দেখিয়ে আমাদের পর্যটন নগরীতে স্থান দিলাম।না জানি ফিরে যায় কি না?এখন তাই দেখছি ওরা স্থায়ী বসবাসের জন্য পাহাড় কাটছে,অন্যের জমিতে নির্ধিদায় ঘর তুলছে,গড়ে প্রতিদিন ৬০ জন নতুন শিশু জন্ম দিচ্ছে যেন এ্যানি হাউ জনসংখ্যা আরো বাড়াও এমন প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন।এর ফল এখন নয় আরো পাচ ছয় বছর যাক আমরা টের পাবো।ইয়াবা মাদক এতো দিন গোপনে অল্প এলেও রোহিঙ্গা প্রবেশে জলের মতন আসছে এ দেশে।বাড়ছে পর্যটন নগরীতে চুরি ছিনতাই হত্যার আতংক।পর্যটক সংখ্যা দিন দিন কমছে।ভয় হয় কখনো যদি ওরা ঘোষনা দেয়
এ পর্যটন নগরী চট্রোগ্রাম তাদের….আমরা পারবো কি তাড়াতে তাদের?তখন তথাকথিত বিশ্ব মানবতা সহ স্বদেশীয় রাজাকারী মানবতা এসে ভীড় করবে পক্ষ নিবে ওদের।
ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
রহিঙ্গারা ক্ষতির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে অলরেডি।
পৃথিবীর রাজনিতীর এই হিসেবটা আমি বুঝি না।
কবিতার ভাষায় বেশ ভালো বলে গেলেন মনির ভাই।
খসড়া
মন্তব্য করার কিছু পেলাম না