ইঞ্জিনচালিত দামি ও বিলাসবহুল গাড়ির ভিড়ে রাজধানীর বাসিন্দাদের কাছে রিকশার কদর একটুও কমেনি। মধ্যবিত্তদের বাহন বলা হলেও উচ্চবিত্তরাও দামি গাড়ি ছেড়ে মাঝে-মধ্যে রিকশাকেই বেছে নেন স্বল্প দূরত্বের ভ্রমণের জন্য। আর যাত্রীদের ভ্রমণের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করতে রিকশার শরীরে একসময় যুক্ত করা হতো বাহারি রঙের পেইন্টিং। শিল্পকর্মের এক ভ্রাম্যমাণ গ্যালারি হয়েই পথে-প্রান্তরে অলি-গলিতে ঘুরে বেড়াত রিকশা। কিন্তু এটি এখন যেন ইতিহাসের এক ছেঁড়া অংশে পরিণত হয়েছে। বাহারি রঙের ব্যবহারের মাধ্যমে রিকশার পেছনে ও সামনে চোখ ধাঁধানো পেইন্টিংয়ের কারণে নগরজীবনের পছন্দের বাহনের কাতারে ঠাঁই করে নেওয়া রিকশায় বিলাসিতা ও প্রাচুর্য না থাকলেও ছিল ইতিহাস ও ঐতিহ্য। যাত্রীদের চিত্তকে বিনোদিত করার লক্ষ্যে চিত্তাকর্ষক পেইন্টিংগুলো যেন এখন শুধু স্মৃতির পাতার লেগে থাকা আঁচড়। এই প্রজন্মের কাছে সেটি এখন রূপকথার গল্পের মতোই এক বিস্ময়। রিকশার শরীর থেকে শৈল্পিক পেইন্টিংগুলোই যেন মুছে যায়নি, কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে একটি যুগের ইতিহাস। সাতচল্লিশের দেশভাগের পর বাহারি ও শৌখিন পরিবহন হিসেবে ঢাকায় রিকশার আগমন ঘটে। ক্রমেই তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশক থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রিকশা পেইন্টিং জনপ্রিয় হতে থাকে। সেই সময় থেকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর করা হয়েছে রিকশা পেইন্টিং।
ষাটের দশকে রিকশা পেইন্টিং করা হতো ওই সময়কার চলচ্চিত্র তারকাদের প্রতিকৃতি অবলম্বনে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে পেইন্টিংয়ে স্থান পায় মুক্তিযুদ্ধ। আর সত্তরের দশকে নতুন দেশের নতুন রাজধানী হিসেবে ঢাকা যখন বাড়তে শুরু করে, তখন কাল্পনিক শহরের দৃশ্য আঁকা হতো রিকশায়। এ ছাড়া সব সময়ই থাকত বিভিন্ন ধরনের ফুল, পাখি, গ্রামের জনজীবন ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি রিকশায় মানুষের ছবি আঁকার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে পেইন্টাররা মানুষের ছবির পরিবর্তে পশুপাখির ছবি আঁকতে শুরু করেন। ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে একটা শিয়াল, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একটা বাঘ, পাশে স্কুলবালকের মতো ব্যাগ কাঁধে খরগোশছানা চলেছে স্কুলে ইত্যাদির মাধ্যমেও ফুটে উঠত পেইন্টারদের মুনশিয়ানা। মুসলিম উপাখ্যানের দুলদুল, বোরাক কিংবা আরব্য রজনীর উপাখ্যান আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ ও দৈত্য, রাজকন্যা, রাজপ্রাসাদ ইত্যাদি চিত্রকর্মে প্রকাশ পেত অপ্রাতিষ্ঠানিক এই শিল্পীদের মননশীলতা। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আঁকা কাদায় আটকে যাওয়া গরুর গাড়ির ছবিটি (‘সংগ্রাম’ নামে পরিচিত) রিকশাচিত্রীরা বিভিন্নভাবে এঁকেছেন। মরুভূমির ভিতর উট নিয়ে চলেছে দুই বেদুইন কিংবা অচেনা কোনো সমুদ্রসৈকতে খেলা করছে কোনো বালক, জাপানের কোনো বাড়ি, লন্ডন ব্রিজ, আইফেল টাওয়ার, টাইটানিক জাহাজ- এসব ভিনদেশি দৃশ্যের পাশাপাশি জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সংসদ ভবন, শহীদ মিনারসহ অনেক স্থাপত্যও মনের মাধুরী মিশিয়ে রংতুলিতে উপস্থাপন করেছেন রিকশাশিল্পীরা। আর ডাইনোসরের সঙ্গে যুদ্ধরত লুঙ্গিপরা খালিগায়ের বাঙালির ছবি রিকশাচিত্রীদের অপূর্ব কল্পনাশক্তির নিদর্শন।
এদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও রিকশার পেইন্টাররা মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রতিটি রিকশার বডিকে বিনোদনের বাহনে পরিণত করে তুলতেন। রিকশার চৌকোনো বোর্ড ও পেছনে বডির গায়ে পাতলা টিনের শিটের ওপর ছবি আঁকতেন তারা। একটি নতুন রিকশাকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলায় রিকশা পেইন্টারদের ছিল বিশেষ কৃতিত্ব। সাধারণত মহাজন ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছবি এঁকে থাকতেন শিল্পীরা।
পীতলরাম সুর, আর কে দাস, আলাউদ্দিন, আলী নুর, দাউদ উস্তাদ প্রমুখ শিল্পী পঞ্চাশ ও ষাটের দশক থেকেই রিকশা পেইন্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নগরীতে এই বাহনটিকে আকর্ষণীয় ও চিত্তাকর্ষক করে তোলার কাজে নিয়োজিত হন। ইতিহাসমতে, ওই সময় রিকশা পেইন্টিংয়ের চাহিদা তুঙ্গে থাকার কারণে অনেকে পৈতৃক ব্যবসা ছেড়েও এ পেশার সঙ্গে যুক্ত হন। ওই সময়কার প্রবীণ শিল্পী আর কে দাশ তার পৈতৃক পেশা চামড়ার কাজ ছেড়ে দিয়ে রিকশা পেইন্টিংয়ে যোগ দেন। তার দেখাদেখি তার ছেলেরাও এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হন। আর এসব অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পীর মাধ্যমেই বিকশিত হয় এ দেশের সিনেমা ব্যানার পেইন্টিং, রিকশা আর্ট, ট্রাক আর্ট ইত্যাদি। আর এগুলোর মধ্যে যেটি নিজস্ব শিল্পশৈলী, উপস্থাপন রীতি ও বিষয়বস্তুর স্বকীয়তায় ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে সুধীজনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সেটি হলো রিকশা আর্ট।
মূলত চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে রিকশা নামের এই বাহনের সূত্রপাত হয় ১৮৭০ সাল নাগাদ। অবিভক্ত বাংলায় প্রথম রিকশার প্রচলন ঘটে কলকাতায়, বিশ শতকের প্রথম ভাগে। কাছাকাছি সময়ে বর্তমান বাংলাদেশ ভূখন্ডে রিকশার প্রচলন হয় প্রথমে ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জে এবং পরে ঢাকায় (১৯৩৮)। তৎকালীন পূর্ব বাংলা বা বর্তমান বাংলাদেশে রিকশার আগমন ঘটেছিল কলকাতা থেকে। ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার একজন বাঙালি জমিদার এবং ওয়ারী অঞ্চলের একজন মাড়োয়ারি ভদ্রলোক ছয়খানা রিকশা কিনে ঢাকায় প্রচলন করেন বলে জানা যায়। তবে বাংলাদেশে প্রচলন ঘটে সাইকেল রিকশার, মানুষে টানা রিকশা নয়। হাতে আঁকা প্লেটের বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল প্রিন্টের ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই বিশেষ রীতির চিত্রকলা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ রিকশাচিত্রী পেশা পরিবর্তন করেছেন বা বিকল্প কাজ খুঁজে নিয়েছেন। তবে আশার কথা, সম্প্রতি বাংলাদেশে রিকশাচিত্র নিয়ে কিছু উদ্যোগের খবর জানা গেছে। ১৯৮৮ সালে লন্ডনে মিউজিয়াম অব ম্যানকাইন্ডে (বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের অন্তর্ভুক্ত) শিরিন আকবরের কিউরেটিংয়ে ঢাকার রিকশা পেইন্টিং নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘ট্রাফিক আর্ট : রিকশা পেইন্টিং ফ্রম বাংলাদেশ’। ব্রিটিশ মিউজিয়ামেও বাংলাদেশের সুসজ্জিত ও