
বাংলাদেশে করোনা সংক্রামণের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে ভয়াবহতা বিরাজ করছে তাতে সাধারণ নাগরিক হিসেবে সত্যিই আমরা অনেকেই শঙ্কিত। তবে অবস্থাপ্রেক্ষিতে এই মৃত্যুর শঙ্কা যে সবাইকে ছুঁয়েছে তাও কিন্ত নয়। অথচ আমাদের দেশের করোনায় মৃত্যুহার ভারতের চেয়েও বেশি। গত সাতদিনের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে- বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনায় গড় আক্রান্ত ১৩,২৬৪ জন এবং গড় মৃত্যু ২৩১ জন। (৩০/০৭/২১ পর্যন্ত)
এর কারন হিসেবে বিশ্লেষকদের কাছে যে বিষয়টি মুখ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে তা হলো- জ্বর সর্দি হলে সেটাকে সাধারণ অবস্থা ভেবে অবহেলা করা। আমাদের দেশে অনেকেই টেস্ট করে পজেটিভ আসলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেন। বাড়ীতে থাকা অবস্থায় শ্বাসকষ্টের প্রকট সমস্যা নিয়ে পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যা প্রাথমিক অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু করলে অনেক জটিলতাই কাটানো সম্ভব হতো। মূলত এই ২টি সমস্যার জন্য মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
করোনা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তার কিছু খবর যা আপনারা অনেক মাধ্যমে পড়ে থাকবেন। আমি সংক্ষেপে হৃদয়বিদারক কিছু উদাহরণ দিলাম-
★ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাতে এসে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ইকবাল (৪৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে!
★ কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার উপসর্গ নিয়ে নমুনা দিতে এসে গত বুধবার সকালে কামরুন্নাহার (৪০) নামের এক নারী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
★ শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে মুগদা হাসপাতালে গিয়ে সিট খালি না পেয়ে সেখান থেকে স্ত্রীকে এই মুমুর্ষ অবস্থায়ই মোটর সাইকেলের পিছনে বসিয়ে নিজের কোমরের সাথে কাপড় পেচিয়ে বিএসএমএমইউ’র দিকে ছুটছেন স্বামী।
★ বাবার মৃত্যুর পর দাফন-কাফনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন খবর এলো চিকিৎসাধীন ছেলেও মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বিয়োগান্তক এ ঘটনা ঘটল। পিতাপুত্র দুজনই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
★ শ্বাস নিতে পারছে না ছেলে। মুমূর্ষ অবস্থায় আইসিইউতে শুয়ে থাকা মায়ের কানে খবরটা যেতেই ছটফট শুরু করেন তিনি। লাইফ সাপোর্টের সরঞ্জাম খুলে ছেলেকে আইসিইউতে আনতে চিকিৎসকদের ইশারা করতে থাকেন। শত চেষ্টা করেও মাকে বোঝাতে পারেননি চিকিৎসকরা। বাধ্য হয়ে মাকে নামিয়ে আইসিইউ বেডে তোলা হয় ছেলেকে। সেই সন্তানটিও পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন। অন্যদিকে আইসিইউ থেকে নামার একঘণ্টার মাথায় পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে করোনার কাছে হার মেনেছেন মমতাময়ী সেই মা।
হাসপাতালে বেড ফাঁকা নেই, মানুষ গাছতলায় অপেক্ষমাণ কখন একটি বেড পাবে। একটি বেডের জন্য আইসিইউ এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে চল্লিশজন রোগীর স্বজনেরা। ভিতরে যার রোগী আছে তাকে জিজ্ঞেস করছে- ভাই আপনারজন কি বেঁচে আছেন? এরমানে সেই রোগী মারা গেলে তারজনের জন্য আইসিইউ বেডের সিরিয়াল আসবে (নিজের চোখে দেখা)।
করোনা এখনো যাদের পরিবারে হানা দেয় নাই তাঁরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করুন। করোনা আক্রান্ত প্রতিটি পরিবারের আর্তনাদ হয়ত আপনি আমি অনুভব করতে পারব না। একবার শুধু করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে ঢু মেরে দেখুন কতটা যন্ত্রণা নিয়ে চলে যাচ্ছে একেকজন রোগী।
এই যে পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলছেন, অযথা বাহিরে ঘুরাঘুরি করছেন, বিশ্বাস করুন করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতালে কোন সিট পাবেন না। আর আইসিউ’ত এখন সোনার হরিণ যা লাখ লাখ টাকা দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের নিকট ভবিষ্যৎ কি ভয়াবহ, কতটা দুর্বিষহ হতে যাচ্ছে ভাবতেই ভয় হচ্ছে।
আমাদের করনীয় –
আমাদের করনীয় কি তা বলার আগে বিগত দিনগুলিতে কি কি করা উচিত হয়নি সেগুলো আগে ভাবি তাহলেই করনীয় কি তা নিজেরাই বুঝতে পারবেন।
এক.
