[[ প্রাক আলোচনা:
‘মহাভারত’ হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় পুস্তক। অসাধারণ সব গল্প, কাহিনীর গভীরতা, মোড় ইত্যাদি বিবেচনায় এটা নি:সন্দেহে একটি সুখপাঠ্য গ্রন্থ, বিশ্বের চারটি মহাকাব্যের একটি। বাল্যকালে এবং কৈশোরে এই কাব্যগ্রন্থের গদ্য রূপ (বাংলায় অনুদৃত) পড়ার সৌভাগ্য আমার
হয়েছিল। সেই স্মৃতির আলোকে আমি এই অসাধারণ গল্পগ্রন্থ (মানে গদ্য রুপের কথা বলছি) থেকে মিরাকলগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব আস্তে আস্তে। মনে রাখবেন, যা লিখব তা সম্পূর্ণ স্মৃতি থেকে লিখা, আর আমার স্মৃতিশক্তি একটু খারাপ। যারা বিশেষজ্ঞ, যদি কোন ভুল তথ্য দিলাম বলে মনে করেন মন্তব্যের ঘরে ‘সত্য’টা তুলে ধরবেন প্রমাণ সহ।]]
যারা জানেন না তাদের সুবিধার্থে বলে রাখি, অত্যন্ত মহান এই ধর্ম গ্রন্থের মুল কাহিনী পান্ডব আর কৌরব পক্ষের মধ্যে কুরুক্ষেত্রের প্রান্তরে সংঘটিত যুদ্ধ। ক্রমে ক্রমে যুদ্ধ কীভাবে বাধল, যুদ্ধে কী হল, যুদ্ধ পরবর্তী কী কী ঘটনা ঘটল এসবই মহাভারতের বিষয়।
মিরাকল, স্যরি লীলা, আছে মহাভারতের একদম বিসমিল্লাতেই (ধর্মীয় পুস্তক হবে কীভাবে নইলে?)
পান্ডবদের পিতা, আই মিন মি.পান্ডুর আর কৌরবদের পিতা, আই মিন মি. ধৃতরাষ্ট্র দুই সহোদর। তাদের পিতার নাম বিচিত্রবীর্য। নামটা কেমন না? আরে আসুন, মিরাকল তো এই নামেই!
বিচিত্রবীর্যের জন্ম দুই মাতার গর্ভে। কী অবাক হলেন? তাইলে বলুন, ‘দ্যাটস কলড মিরাকল, ধ্যেত্তেরিকা, লীলা লীলা।’ এই বিচিত্রবীর্যের শরীরের একাংশ এক মায়ের গর্ভে এবং আরেক অংশ ছিল আরেক মায়ের গর্ভে। পরে ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর দুই অংশ কুদরতি প্রক্রিয়ায় জোড়া লেগে আস্ত শিশু বিচিত্রবীর্য হল! বিচিত্র প্রক্রিয়ায় জন্মগ্রহনের কারনে এই নামকরণ।
এখানেই শেষ করব আজকের পর্ব। আগামী পর্বে আরো লীলা নিয়ে আসব। সাথে থাকবেন। তবে যাওয়ার আগে বোকার বোকা প্রশ্ন:
কতটুকু মফিজ মাইন্ডেড হলে মানুষের মস্তিষ্ক এরকম লীলায় চোখ মুখ বন্ধ করে, দুই হাত জড়ো করে ভাবে, “মহাভারতের কাহিনী অমৃত সমান, … শোনে পূণ্যবান”?
১২টি মন্তব্য
জবরুল আলম সুমন
প্রথমেই এক চামচ শরবত দিয়ে গেলেন… কিন্তু চামচ দিয়ে শরবত খেলে কি স্বাদ মেটে? তাড়াতাড়ি বাকি পর্বগুলোও ঢালতে থাকুন তবে চামচ দিয়ে নয়, অন্তত গ্লাস দিয়ে ঢালুন… 🙂
লজিক্যাল সুমধু
হ্যাঁ, সাথে থাকবেন।যদি পারি, সামনে থেকে গ্লাসে করেই আনব। সকল ধরণের ধর্মীয় মিরাকল ভুয়া প্রমাণ করার ইচ্ছা আছে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
ধর্ম – সে যে কোনটাই হোক না কেন , আলোচনা করার মত জানাশোনা আমার কম ।
তাই মতামত দিচ্ছি না ।
লজিক্যাল সুমধু
সেটাই ভাল দাদা। আপনি শুধু পড়ে যান আর জেনে যান গল্পগুলি, মিরাকলগুলির কথা। আর যৌক্তিকতা নিয়ে ভাবুন, কঠিন কিছু নয় এটা।
প্রজন্ম ৭১
লীলা শব্দটি মনে হয় প্রতীকী হিসেবে দেখানো হয়েছে সনাতন ধর্মে । শ্রস্টার প্রতি সৃষ্টির প্রেমকে বুঝানোর জন্য লীলা শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে আমার ধারনা।
যাইহোক আপনি লিখেন ভালো। অপেক্ষায় আছি পরের পর্বের জন্য।
লজিক্যাল সুমধু
না। দাদা। লীলা মানে যেটার সাধারণ ব্যাখ্যার বা যুক্তির বাইরে, অলৌকিক কাজ কারবার- কুদরত যাকে বলে।
আপনার কমপ্লিমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
জিসান শা ইকরাম
পড়লাম বেশ উৎসাহ নিয়েই। আপনার লেখার হাত চমৎকার । সব ধর্মেই অনেক মিরাকল আছে । যার যার ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর তা টিকে আছে । আঁকরে ধরে আছেন স্ব স্ব ধর্মাবলম্বীরা । হয়ত অংগ পুন:স্থাপন প্রক্রিয়াটি এমন ভাবে বর্ণিত হয়েছে 🙂
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
লজিক্যাল সুমধু
বিশ্বাসে আমার চরম এলার্জি দাদা। ভুয়া কাহিনী পড়লে হাসি।
লিখা ভাল লাগল জেনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। পাশে থাকবেন,ভাল থাকবেন দাদা।
যাযাবর
লিখতে থাকুন , জানার আগ্রহ প্রবল এ বিষয়ে ।
লজিক্যাল সুমধু
অনেক ধন্যবাদ।
অবশ্যই লিখব, পাশে থাকবেন।
লীলাবতী
ভালো লাগলো । পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
লজিক্যাল সুমধু
ধন্যবাদ আপনাকে।
পরের পর্ব পাবেন শীঘ্রই।