চিত্রিত রিকশা সংগৃহীত আছে। এ ছাড়া জাপানের ফুকুয়োকা এশিয়ান আর্ট মিউজিয়ামেও বাংলাদেশের রিকশা পেইন্টিং নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছে এবং এই মিউজিয়ামে রিকশা পেইন্টিংয়ের একটা বড় সংগ্রহ আছে। ২০১৩ জাপানের তাকামাতসু শহরে একটি আর্ট ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের রিকশাচিত্র বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে। নেপালেও হয়েছে বাংলাদেশের রিকশাচিত্রের প্রদর্শনী। বাংলাদেশে রিকশা পেইন্টিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনীটি হয়েছে ১৯৯৯ সালে ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে। এ প্রদর্শনীতে ৫০০ জন রিকশা পেইন্টার এবং ৮৩ জন বেবিট্যাক্সি (দুই স্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা) পেইন্টারের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল।
প্রযুক্তির সুবিধায় বর্তমানে অনেক শিল্পীই রং তুলির ব্যাবহার থেকে দূরে সরে গেছেন। তার মূল কারন সময় নষ্ট ও শ্রমিকের মুজুরী প্রদান। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আজ নানান ধরনের পেইন্টিং ও চিত্রকর্ম অল্প সময়ে ও কম মুজুরী দেয়ার সুযোগ নিয়ে তারাও পুরোদস্ত প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। আর এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য। বেকার হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার দিনমুজুর শিল্পী।
রিক্সা পেইন্টিং ছোটবেলা থেকেই আমার খুব পছন্দের একটি বিস্ময়। স্কুল যাওয়া আসার পথে একজন আর্টিস্ট এর ঘরের সামনে আমি প্রায়ই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে এই রিক্সা পেইন্টিং আঁকা দেখতাম। এখন সে পেডেল রিক্সাও নেই আর কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে এই চিত্র শিল্প।
রিক্সা পেইন্টিং এর ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো। ব্যতিক্রমী পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ছোটবেলায় প্রায় রিকশায় এই শিল্পকর্মটি দেখতাম। এখন দেখা যায় না তেমন একটা।তবে আমি দারুণ উপভোগ করতাম ছবি গুলো।মাঝে মাঝে তাকিয়ে খুঁজতাম চিত্রটি কার আঁকা।এখনও মাঝে মাঝে এ কাজটি করি।
লেখাটি আমার স্মৃতিচরন করিয়ে দিল।বেশ আনন্দ নিয়ে লেখাটি পড়েছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন।
এক সময় মানে ৭০-৯০ দশক পর্যন্ত ঢাকার রাজপথে রিক্সার পিছনের আর্টগুলি দাবিয়ে বেড়াতো। একেক মহাজনের একেক ধরনের নান্দনিক দৃশ্য দেখা যেত। আমিও সেই সময় রিক্সায় চড়ার চেয়ে পিছনের আর্টগুলিই বেশি দেখতাম। এক সময় মনে হলো এই আর্টগুলি নিয়ে ফটোগ্রাফি করি। শুরুও করলাম।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
যে রিকশায় যত পেইন্টিং সে রিকশা চালক তত শৌখিন। এবং মেয়েরা সে সব রিকসাতেই চড়তে ও ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতাম। সবাই এখন কমার্শিয়াল হয়ে যাচ্ছে তাই শৌখিনতাও বিলুপ্তির পথে।
শুভ কামনাভাই।
এই পেইন্টিং আর রঙের চাকচিক্যের জন্য নতুন রিকশায় উঠতে মন চায় কিন্তু বেশিরভাগ রিকশাই ভাঙ্গাচোরা, পেইন্টিং গুলোর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যতিক্রমী বিষয় উপস্থাপন করার জন্য অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। রিকশা নিয়ে তথ্যবহুল পোস্ট এর জন্য কৃতজ্ঞ ভাইয়া। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
