বাক্সবন্দি… (পর্ব – ৪)
– নৃ মাসুদ রানা
মেহের আলী ছোটবেলা থেকেই একগুয়েমি ধরনের মানুষ। হাড়কিপটেও বটে। তবে খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ তার। এ নিয়ে কতবার যে নহরের সাথে ঝগড়া হয়েছে তার বালাই নেই। অবশ্য নহর ছিলো প্রিয় পাত্র। শরীরের এই একটা অংশে নহরের সাথে মিল রয়েছে তার। আর বাকী সবটুকু ধোঁয়াশা।
খেলাধূলায় বেশ পারদর্শী ছিলো মেহের আলী। বিশেষ করে ফুটবল। ফুটবল যেন তার দেহ আত্মার সংমিশ্রণ। যে সংমিশ্রণ অন্যকিছুর আবরণ কিংবা সাদাকালো আলোকচিত্র নেই। দাগ নেই, চিহ্ন নেই, ধুলাবালি নেই। আছে শুধু আত্মীয়তা।
বাবা নেছার উদ্দীন ফুটবল খেলাকে কখনো প্রাধান্য দেননি। কখনো মেনেও নেয়নি। তিনি শুধু বলতেন ফুটবল খেলায় পেটের ক্ষুধা মিটবে না। ভাত জুটবে না। এজন্য কামাই রোজগারের পথে গেলে খুশি হতাম। পড়াশোনাতো গোল্লায় গেছে অনেক আগেই।
মেহের আলী পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলো না। শুধু ঘুরে বেড়াতো। তার ভালো লাগতো জমিয়ে আড্ডা দিতে। বন্ধুদের সাথে চুরি করে এটাসেটা করতে। সিনেমা দেখতে। যাত্রাপালায় বহুরূপী রূপের উত্তাপে ভেসে যেতে। গানবাজনার আসর মাতিয়ে রাখতে। ঘুরে বেড়াতে।
ছবিঃ সংগৃহীত
চলবে…
৭টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
কমনীয় প্রকাশ।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়…
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ফুটবল যেন তার দেহ আত্মার সংমিশ্রণ। যে সংমিশ্রণ অন্যকিছুর আবরণ কিংবা সাদাকালো আলোকচিত্র নেই। দাগ নেই, চিহ্ন নেই, ধুলাবালি নেই। আছে শুধু আত্মীয়তা। ভালো লাগা এমনি হয় । ভালো লাগার সাথে শুধু আত্নীয়তা হয়-দারুন বলেছেন। শুভ কামনা রইলো
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়…
নিতাই বাবু
আগের গুলো পড়া হয়নি দাদা। সময় করে পড়ে নিতে হবে। সাতসকালে আপনার এই লেখনী পড়ে ছোটবেলার ফুটবল খেলার কথা মনে পড়ে গেল। একসময় এই ফুটবল খেলা অনেক মার খেয়েছি! তবুও ফুটবল খেলা ছাড়তে পারিনি। তবে এখন আর সেসময় নেই! এখন নিজের সংসারের ঝামেলা সবসময় মাথায় ভর করে থাকে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
আরজু মুক্তা
ভালোই লাগলো।
ইসিয়াক
ভালো লাগলো ।