ISIS / ISIL / Waffen / @albaraka_news

প্রথমেই আমার এই লিখার নাম করন প্রসঙ্গে বলতে চাই, কেন আমি বলছি “বিশ্ব রাজনীতি বনাম আলকায়দা থেকে আইএস-বিহাইন্ড দি সিন”। এর কারন ইতিমধ্যে কিছু বিষয় আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন যে, যেসব রাষ্ট্র এই আইএস কিংবা অন্যান্য জঙ্গী নিধনে নেমেছেন, অনেকের অভিযোগ তারাই নাকি এদের স্রষ্টা। আসলেই কি তাই? যারা হয়ত জানেন না তাদের এই প্রশ্নের উত্তর পরিস্কার করার জন্যই আমার এ প্রয়াস শুরু। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন সীমান্ত উন্মাদ দুনিয়ায় এতো কিছু থাকতে জঙ্গী নিয়ে গবেষণা বা লিখা শুরু করলো, যে যেভাবেই ভাবেন। এর পিছনে আমার কাছে কিছু যুক্তিক কারন আছে। যা প্রেক্ষাপট আকারে আমি বলতে চাই ভূমিকাতেই।

প্রেক্ষাপট একঃ এক ফেইসবুক বন্ধু তার স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘আইএস যোদ্ধারা খুব নিষ্ঠাবান মুজাহিদ। মন্তব্যে আমি এবং আমার এক সাংবাদিক বড় ভাই দুইজনেই লিখেছিলাম, ধর্মের উদ্দেশ্য হলো অসভ্য মানবজাতিকে সভ্য করে তোলা। মানবিক করে তোলা। ধর্মের নামে কেউ যদি বর্বরতা আর অমানুষিকতার আশ্রয় নেয়, তাহলে তো তিনি মানুষই হতে পারলেন না। যিনি মানুষ হতে পারলেন না, তার আবার কিসের ধর্ম? কিসের জিহাদ? এই জবাব পেয়ে আমাদের তুলোধুনো করেছিল ওই ফেসবুক বন্ধ এবং তার অনুসারীরা, তার পর যথারীত আমাদের ব্লক মারা হয়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে পাল্টা জবাব কেন দেইনি। দেইনি কারন ফেসবুকে ধর্মের বিহাস বৃথা। তাতে কোন মীমাংসা হয়না বরং জট পাকায়। আমার বিশ্বাস এই লিখা যারা পড়ছেন অনেকের সাথে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, এবং আমাদের সাথে যা করা হয়েছে আপনাদের সাথেও একি ঘটনা করেছে তারা। তাই আমি চিন্তা করলাম এই আইএস অনুরক্তদের সম্পর্কে একটু অনুসন্ধ্যান করা দরকার। করতে গিয়ে যা পেলাম তাতে আমি বিস্মিত একি সাথে হতবম্ভ। দেখলাম আইএস এর বর্বরতার ছবিগুলো শেয়ার করে তারা মন্তব্য করছে- ঠিকই আছে শিয়া কুর্দি আর খ্রিস্টানদের এভাবেই মারা উচিৎ। এরা সুন্নিদের উপর বহু অত্যাচার করেছে। এদিকে, আইএস এর খিলাফত নিয়ে আশাবাদি কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন “অবশেষে নিপীড়িত মুসলিমের জন্য একটি খিলাফত এসেছে। যে কোন মূল্যে এই খিলাফতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