আমাদের দেশের আর্থসামাজিক যে প্রেক্ষাপট তাতে করে লকডাউন খুব একটা কার্যকর পদ্ধতি নয়। কারন সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষের আয় উপার্জন বন্ধ হলেও তা দেশের জন্য চরম সমস্যা। ইকোসিস্টেম বাধাগ্রস্ত হবে, মানুষ অনৈতিক কাজে লিপ্ত হবে। এরচেয়ে বরং এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত বন্ধ করে নিজ জেলায় তা উন্মুক্ত করা যেতে পারে।
দুই.
জনগণকে এমনি এমনি বলেকয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব নয়। আমাদের নির্দেশনা আছে কিন্তু পালন করিনা। তারচেয়ে আমরা নিজেরাই বরং কিছু প্যারামিটার স্থাপন করতে পারি যেমন- কোন যানবাহন চালক, হেল্পারের মুখে মাস্ক না থাকলে আমরা তাতে উঠবোনা। তেমনি যাত্রী স্বাস্থবিধি না মানলেও তাকে গাড়িতে উঠতে বাধা দেবো। (এটি রিক্সা, ভ্যান, বাস সকলক্ষেত্রে)
তিন.
স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে কারোরেই অবহেলাপূর্ণ যাচ্ছেতাই অবস্থা দেখলে ৯৯৯ এ কল করে জানানো এবং বিধিমোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া।
চার.
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একজন সাধারণ জনগণ এবং ক্ষমতাবান জনগনের তারতম্যে পার্থক্য না করা। স্বাস্থ্য আইন সবার জন্য সমান। রাস্তায় কারো প্রাইভেট গাড়ি চলবে আর রিক্সা দেখলে বাজেয়াপ্ত করবেন তা হবেনা। এরফলে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি আইন মানতে উজ্জীবিত হবে আশা করা যায়।
পাঁচ.