এই শিল্পটা ধরে রাখা উচিত। আগে যখন সাধারণ একজন শিল্পী এই কাজটা করতো, তখন ভাবতাম কীভাবে এতো রঙিন আর আর্টফুল হয়। এতো যে রঙের বাহার থাকতো।
অনেক তথ্য জানলাম
১৩টি মন্তব্য
তৌহিদ
রিক্সা পেইন্টিং ছোটবেলা থেকেই আমার খুব পছন্দের একটি বিস্ময়। স্কুল যাওয়া আসার পথে একজন আর্টিস্ট এর ঘরের সামনে আমি প্রায়ই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে এই রিক্সা পেইন্টিং আঁকা দেখতাম। এখন সে পেডেল রিক্সাও নেই আর কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে এই চিত্র শিল্প।
রিক্সা পেইন্টিং এর ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো। ব্যতিক্রমী পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ রইলাম ভাইয়া।
পপি তালুকদার
ছোটবেলায় প্রায় রিকশায় এই শিল্পকর্মটি দেখতাম। এখন দেখা যায় না তেমন একটা।তবে আমি দারুণ উপভোগ করতাম ছবি গুলো।মাঝে মাঝে তাকিয়ে খুঁজতাম চিত্রটি কার আঁকা।এখনও মাঝে মাঝে এ কাজটি করি।
লেখাটি আমার স্মৃতিচরন করিয়ে দিল।বেশ আনন্দ নিয়ে লেখাটি পড়েছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন।
শামীম চৌধুরী
এক সময় মানে ৭০-৯০ দশক পর্যন্ত ঢাকার রাজপথে রিক্সার পিছনের আর্টগুলি দাবিয়ে বেড়াতো। একেক মহাজনের একেক ধরনের নান্দনিক দৃশ্য দেখা যেত। আমিও সেই সময় রিক্সায় চড়ার চেয়ে পিছনের আর্টগুলিই বেশি দেখতাম। এক সময় মনে হলো এই আর্টগুলি নিয়ে ফটোগ্রাফি করি। শুরুও করলাম।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
পপি তালুকদার
৭০- ৯০ না। আমি ৯৪- ৯৮ সময় বলছি তখন আমি বেশ দেখতাম। তখন স্কুলে পড়ি। এখনো আমার শহরে হঠাৎ দেখা যায়।।
রোকসানা খন্দকার রুকু
যে রিকশায় যত পেইন্টিং সে রিকশা চালক তত শৌখিন। এবং মেয়েরা সে সব রিকসাতেই চড়তে ও ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতাম। সবাই এখন কমার্শিয়াল হয়ে যাচ্ছে তাই শৌখিনতাও বিলুপ্তির পথে।
শুভ কামনাভাই।
শামীম চৌধুরী
একদম সঠিক বলেছেন। সেই স্ময় ইডেন কলেজের মেয়েরা বেশী রিক্সায় চড়তো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এই পেইন্টিং আর রঙের চাকচিক্যের জন্য নতুন রিকশায় উঠতে মন চায় কিন্তু বেশিরভাগ রিকশাই ভাঙ্গাচোরা, পেইন্টিং গুলোর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যতিক্রমী বিষয় উপস্থাপন করার জন্য অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। রিকশা নিয়ে তথ্যবহুল পোস্ট এর জন্য কৃতজ্ঞ ভাইয়া। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ দিদিভাই।
শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
এই শিল্পটা ধরে রাখা উচিত। আগে যখন সাধারণ একজন শিল্পী এই কাজটা করতো, তখন ভাবতাম কীভাবে এতো রঙিন আর আর্টফুল হয়। এতো যে রঙের বাহার থাকতো।
অনেক তথ্য জানলাম
শামীম চৌধুরী
শুভ কামনা রইলো আপু।
জিসান শা ইকরাম
রিকসা পেইন্টিং আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। একসময় এই ঐতিহ্য বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
খুবই ভালো একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ ব্লগিং
শামীম চৌধুরী
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।