দীর্ঘদিন বিশ্ব বাণিজ্য এবং রাজনীতি নিয়ে কাজ করার সুবাদে, এবং আমার ১০ থেকে বছর আগের একটা সিরিজ লিখা “বিশ্ব রাজনীতি এবং তথাকথিত তৃতীয় বিশ্ব” নামের আর্টিকেল লিখতে গিয়ে তখনি দেখেছি তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে বিশেষ করে পাকিস্তানকে কেন্দ্র করে জঙ্গী নামের একটা ব্যাবসা চালু করে উন্নত বিশ্বের মুনাফা হাকানোর একটা প্লেন ১৯৪৭ এর পর থেকেই একটু একটু পূর্ণতা পাচ্ছিলো, যা আজো বিষ ক্ষতের মত বয়ে চলছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো। কিন্তু তাদের এই বিশেষ প্লেনটি মানে জঙ্গীবাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে খুব কম মানুষই, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ ওয়াকিবহাল। এরি কারনে আমার মনে কটা প্রশ্ন জাগল, এই মানুষরা যদি জানতেন, আইএস যোদ্ধারা ধর্মের বলে বলিয়ান কোন মুজাহিদ নন বরং যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব আর ইসরাইলের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের ফলাফল, এবং তাদের মূল উদ্দেশ্যটা জিহাদ বা খিলাফত না, বরং মুসলিমদের ভাইয়ে ভাইয়ে দাঙ্গা বাঁধানো,  তাহলে কি বাংলাদেশের মত একটি উদার মুসলিম দেশের কোন মানুষ আইএস এর প্রতি এমন শর্তহীন সমর্থন ব্যাক্ত করতেন? আমার দূঢ় উত্তর না। তাই এই বিশেষ বিষয়ের ইতিহাস এবং এর সম্পর্কিত যত সাংবাদিক এবং স্কলারের বিশ্লেষন এবং লিখা বই আছে সেই গুলো বিশ্লেষন করে তথ্য নিয়ে সুত্র মিলিয়ে সাধারনের জন্য এই জঙ্গীবাদ এর মুল হেতু আর এই ষড়যন্ত্রের দালিলিক প্রমান সহ সত্যকে সামনে আনার চেষ্টা করেছি।

isis women

প্রেক্ষাপট দুইঃ আপনি হয়তো ভাবছেন, সুদূর পারস্য, মধ্যপ্রাচ্য, বিশ্ব মানচিত্রের এতো দূরের দেশের জঙ্গীদের ব্যাপারে আমাদের মাথাব্যাথার কি দরকার? কিন্তু আমি তথ্য ঘাটতে গিয়ে পেলাম ভিন্ন কথা। প্রায়ই নাকি বাংলাদেশী বংশোদভূত প্রবাসী তরুন, তরুনী আইএসের জিহাদের ডাকে ঘর ছাড়ছে। বাংলাদেশেও নাকি মিলছে আল কায়দা এবং আইসের প্রশিক্ষণ পাওয়া জংগী, প্রতিদিনই ধরা হচ্ছে তাদের কখনো ২১ জনের দল কিংবা কখনো ১৮ জনের, সাথে পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্র, গোলা বারুদ।  এরা নাকি চরমপন্থীরও চরমপন্থী। প্রায় বাছ বিচার ছাড়াই নাকি মানুষ খুন, কল্লা কাটা চলছে। আইএসের হাত থেকে অপহরণের পর ছাড়া পাওয়ারাতো বলছেন, পুরো সাহারা মরুভূমিটাই নাকি ঘাটি। আইএস মানেই নাকি যোদ্ধাদের জিহাদ, আল নিকাহর নামে অসংখ্য নারীকে বিয়ের সুযোগ? আর যখন দেখলাম এই প্রলোভন দেখাতে বাংলাদেশেও  ফেইসবুকের মাধ্যমে আইএস শাখা চালু হয়েছে? আর যারা আইএস নিধনে নেমেছে সেই সব বড় বড় রাষ্ট্রই নাকি আবার তাদের স্রষ্টা! তখন আর থেমে থাকার বা পিছিয়ে পড়ার প্রশ্নই আসেনা, কারন এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন আমার আপনার বাবা, রক্ত দিয়েছেন আমাদের ত্রিশ লক্ষ মা বোন ভাই, আর দুই লক্ষ মা, বোনের ইজ্জত হয়েছে লুন্ঠিত। এই বাংলাদেশকেতো জঙ্গীদের ঘাঁটি হতে দেওয়া যাবেনা। ঝড় এবং ঝাপ্টা যতই আসুক। তাই এই প্রচেষ্টা।

