প্রোগ্রাম টি ফোর

পৃথিবীর নৃশংসতম পরিকল্পনা গুলোর একটা জার্মান রাইখস ফুয়েরার হিটলারের বিশুদ্ধ এবং শ্রেষ্ঠ রক্ত ধারনার প্রতিষ্ঠার নৃশংস পরিকল্পনা। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য ছিলো সমাজকে সুষ্ঠ কর্মক্ষম মানুষের জন্য রাখা , যার ফলশ্রুতিতে আবিষ্কার পরবর্তী কালের আতংক গ্যাস চেম্বার,অসুস্থ দুর্বল আনপ্রোডাকটিভ লোকজন যারা রাষ্ট্রের বোঝা তাদের নিশ্চিনহ করে দেওয়া ।এই প্রোগ্রামের আওতায় প্রথমদিকে মুলত বৃদ্ধ অক্ষম এবং ভিন্নমতাবলম্বী জার্মানদের ধরে ধরে বন্দীশিবিরে পাঠানো হতো, তারপর যখন এথিকাল ক্লিঞ্জিং শুরু হয় তাদের সাথে যোগ হয় ইহুদীরাও।

সবচেয়ে নৃশংস ব্যাপার হচ্ছে ,ঐ বন্দীশিবিরে নিহত মানুষদের আর মানুষের মরদেহ হিসেবে গন্য করা হতোনা , গন্য করা হতো বিভিন্ন ফ্যাক্টরির রাসায়নিক কাচামাল হিসেব , হাড় , দাত , চুল এই সব কাচামাল হিসেবে পাঠানো হতো বিভিন্ন প্লান্টে গ্রেনেডের মুল উপাদান ফসফরাস তৈরির জন্য ,ফারটিলাইজার তৈরীর জন্য।এবং থার্ড রাইখ কোন প্রকার অনুশোচনা ছাড়াই এই সব অসুস্থ অসহায় বৃদ্ধ জার্মানদের দলে দলে হত্যা করেছে । হ্যা এরাও জার্মান ছিলো , ভিনদেশী নয়।

এর কারন হিসেবে মুলত ধরা যায় জার্মানদের খ্যাপাটে লড়াকু মানসিকতা এবং বিপুল পরিমান যোদ্ধাদের একত্র করতে পারাটা । দেখা যায় মবের মাঝখানে পরলে আপাত নিরীহ মানুষটাও ভয়ংকর সব কান্ড অবলীলায় করে ফেলতেছে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান সেনাবাহীনি সম্পর্কে এলাইড ফোরসের এক বিজয়ী জেনারেলের বক্তব্য হচ্ছে ” যুদ্ধের ইতিহাসে একসাথে এতসংখ্যক উচুমানের যোদ্ধা এর আগে কেউ একত্র করতে পারেনি, এবং জার্মানদের আমরা হারাতে পারিনি কেবল দ্বিগুন মৃত্যুর বদলে আত্মসমর্পণ করাতে পেরেছি ”

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হিটলারের হয়ে প্রধান ভুমিকা পালন করেছে জেনারেল কার্ল শ্যুট । পরবর্তীতে যার যুদ্ধপরাধের দায়ে বিচার কর এলাইড ফোরস । আইরনি হচ্ছে , তার অভিযোগ নামায় পাতার পর পাতা ফ্রান্স দখলের পর অপরাধের বিবরণ আছে ,রাশিয়ানদের প্রতি অপরাধের বিবরন আছে, কিন্ত টি ফোর সম্পৃক্ততা নিয়া মাত্র কয়েক লাইনে কাজ সারা হয়েছে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে জার্মানদের এই অপরাধের বিচার কিন্ত বিজয়ী পক্ষ করেনি , তাদের বক্তব্য ছিলো এটা জারমানীর নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ।তারা নিজেরা নিজেদের হত্যা করেছে ,তাই এর বিচার তাদের নিজেদেরি করতে হবে । যদিও বীজয়ি পক্ষ তথা আমেরিকাণ রা ভালোই জানত পরাজিত হতোদ্যম জার্মানদের পক্ষে এই বিচার করা কখনোই সম্ভব হবেনা ।

– মানুষের নৃশংসতা নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করেনা ,কিন্ত আইজুদার গত ১৪ তারিখের পোস্ট

ডাক্তার আইজূ
June 14
আমি উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং এ জন্য আমার কোন ক্ষমা প্রার্থনা নেই। আমার জাতীয়তাবাদের শিক্ষা আমি নেই আমেরিকার থেকে-আমেরিকান ইতিহাসে দেখা যায় ১৭৭৬ সালের স্বাধীনতা ঘোষনার পরে আমেরিকার মিত্রতা হয় ফরাসীদের সাথে- স্বাধীনতার ২০ বছর পরেই শত্রুতা হয় ফরাসীদের সাথে- এবং আমেরিকানা ধারনার জন্ম হয়। আমেরিকার স্বাধীনতার জনক ওয়াশিংটন কিংবা এডামস কিংবা জেফারসন এমনকি বেনজামিন ফ্রানকলিন এরা ছিলেন প্রবল জাতীয়তাবাদী এবং এদের এ প্রবল জাতীয়তাবাদের কারনেই আমেরিকা আজকের অবস্হানে পৌছাতে পেরেছে-আমেরিকার ইতিহাসের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসের তীব্র মিল-স্বাধীনতা ঘোষনা করে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে দুনিয়ার মাত্র দু-টি দেশ আমেরিকা আর বাংলাদেশ-আমেরিকা যেমন পেরেছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশ পারবে- সে জন্য প্রয়োজন দেশপ্রেমের-প্রয়োজন জাতীয়তাবাদের এবং সেজন্য আমি উগ্র জাতীয়তাবাদী-লাল সবুজেই মুক্তি!!

এবং সেখানে একটা কমেন্ট

Physicist Shovon দেশজুড়ে গুম চলে তবুও খোজেন কনসেনট্রেশন ক্যাম্প ??? আগে রক্ষীবাহিনী আর এখন যৌথবাহিনী(মূলত র‍্যাব) থাকার পর টি ফোর প্রোগ্রাম লাগে ??? এমনকি প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্যও আছে বিশাল অনলাইন গ্রুপ । বিরোধীমত দমনের জন্য আছে ৫৭ ধারা । লাখো কন্ঠের জাতীয় সংগীতের নামে চলে পলিটিক্যাল মগজ ধোলাই ।

দেখে মনে হলো, নাজী নৃশংসতা কি জিনিস অনেকেরই ধারনা নেই , তাই সামান্য আলোকপাত মাত্র ।

৩৮৫জন ৩৮৫জন
0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