যেকোন কাজে (ব্যাংক, অফিস-আদালত ইত্যাদি) এনআইডি’র মত টিকাকার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। তাতে মানুষ এমনিতেই স্বাস্থবিধি মানবে সেইসাথে টিকাও নেবে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য-
এই সময় দেশে ডেঙ্গু জ্বরের ব্যাপক প্রকোপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ডেঙ্গু এবং করোনাভাইরাস জ্বরের লক্ষণ আমাদের জানতে হবে। যদিও ডাক্তারগণ উভয় টেস্ট করতে জোর দিচ্ছেন এবং তা উচিতও। তবে খুব ছোট করে বললে ডেঙ্গুতে প্রবল জ্বর আসে যা ১০২-১০৩ ডিগ্রী পর্যন্ত হতে পারে। হাড়ের জয়েন্ট প্রচন্ড ব্যাথা করে এবং চামড়ায় র্যাশ দেখা যায়।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস এ মৃদুমন্দ জ্বর থাকে ৯৯-১০০ ডিগ্রী। শরীর হালকা ব্যাথা করে। সর্দিও হতে পারে, নাক বন্ধ হয়ে নিঃশ্বাসের সমস্যাও দেখা যায়। যা সাধারণ জ্বরের লক্ষনের মত বলে আমরা দ্বিধান্বিত হয়ে পরি। তাই এসব লক্ষণ দেখলে সাথেসাথেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন –
হাই ফ্লো অক্সিজেন ন্যাজালের সংকটকালে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই “বুয়েটের হাই ফ্লো অক্সিজেন যন্ত্র ‘অক্সিজেট’ ব্যবহারের অনুমোদন দেবার জন্য।”
জাতির দুঃসময়ে এই অতি প্রয়োজনীয় যুগান্তকারী যন্ত্র উদ্ভাবন করে বুয়েটের যারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তারা প্রকৃত বীর। তাদেরকে প্রতি রইলো আমাদের অপার কৃতজ্ঞতা।
বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী সকলেই করোনা টিকা নিতে পারছেন। আগামী ৭ আগস্ট থেকে এই বয়সসীমা ১৮ করা হচ্ছে এবং যাদের এনআইডি নেই তারাও বিকল্প ব্যবস্থায় টিকার আওতাভুক্ত হবেন বলে সরকারিভাবে বলা হয়েছে।
করোনার টিকা দেওয়ার গতি বাড়াতে ৭ আগস্ট থেকে দেশে বিদ্যমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যকর করা হবে। গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্য অস্থায়ী টিকাদানকেন্দ্রগুলোও কাজে লাগানো হবে। দিনে সাড়ে ৮ লাখ করে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।।
এরপরেও নানা মুনীর নানান মত থাকবেই। তবে দিনশেষে কথা একটাই, বাঁচতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটাই হবে আমাদের জন্য উপযুক্ত এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত। একটি দেশের রাজনৈতিক সরকারকে সকলের মন রক্ষার জন্য অনেক সিদ্বান্ত নিতে হয় যা আপনার আমার জন্য বিভ্রান্তিকর হতেও পারে। কিন্তু আমরা যদি নিজেরাই সচেতন হই তাহলেও অনেক জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
এমতাবস্থায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনার টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক এবং এটাই বাস্তবতা।
* ছবি- নেট থেকে
* তথ্যসূত্র – সংযোজিত
২৯টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
করোনার ভয়াবহতা বুঝতে খুব বেশিদূর যেতে হবে না, আশেপাশে এবং নিজ পরিবার থেকেই টের পাচ্ছি। আফসোস হয় যখন মানুষের মনোভাব দেখতে পাই। কিছু মানুষ করোনার জন্য কখনোই নিজেকে দায়ী করতে চায় না, অথবা বুঝাতে চান এটা শুধু বিশেষ মানুষদের হয় আমাদের হবে না। অপরকে দেখে নিজে সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করাতো দূরের কথা, উপদেশ দিয়ে মাথা নস্ট করে ফেলে।