মূল প্রসঙ্গঃ ভাবছিলাম কোথা হতে শুরু করা যায়। বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহের পর, এইটুকু আমার কাছে পরিস্কার হয়ে গেলো যে বিশ্বব্যাপি, নতুন করে বেপক ব্যাপ্তি নিয়ে জঙ্গীবাদের উত্থান এর পিছনে, নাইন-ইলেভেনের হামলার ঘটনার বিস্তৃত একটা মেল বন্ধন আছে, তাই সেখান থেকেই শুরু করা যাক আর করলাম ও নাইন-ইলাভেনের ঘটনা দিয়ে। কারন, বিশ্ব রাজনীতির খোলনলচে পাল্টে দেওয়া ওই ট্র্যাজেডিকে ঘিরে আজও নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মানুষ। এদিকে তথ্য উপাত্ত বলছে ঐ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের বন্ধু সৌদি আরবের জোরালো ভূমিকার কথা অস্বীকার করেন না, খোদ মার্কিন রাজনীতিবিদরাও। অনেক বিশ্লেষকই বিশ্বাস করেন, আজকের উত্তাল বিশ্ব পরিস্থিতির মূল শেকড়টা নাইন-ইলাভেন ট্রাজেডিতে। ওই ঘটনাকে পুঁজি করে শুরু হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ, গত এক যুগ ধরে ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বকে অনিরাপদ করেছে, করেছে বসবাসের অযোগ্য। আফগান যুদ্ধের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ধর্মীয় কোন গোষ্ঠির হাত ধরে এই পৃথিবীতে জঙ্গীবাদের বিস্তার হয়নি। বরং যুগে যুগে বিভিন্ন রাষ্ট্র শক্তির অর্থ-অস্ত্রের মদদে জঙ্গীবাদ নামের বিষবৃক্ষটিকে বাড়তে দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তান, ইরাক আর চলমান সিরিয়া সেই প্রমানই দেয়।

আমি কোন বোদ্ধা বা ইতিহাস বিশ্লেষক নই খুব সাধারন একজন শিক্ষনবিস সাংবাদিক মাত্র। আমি গত কয়েক বছরে সাংবাদিকতার যে শিক্ষা পেয়েছি তা থেকে জেনেছি আমার একমাত্র কাজ তথ্য তুলে ধরা আর সে কাজটিই আমি করেছি কিছু মানুষের সহযোগিতায়। দেশি বিদেশি কয়েকজন গুনি বিশ্লেষক এবং সাংবাদিকের জঙ্গীবাদ নিয়ে লিখা আর্টিকেল, মার্কিন ডিক্লাসিফায়েড বিভিন্ন দলিলপত্র থেকে শুরু করে এই বিষয়ে অনুসন্ধানী যত প্রতিবেদন, আলোচিত নানা বই, এই সম্পর্কিত ওয়েব সাইটের সাহায্য নিয়েছি। আমাদের বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক সুজন ভাইয়ের জঙ্গীবাদ নিয়ে লিখা বই থেকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি আমি, আমার লিখা সুচারু এবং সহজ ভাবে সাজাতে। এই বিষয়ের যত গভিরে গেছি, তত পরিস্কার হয়েছে ইতিহাসের নানা কাল পর্বে জঙ্গীবাদকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল, পাকিস্তান, আর সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর ষড়যন্ত্রের খোলস অনাবৃত হয়েছে আমার কাছে আর তাই কেবল তথ্য উপাত্তসহ আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। তথ্যের সাথে তথ্যের মেল বন্ধন ঘটিয়েছি আর চেষ্টা করেছি গল্পের মত করে ইতিহাসের অনুচ্চারিত সেইসব সত্যকে সামনে নিয়ে আসার।

