
এইখানে নাভিশ্বাসের শরীর জুড়ে গম ছিটালে
জননীর বোধের বেলনের নিচে, বাবার মুখের ব্যাসার্ধ নিয়ে আমি রুটি ফুল হয়ে ফুটে থাকি পৃথিবীর শেষ ক্ষুধার্ত দাঁতের অপেক্ষায় । নীলাদ্রি বুকের উঞ্চতায় রুটি ছেঁকে দিলে, আমি হয়ে উঠি বিনিময়ের কড়ি। আমাকে খুচরো করে পকেটে তুলে নেয় টুকটুকে লাল বিপ্লব। আমার পঞ্চম উত্তর পুরুষ ভিনদেশীর ভ্রমন বৃত্তান্তে খোঁজে বনবিবির গাছ রক্ষার মন্ত্র । আমার ভেতরের সলতে উস্কে দিলে ভাপা পিঠার মতো পিঠে জেগে ওঠে আমার একান্ত যাপনের বদ্বীপ।পৃথিবীর নগর পিতাদের মুখে মুতে দেওয়া দায়ে আগামীকাল কাল সন্ধ্যায় আমার বুকের ঠিক দুই ইঞ্চি নিচে গুলি করবে মহাকালের চল্লিশতম উত্তর পুরুষ।পরদিনই চৈত্রের ক্ষুধার্ত রোদের বিপরীতে কোন এক বাউলের উঠনে বায়না হয়ে ঝরবো প্রবল স্রোতের প্রত্যয় নিয়ে। এইখানে আমি সহসা ইছামতী হয়ে বয়ে গেলেই মুণ্ডহীন বিপ্লবীর জোড়া লাশ এসে থামে আমার নাভিমূলের ঘাটে। আমার এ সাতাইশ তম জনমের মৌজায় পৃথিবীর মানুষকে ডেকে এনে ডালিম ফুলের চাষের ধারনা দিয়ে হয়ে উঠবো মহুয়ার বোতলের শেষ চুমুক। এইখানে আমার বাম পাঁজরে খুলে বসবো পানশালা, আমার আগমনের সংবাদে আগামী শত শীতেও কাটবে না তোমাদের ব্যাধিঘোর।
৭টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
দুর্দান্ত বোধের ব্যাধির বহিঃপ্রকাশ। আফসোস…..এমন ব্যাধী আমি প্রকাশ করতে পারিনা কেন?
কেউ তো পারছে!!!
অভিবাদন আপনাকে।
নাজমুল হোসেন নয়ন
আপনাকেও অভিবাদন
আলমগীর সরকার লিটন
সত্যই বেশ ভাবনাময় প্রকাশ কবি দা
নাজমুল হোসেন নয়ন
লিটন ভাই শুভেচ্ছা নিবেন
মোঃ মজিবর রহমান
মন্টায় ব্যাধির আতুরঘর। সেই ঘোর উতরায়ে যাবার কল্পনায় হই না সেখানে শত শত বছর কিবা যুগ গেলেই বা কি পচনেই পতন আমাদের।
ভালো থাকুন।
হালিমা আক্তার
জীবন বোধের দুর্দান্ত প্রকাশ।শত বছরেও ঘোর কাটবে না। তাইতো আমরা পচনশীল থেকে আরো পচনের দিকে যেতে থাকি। শুভ রাত্রি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাপরে এ আমার সাধ্য নয়!!! শুভ কামনা গুণীজন!!!