মৃত্যহার বেড়েছে প্রতিটি জেলায়/এলাকায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা নেই। অনেকে স্বীকার করতেও চাচ্ছে না তার পরিবারের মানুষটি করোনা আক্রান্ত হয়ে মরে গেছে।
আপনি স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত। নিঃসন্দেহে আপনি কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি ও বাস্তব রুপ সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি দেখতে পাচ্ছেন, উপলব্ধি করছেন।
এই সময়ে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই।
ভালো থাকুন, নিজে সুস্থ থাকুন আর এভাবে মানুষের পাশে থাকুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন।
শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদুল ইসলাম
আমি পোস্টে যা উল্লেখ করেছি তা শুধু খাতা কলমের হিসেব আপু,এর বাইরেও প্রায় সমান সংখ্যক ঘটনা লিপিবদ্ধ হচ্ছেনা। তাহলেই বুঝুন অবস্থার ভয়াবহতা।
আমরা যদি এখনো সচেতন না হই কি যে হবে ভাবতেই ভয় লাগছে। সকলের সচেতনতা জরুরী।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
টিকা দেয়া হোক আর যাই হোক এক শ্রেনী কখনোই মাস্ক পড়বে না , টিকাও নিবে না এমনকি করোনা বিশ্বাসও করবে না। সুতরাং সচেতন জনগোষ্ঠিকে আরো সচেতন হতে হবে মানে আমরা যারা মাস্ক পরি তারা পরবো। পাশাপাশি মাস্কবিহীন কোন চালকের যানে উঠবো না।
সামনে হয়তো আরও সমুহ বিপদ। সরকার সামলাতে না পেরে সব ছেড়ে দেবে। সচেতনতাই তখন শেষ কথা হয়ে দাঁড়াবে।
ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদুল ইসলাম
এরা আদি মূর্খ আপু, এদের কিছুতেই কিছু বোঝাতে পারবেন না। এদের জন্য যে বাকীরা আক্রান্ত হচ্ছে তাও বুঝতে চাইবেনা। এই জন্যই সরকার মাঝেমধ্যে ছেড়ে দেয়। যা আদা খাবি ঝাল বুঝবি অবস্থা আর কি।
ধন্যবাদ আপু।
রিতু জাহান
সেদিন একটা রিপোর্ট পড়লাম। তাতে আমি খুব ভীত হয়ে পড়েছিলাম।
আমার চোখের সামনে এমন এক মর্মান্তিক করোনা মৃত্যুর লাশ দেখলাম। স্বামী ব্যাংকার সাতমাসের বাচ্চা পেটে বউটা মারা গেলো। বউটা তো ঘরে ছিলো, কিন্তু ঐ যে কাজের প্রয়োজনে একজনকে বাইরে যেতে হচ্ছে।
তাতে ঘটছে এমন মৃত্যু।
আমরা যারা এখনো সুস্থ আছে আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের খুলনার অবস্থা খুব খারাপ। চাপাই এর অব্স্থা খারাপ।
এর প্রতিকারে এমন লকডাউনে কোনো মানে নেই। বাঙালীর দরকার এই মুহূর্তে চাবুক টাইপ শাসন ব্যবস্থা। মাস্ক না পরলে কষে মাইর।
আর টিকা উৎপাদন থেকে শুরু করে স্বাস্থখাতে উৎপাদন দেশে করতে দিবে না আমদানিকারক সিন্ডিকেট গ্রুপ।
এখন আসলে নিজে নিজে সচেতন হতে হবে।
আমরা চারজন বাইরে গেলে ডাবল মাস্ক পরি। আমি ডেঙ্গুর উপদ্রবের জন্য পৃরো জানলায় নেট লাগাইছি। আলহামদুলিল্লাহ মশা থেকে বাঁচছি।
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্ট।
তৌহিদুল ইসলাম
আপনার সাথে একমত আপু। আমাদের নিজেদের সচেতন হবার বিকল্প নেই। মানুষের আয়রোজগার বন্ধ করা কোন সমাধান নয়। সিন্ডিকেটের কাছে আমরা অসহায় আসলে।
ধন্যবাদ আপু। ঈদ কেমন কাটলো?