এই লিখাটি আমি সোনেলায় পর্ব আকারে দিব, কারন নাইন ইলেভেন থেকে আইএস জঙ্গী উত্থান এবং সর্বশেষ বাংলাদেশে তাদের সক্রিয় হবার ঘটনা পর্যন্ত এটি একটি দীর্ঘ লিখা হবে। কারন এযে গত ১৪ বছর শেষ করে ১৫ বছরে পড়তে চলেছে আর বিস্তৃতি ঘটছে ক্যান্সারের জীবানুর মত দ্রুত, হচ্ছে দ্রুত থেকে দ্রুততর। বড় হবার আরো একটি কারন এখানে ধর্ম নিয়ে আইএস সহ অন্যান্য জঙ্গী সংগঠন গুলো বিশেষ করে ইসলামের খন্ডিত আর মনগড়া ব্যাখ্যাকে তাদের প্রধান অস্ত্র বানিয়ে নিয়েছে, সে বিষয়ে বিশ্বের বরেন্য ১২৬ স্কলারের মতামত ও সঠিক ব্যাখ্যাও তুলে ধরেছি। এই খানেই আমি সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি সুজন ভাইয়ের বই থেকে। কারন মাত্র দেড় বছরের চেষ্টায় একা আমার পক্ষে সম্ভব না এতো ব্যাখ্যা একসাথে জড়ো করা।

ভূমিকার শেষেঃ আমার এ চেষ্টায় কোন ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন দয়া করে। সব পর্ব শেষ করতে হয়ত বছর লেগে যাবে। আশাকরি পাশে পাবো আপনাদের। যারা বাংলাদেশে বসবাস করছেন এই মুহূর্তে তাদের প্রত্যেকের প্রতি অনুরোধ চোখকান খোলা রাখুন। আপনার আশেপাশেই হয়ত অবস্থান নিয়ে আছে জঙ্গী দোসরা, সময় সুযোগে হামলে পড়তে পারে সর্বশক্তি নিয়ে, আমাদের সোনার বাংলায় আর তাদের সহযোগিতার জন্য তো মুখিয়ে আছে আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো, যারা পাকিস্তান নামক নীতিহীন রাষ্ট্রটির দোসর, আর আইএস আলকায়দা তো মৌদুদীবাদিদের নতুন সংস্করণ মাত্র। সচেতন হোন অন্যকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিন। আমাদের দেশে জঙ্গীবাদের মদদ দেওয়া হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে আর এই পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী জঙ্গী ষড়যন্ত্রের অংশ হয়েছে কেবল মাত্র বাংলাদেশ এবং ভারতের উপর প্রতিশোধ নিতে আর তাদের মাটি পশ্চিমাদের ব্যাবহার করতে দিচ্ছে তাদের ব্যাক্তি আর্থিক স্বার্থ হাসিলের জন্য।

 

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। জোট বদ্ধ হয়ে প্রতিরোধের জন্য তৈরি হন এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।

৬৩৮জন ৬৪০জন
0 Shares

৩৬টি মন্তব্য

  • জিসান শা ইকরাম

    অত্যন্ত ভালো একটি লেখা পড়লাম।
    আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে ধর্মের নামে এই সব উগ্রতার বিরুদ্ধে
    সম্মিলিত প্রতিরোধ ব্যতীত এদেরকে মোকাবেলা করা সম্ভব না।

    ” আইএস যোদ্ধারা ধর্মের বলে বলিয়ান কোন মুজাহিদ নন বরং যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব আর ইসরাইলের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের ফলাফল, এবং তাদের মূল উদ্দেশ্যটা জিহাদ বা খিলাফত না, বরং মুসলিমদের ভাইয়ে ভাইয়ে দাঙ্গা বাঁধানো, তাহলে কি বাংলাদেশের মত একটি উদার মুসলিম দেশের কোন মানুষ আইএস এর প্রতি এমন শর্তহীন সমর্থন ব্যাক্ত করতেন? ”……… এই চিন্তা এবং প্রশ্ন আমার মাথায়ও ঘুরপাক খায়।

    সোনেলার জন্য এই পোষ্ট একটি সম্পদ হবে অবশ্যই।
    এমন ধরনের পোষ্টকে সোনেলা উৎসাহিত করবে বলেই আমার বিশ্বাস।
    দারুণ সূচনা
    শুভ কামনা।

