আকাশে সূর্য উদিত হয় পূর্বদিক দিয়ে। সত্যি না মিথ্যে?
– সত্য
পক্ষ কাল পর পর চন্দ্র তার শীর্ণ শরীরে পূর্ণতা লাভ করে। সত্যি না মিথ্যে?
-সত্য
বিল-খাল-নদীতে জোয়ার ভাটা হয় নির্দষ্ট সময়ে। সত্যি না মিথ্যে?
– সত্য
আকাশে’ই মেঘ জমে বৃষ্টি হয় ঋতু পরিবর্তনে। সত্যি না মিথ্যে?
-সত্য
সূর্য ক্রমান্বয়ে অস্ত যায় পশ্চিমে দিন শেষে, সত্যি না মিথ্যে?
– সত্য
এই যে যে কটা প্রশ্নের উত্তর ইতিবাচক বিশ্বাসে একই হলো! কোন বিশ্বাসে? না আমি কেনো তর্ক করার উদ্দেশ্যে এসব প্রশ্ন এবং জবাবের বিশ্লষণ নিয়ে বসিনি। বিশ্বাসটা যদি একই প্রসঙ্গে সার্বজনীন হয় তাহলে অবিশ্বাসী হবার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার কারনগুলো নিয়ে বরং আতংকিত হবার সুযোগটা প্রশস্ত হয়। বিস্তার লাভ করে বিধির বিধান অমান্য করার ধৃষ্ঠতা। চারপাশ যত ছোট হয়! স্বভাবগত আচরন দিয়ে তখন আমরা চাহিদানুযায়ী মানানসই যাপনে অভ্যস্ততায় অভ্যস্থ্য হয়ে পড়ি। যতটা জ্ঞান ধারন বা অর্জন করার প্রয়াসে সচেষ্টতায় সচেষ্ট হবার তাগিদ অনুভূত হতে থাকবে মস্তিষ্ক! ততটাই খাটো হতে থাকবে সিমীত জানার পিপাসা।
আমার জানার পরিধি ছোট না বড় তা নিয়ে অসন্তষ্ট প্রকাশ করার আগে আমি বরং ভাবব….. আমার বিশ্বাসটা সার্বজনীনতায় সঠিক নাকি ভুল?
” চোখ ঘুরিয়ে তাকাও চতুর্দিক। কোনো অসামঞ্জস্য চোখে পরে কী? তুমি তোমার প্রভূর কোন কোন নিয়ামত অস্বিকার করবে?”
অবিশ্বাসীদের যতই শোনাতে যাবে! তারা শুনবে না। কারন তাঁদের গলদেশে রজ্জু পরিয়ে দেয়া হয়েছে। তুলে দেয়া হয়েছে চোখের সামনে দেয়াল। তারা সত্যটা দেখবে অথচ তারা তা অমান্য করেই যাবে।
চন্দ্র সূর্য যেমন পৃথিবী প্রদক্ষিণরত অবস্থায় ভারসাম্য বজায় রেখে টিকে আছে বা টিকিয়ে রেখেছেন এখনো! একদিন সর্ষে দানা পরিমান কার্যাদিরও সমপরিমান বিচার মজলিশ বসবে বিশ্বাস হোক বা না হোক এটা সত্য সত্য সত্য…..
৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এ বিষয়ে তো জানাশোনা খুব ই অপ্রতুল,
কীসে কী কইয়া আবার প্যাচ-পুচ লাইগ্যা যায়!!
বন্যা লিপি
লেখাটা জন্ম হলো নব্য পরিচিত অবিশ্বাসীদের জানার পর। অপ্রতুল জ্ঞানে আমিও বড্ড ডরে ভয়ে সিঁটিয়ে গেছি।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাববার বিষয় ফুটে ধরেছেন লিপি আপু ভাল থাকবেন———-
বন্যা লিপি
আপনিও ভালো থাকবেন লিটন ভাই।
খাদিজাতুল কুবরা
একটি মনোজ্ঞ লেখা পড়লাম। রোজ কতকিছু পড়ি, কিন্তু দিনশেষে নিজের সাথে চোখ মেলাতে পারার জন্য ভাবায় এ লেখাটি তেমনই।
সত্য দেখার চোখ সবার থাকেনা। আল্লাহ পাক সেই সৌভাগ্য সবাইকে দেননা।
আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত নসীব করুন।
বন্যা লিপি
আমিও তাই বলি-‘ মহান স্রষ্টা সবাইকে হেদায়াত দান করুন ‘ আমিন।
মোঃ মজিবর রহমান
পরম করুণাময় স্রষ্টা তার সৃষ্টি যেমন সত্য ঠিক বিচার তেমনই নিখুঁত তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা না বিশ্বাসীর নিকট। এখন যারা মিথ্যায় ডুবে তারা সেটাই ভাববে।
বন্যা লিপি
জি মজিবরদা। ধন্যবাদ জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
সত্য আর মিথ্যার মাঝে মধ্যম অবস্থানে হলো সন্দেহ। সন্দেহের চাইতে অবিশ্বাস করা ভালো। এতে যেকোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারা যায়। বিশ্বাস করি বা করিনা (যারা বলে) দুটো মতবাদকারীরাই এক্ষেত্রে সত্য। মুখে এক আর মনে আরেক চিন্তা নিয়ে যারা চলে তারাই নিকৃষ্ট। বিস্তারিত লিখলে কমেন্ট অনেক বড় হয়ে যাবে শুধু বলবো বিশ্বাস করলেই সব বস্তু মিলে যায় না। বিশ্বাসীদেরও বস্তু পেতে যুক্তির উপর নির্ভর করতে হয়।