রিতু জাহান
এইযে ঘরবন্দী কাটলো।
ছাইরাছ হেলাল
একে করোনা তার উপর ডেঙ্গু, কী হবে ভাবতে পারছি না।
করোনার থার্ড ওয়েভ ফোর্থ ওয়েভ অপেক্ষা করছে, আপনি ঠিক বলেছেন পরিসংখ্যানের চেয়ে ভয়াবহতা বেশী মনে করছি।
কি করা উচিৎ কী করা উচিৎ না এ সব বলে কোন ল্যাব হচ্ছে না। ক্ষুধার কাছে কিছুই দাঁড়াতে পারছে না।
তৌহিদুল ইসলাম
বর্তমান পরিস্থিতিতে সব দিশেহারার মত লাগছে ভাই। গতকাল রাস্তায় যে জনস্রোত নেমেছিলো তাতে সিস্টেমকে কাঁচাকলা দেখানো হয়েছে। এরচেয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে নজর দেয়াই জরুরী।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পরিস্থিতি আসলেই খারাপ আরো খারাপ হচ্ছে এখনো বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করাতে । করোনা পজেটিভ জানতে পারলে একঘরে হয়ে যাবে, কেউ পাশে দাঁড়াবে না তাই অনেকে টেস্ট না করিয়ে ঘরোয়া চিকিৎসা নিচ্ছে সাধারণ জ্বর বলে । এদেশের আশি ভাগ লোক খামখেয়ালির চরম পর্যায়ে থাকে। এদের আপনি কোনোভাবেই সিস্টেম এ রাখতে পারবেন না। অজুহাত আর অজুহাত আর আল্লাহর দোহাই দিয়ে এরা মনে করে তাদের এসব হবে না। আর যারাও মাস্ক পড়ছে বেশীরভাগ নোংরা, অপরিষ্কার। হাত ধোয়া তো দূরের বিষয়। তাহলে বুঝুন অবস্থা। লকডাউন কোনো সমাধান নয় তাতে করে ভিড়ভাট্টা আর গাদাগাদি বেশি হচ্ছে। বর্তমান অবস্থা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
তৌহিদুল ইসলাম
হ্যা, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে লকডাউন কার্যকরী কোন সমাধান নয়। সিস্টেমে পরিবর্তন এবং সমন্বয় আনতে হবে।
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আলমগীর সরকার লিটন
মহান আল্লাহ রক্ষা করুন আর কষ্ট চাই আল্লাহ রক্ষা করুণ আমিন
তৌহিদুল ইসলাম
আল্লাহ একমাত্র রক্ষাকারী। ভালো থাকুন ভাই।
ইঞ্জা
করোনার ভয়াবহতা দেখে আতংকিত হয়ে আছি ভাই, এখন ঘরে ঘরে করোনার সংক্রমণ, আল্লাহই জানেন আমাদের কি হবে, সচেতনরা খুবই জরুরী, সকলের উচিত টিকা নেওয়া এবং নেওয়ার ব্যবস্থা করা।
সময় উপযোগী পোস্টটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
ইঞ্জা
লেখাটি স্টিকি করার জন্য ব্লগ কতৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তৌহিদুল ইসলাম
এখন আর সচেতনতার বিকল্প নেই। আমাদের সমন্বয়হীনতার জন্য এমনিতেও অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
শুভকামনা ভাই।
ইঞ্জা
সত্যি আতংকজনক পরিস্থিতিতে আছি ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর একই পোস্ট এখন জনতা র সচেতন ছাড়া বেশি আশা করা যায়না। আর মহান আল্লাহপাক পারেন দূর করতে।
তৌহিদুল ইসলাম
জ্বী ভাই, নিজেদের সচেতন হওয়া ছাড়া এখন আর বিকল্প নেই কিছু। ভালো থাকুন ভাই।
ধন্যবাদ অশেষ।
হালিমা আক্তার
পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ।এক শ্রেণির মানুষ করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে কিছু বুঝতে চাচ্ছে না। কোন কিছুতেই তাদের বুঝানো যায়না। এমনকি টিকাদানেও তাদের আগ্রহ নাই। তাদের করোনা হয়না, তারা কেন মাস্ক পরবে।তারা কেন টিকা নিবে। ব্যাপারটা এমন যেন সবকিছু ভেসে যাক তাতে আমার কি আসে যায়। আমার ঘরে তো জল ওঠেনি।একটা দেশ ও সমাজ সকলকে নিয়ে। করোনা শুধু মৃত্যুর হার বাড়ছে তাই নয়। অর্থনীতিতে এর প্রভাব পরবে, এই মানুষ গুলো তখন বলবে- আমার ঘরে খাবার নেই কেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার ক্ষমতা দান করুন। শুভ কামনা অবিরাম।
তৌহিদুল ইসলাম
এই ধরনের লোকেরাই আমাদের ক্ষতি বেশী করছে। আসলে এখন নিজেদের সচেতন হবার বিকল্প নেই আপু।
ধন্যবাদ জানবেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
করোনা নিয়ে বাংলাদেশ কোন পথে অগ্রসর হচ্ছে?