    • সীমান্ত উন্মাদ

      অনেক অনেক ধন্যবাদ মামা উৎসাহ এবং অনুপ্রেরনার জন্য।

      বিষয়টি যে কোন সময় আমাদের জন্য ভয়াবহ রুপে দেখা দিতে পারে। কারন গতকাল রাত থেকে আজকে মিলিয়ে ১১ জন জঙ্গী ধরা পড়েছে, যাদের প্রথম স্বীকার উক্তি ছিল যে তারা কয়েকদিন আগে ধরা পড়া আলকায়দা সহযোগিদের সাথী। তাদের মূল প্ল্যান যতটুকু বুঝতে পারছি আমাদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুলোতে হামলা চালানো, যেটা আজকে র‍্যাব এবং ডিবি পুলিশের মিডিয়া উইং থেকেও বলা হয়েছে।

      যারা শিক্ষিত কিংবা ধর্মান্ধ নন তাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদের দেশের সাধারন মানুষদের বুঝানও। এদের ব্যাপারে। আমি কাজ করতে গিয়ে এও খবর পেয়েছি বাংলাদেশের প্রতন্ত কিছু এলাকার গ্রামে এবং নামাজের সময় মসজিদে আইএস এবং আল কায়দার সফলতার জন্য দোয়া করা হয়। সবাইকে এই ব্যাপারটিও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সেদিন সংশয় প্রকাশ করে এক সিকিউরিটি সংস্থার অনুষ্ঠানে বলেছেন যে বাংলাদেশের জন্য দিনে দিনে আলকায়দা আইএসের হুমকি বাড়ছে কারন স্থানীয় জঙ্গীরা এদের সহযোগিতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তাদের ইন্টারন্যাশনাল লবিং এর মাধ্যমে।

      এই সব দিকে সবাইকে খেয়াল এবং মনোযোগ দিতে হবে। কারন সরকার কিংবা প্রশাসনের পক্ষে একা প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

      মামা আপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা। আশা করি সোনেলা কতৃপক্ষ সহ সকল ব্লগারগন আমার এই প্রচেষ্টার সহযোগি হবেন। কারন আমরা যে যেখানেই থাকি কিংবা যেভাবেই থাকি না কেন দেশটা আমাদের। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের সংস্কৃতি আমাদেরই রক্ষা করতে হবে, তাহলেই বেঁচে থাকবো আমরা বেঁচে থাকবে আমদের মানুষ।

  • ব্লগার সজীব

    এমন লেখাই চাই আসলে ব্লগে।নিজে লিখতে পারিনা কিছুই।অন্যের লেখা পড়ার জন্যই ব্লগে আসা।খুব যত্ন এবং ধৈর্য নিয়ে লিখেছেন বুঝা যাচ্ছে।এমন লেখার জন্য অকৃপণ প্রশংসার দাবীদার আপনি।

    • সীমান্ত উন্মাদ

      আমি সজীব ভাই কোন প্রশংসা চাই না। চাই আপনাদের সহযোগিতা। কারন আপনাদের মত সচেতনরা যদি এক্কেবারে সাধারনের কাছে এই সব পৌঁছে দিয়ে বুঝাতে না পারেন তবে এই সব মৌলবাদিরা আমাদের দেশটাকে গ্রাস করবে।

      তাই আমি আপনাদের কাছ থেকে অকৃপন সহযোগিতা চাই। আশা করি পাবো আপনাদের পাশে।

      আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো।

  • অলিভার

    ভূমিকা পোষ্ট পড়ে এই ব্যাপারে জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আর বিশ্ব রাজনীতি কিংবা আইএস এর ব্যাপারে আমার জ্ঞান একেবারেই শূন্যের কোঠায়। আশা করছি আপনার পোষ্টের মাধ্যমেই এই নিয়ে পরিষ্কার একটা ধারণা পেয়ে যাবো।

    শুভ কামনা জানবেন 🙂

  • ছাইরাছ হেলাল

    যাক এতদিনে আপনার মেধা ও শ্রমের সামান্য ঝলক আমরা দেখতে পেলাম। পর্ব ও কলেবর আমার জন্য
    কোন ব্যাপার না, পাঠ অভ্যাস এখনও আছে।
    অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে, ধর্মের নামে পৈশাচিকতা আমরা ৭১ থেকে এখানে দেখতে শুরু করি সরাসরি।
    পরবর্তীতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। বিশ্বব্যাপী এ ভয়াবহতা চলমান। আমরা কোথায় যাচ্ছি বা এর থেকে পরিত্রাণের উপায়
    এখনও আমাদের অজানা।
    তথ্যবহুল শ্রমসাধ্য লেখাটির সাথে থাকার ইচ্ছে রইল।

    • সীমান্ত উন্মাদ

      আমি শুধু মাত্র চেষ্টা করেছি সত্যিটা তুলে আনতে, কিছু গুনি মানুষের সহযোগিতা নিয়ে তাদের লিখা বই আর্টিকেল গুলো পড়ে, যাতে আপনি আমি আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশের মানুষদের বুঝাতে যে এই সব ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে যা হচ্ছে তা আসলে কি।

      আমরা যা কিছুই লিখি না কেন? তা যাতে শুধু পড়া না উপলব্ধিও করতে হবে। আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের সচেতন হতে হবে।

      আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক অনুপ্রেরনা পেলাম। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।

  • আবু খায়ের আনিছ

    ধর্মের কাজ আলোকে আরো আলোকিত করা নয় বরং অন্ধকারকে আলোকিত করা। আইএস যা করছে তা কোন ভাবেই ধর্ম সমর্থন করে না।
    গতকাল পত্রিকায় দেখলাম, আইএস নাকি ভারত আক্রমণ করবে। যদি এমনটা করা হয় তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে বেশি সময় লাগবে না।
    খুব সুন্দর টপিক বাছাই করে লিখছেন, আমাদের সকলেরই জানা উচিৎ আসলে আইএস কারা?তাদের উৎপত্তি কোথায়? এবং তারা কি চাইছে?
    লিখা চালিয়ে যান, আপনার জন্য রইল শুভ কামনা।

    • সীমান্ত উন্মাদ

      ঠিকই পড়েছেন পত্রিকায়। আপনার সাথে আরো একটি বিষয় যুক্ত করতে চাই, প্রথমত ভারত আমাদের সবচেয়ে নিকট প্রতিবেশি। তাদের উপর আক্রমন হলে তাঁর ইফেক্ট আমাদের উপর পড়বে এটা নিয়ে কোন দ্বিধা নেই, দ্বিতীয়ত আমি যখন এই বিষয় গুলো নিয়ে বাংলাদেশে আন্সারুল্লাহ, আলকায়দা ভারতীয় উইং যেটাকে তাঁর বলে, সেই সব পেইজ এবং তাতে একটিভ আইডিগুলোতে দেখলাম ওদের অনেকেই বলছে যে আইএস এর উচিৎ বাংলাদেশ ভারতের সমদ্র সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে এখনই আক্রমন করা। অন্যদিকে মিয়ানমার কে দখলে নিয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে হামলা চালানো কারন হিসেবে তারা দেখিয়েছি যদি বাংলাদেশকে দখল করা যায় তবে পিছনে সুমদ্র উন্মুক্ত রেখে সহজে ভারতে প্রবেশ সহজ হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য যারা এই প্রস্তাবনা দিয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরাই সোচ্চার ছিল বেশি। এখন আশার বানী হচ্ছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহীনি তাদের অনেকই গত কয়েক মাসে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু শুধু আমাদের বাহীনিগুলো সোচ্চার হলেই হবে না এসবের বিরুদ্ধে। আমাদের সচেতন হতে হবে। আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে কি হচ্ছে, কিংবা পাশের বাড়িতে কি হচ্ছে সেগুলোও খেয়াল রাখতে হবে। কিংবা আপনার এলাকায় যদি কোন অপরিচিত কেউ আসে তাঁর ব্যাপারে খুঁজ খবর রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পুলিশ বা র‍্যাবকে জানান।

      পরিশেষে বলতে চাইঃ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা এবং পাশে থাকবেন আশা করি।