এ প্রশ্ন প্রশ্ন থেকে যাবে!
এর উত্তর এবং করণীয় কি?
সেটা বিশেষজ্ঞ মহল বললে আমরা তা মানছি না।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞ মহলের বেশ দুর্বলতা রয়েছে।
পেন্ট পরলাম আর চেইন খোলা থাকলো তা তো আর হয় না।
তেমনি লকডাউনটা এমন হয়ে গিয়েছে।
এ লকডাউন দিয়ে বাংলাদেশ কতটা সফল হয়েছে?
তা জানিনা।
হ্যাঁ,
সমাধান একটা আছে যা বিশেষজ্ঞ মহলের ব্যক্তিবর্গগণ বলছেন নিজে থেকে সচেতন হতে হবে।
এছাড়া কোন উপায় নেই।
কিন্তু এ পথে মধ্যবিত্ত বলেন আর দরিদ্র শ্রেণীর লোক বলেন তারা তা মানছেন না।
কারণ পেটের ক্ষুধা তাই কাজে নামতে হবে।
আমাদের দেশ তো আর এতো ধনী না যে বেশ কয়েকদিনের খাবার সবার ঘরেঘরে পৌঁছে দিবে।
কিন্তু আপনি দেখুন গতকালের শ্রমিক শ্রেণীর স্থিরচিত্র তাদেরকে বলা হয়েছে বিদায় তারা যেতে বাধ্য।
তারা কতটুকু নিয়ম মেনে কর্মস্থলে ফিরছে?
শুধু শ্রমিক শ্রেণীর লোক যায়নি এ সুযোগে অন্যপেশার লোকজনও গিয়েছে।
আসলে করোনা থেকে সচেতন থাকার মতো বা কোনকিছু করে তার থেকে মুক্তি পাওয়া এখন আমাদের কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছি।
আমাদের সকলের সচেতন হওয়া বাধ্যতামূলক।
এবং ভ্যাকসিন নেওয়াটা জরুরি।
সময়োপযোগী লেখা, দাদা।
যথার্থ লিখেছেন।
তৌহিদুল ইসলাম
এখন নিজস্ব সচেতনার বিকল্প নেই কিছু দাদা। ধন্যবাদ।
তৌহিদুল ইসলাম
সচেতনতার বিকল্প নেই।
কামাল উদ্দিন
আমাদের ভবিষ্যত কি হবে জানিনা। আমরা শুধু সরকারের ভুলগুলোই দেখছি, নিজেদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তাটুকু নিয়ে নিজেরা সতর্ক নই।
তৌহিদুল ইসলাম
একদমই তাই ভাই। নিজেদের সচেতন হতে হবে আগে। অনেকদিন পরে এলেন কিন্তু। কেমন আছেন ভাই?
কামাল উদ্দিন
ভালো আছি ভাইজান, তবে ভবিষ্যত নিয়া খুবই শংকা কাজ করছে মনের মাঝে।
আরজু মুক্তা
ভ্যাকসিন নিলে হবে না। সেই সাথে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আপনাকে অসংখ্য ধনবাদ।
নিরাপদে থাকুন
তৌহিদুল ইসলাম
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু। পাঠকের উপকারে আসলেই লেখাটি স্বার্থক।