  • রিমি রুম্মান

    দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, পৃথিবী জুড়ে ধর্মের নামে উগ্রতা ছড়িয়ে পরেছে। ৯/১১ এ অল্পের জন্যে বেঁচে গিয়েছিলাম বলে আমি আজ সোনেলায় লিখছি, সকলের লেখা পড়ছি। পর্ব আকারে লিখলে ভাল হবে। আরও কিছু তথ্য পাবো এই ভেবে অপেক্ষায়… -{@

  • লীলাবতী

    পড়লাম একবার।সময় নিয়ে আরো পড়তে হবে।খুব ভালো ভাবে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন।মুল লেখার পুর্বে ভূমিকাটি অত্যন্ত ভালো হয়েছে।পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

  • খেয়ালী মেয়ে

    সোনেলার কয়েকজনের লেখা আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি, তাদের মধ্যে আপনি একজন…..

    ধর্মের উদ্দেশ্য হলো অসভ্য মানবজাতিকে সভ্য করে তোলা। মানবিক করে তোলা। ধর্মের নামে কেউ যদি বর্বরতা আর অমানুষিকতার আশ্রয় নেয়, তাহলে তো তিনি মানুষই হতে পারলেন না। যিনি মানুষ হতে পারলেন না, তার আবার কিসের ধর্ম? কিসের জিহাদ?…………….. (y)

    সবাই ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক………..ভূমিকা পর্ব ভালো হয়েছে, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছি…………….

  • শুন্য শুন্যালয়

    গতকাল পড়েছি তোমার লেখাটা। টপিক্স পড়েই তো তোমাকে প্লাস প্লাস দিয়ে দিয়েছি। ভূমিকা আগ্রহ বাড়িয়েছে বহুগুন। শেষ করো লেখাটা। এখানের চ্যানেলে মাঝে মাঝে দু একটা বাচ্চা আই এস কে নিয়ে এসে লাইভ প্রোগ্রাম হয়, দেখে ভয় পেয়ে যাই। কিভাবে ব্রেইন ওয়াশড এরা ভাবতেই শিউরে উঠি। আরো অনেক কিছু জানবার অপেক্ষায় রইলাম।

    • সীমান্ত উন্মাদ

      বাংলাদেশের মিডিয়াতে এই প্রোগ্রাম সম্ভব না। কিন্তু এদেশের জঙ্গী সংগঠনগুলো তাদের ইন্টান্যাশনাল লবিং এর মাধ্যমে আইএস এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। আর তারা নিজেরা ট্রেইনিং দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার মাদ্রাসা ছাত্রদের। এবং সমস্ত সহযোগিতা তাদের দিচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা। তাদের মাঝে প্রতিদিনই অনেকে ধরা পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির হাতে। তাদের কাছে যা শুনা যাচ্ছে তা আসলে শিউরে ওঠার মতোই।
      লিখাটা পর্ব আকারে শেষ করবো। আশাকরি সাথে পাবো তোমাকে বন্ধু।

      শুভকামনা তো তোমার জন্য নিরন্তরই থাকে।

      • শুন্য শুন্যালয়

        হ্যাঁ ঠিকই বলেছ এদেশে এ প্রোগ্রাম সম্ভব নয়, যদিও জানি আশেপাশেই তাকালে এই ঘরানার মানুষজন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখানে সম্প্রতি আই এসে অংশগ্রহনকারী কাউকে পেলে পুরো পরিবারের সিটিজেনশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদের দেশে এমন করবেনা কোনদিন, অথচ করা উচিৎ।

      • সীমান্ত উন্মাদ

        আমাদের দেশে সিটিজেনশীপ বাতিলের সিস্টেম না করলেও, আইনশৃঙ্খলা বাহীনি কঠিন অবস্থান নিয়ে আছে। তাই ধরাও পড়ছে এরা দলেবলে।

        কিন্তু আমাদের সাধারন মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বেশ কম, যার কারনে এরা আসলে সুযোগ পাচ্ছে বেশি। তবুও চেষ্টা চলছে রুখে দেবার, ধর্মের নামে সন্ত্রাস করা এই পরাশক্তিগুলোকে।

        ভালো থেকো।

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