নোবেলে যদি “বিশ্ব এট্যাক পুরষ্কার” থাকতো তাহলে মালালাকে যারা গুলি করেছিল তারা তা অটোম্যাটিক ভাবেই পেত! এই স্টাইলে ইসরাইলী ও ফিলিস্তিনি নেতারা নোবেলের “বিশ্ব শান্তি” পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
আবার অন্যভাবেও বলা যায়, যদি তালেবানরা মালালাকে গুলি না করত; তাহলে মালালা যে “নারী শিক্ষা প্রসারে”ভূমিকা রাখছে তা বিশ্বব্যাপী প্রচার পেত না, সেক্ষেত্রে যারা তাকে গুলি করেছে, তারাই মালালার অসাধারণ কর্মকাণ্ডকে বিশ্বব্যাপী প্রচারে ভূমিকা রেখে “বিশ্ব শান্তি”স্থাপনে সহায়তা করেছে। তাই তারাও নোবেল “শান্তি পুরষ্কার” পাওয়ার অধিকারী। যে যুক্তিতে আমাদের ডক্টর সাব পেয়েছেন? সবচেয়ে বেশী সুদে ঋণ দিয়ে “বিশ্ব শান্তি” প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি!
তবে পুরষ্কার বিতরণীর অনুষ্ঠানে দুপক্ষকে এক মঞ্চে পুরষ্কার হাতে দেখতে খারাপ লাগতো না! ট্রফির পাশাপাশি এক পক্ষের হাতে থাকতো গুলিতে উড়ে যাওয়ার খণ্ডিত মাথার ছবি আর অন্য পক্ষের হাতে থাকতো একে-৪৭! সেক্ষেত্রে অবশ্য চেকের ভাগাভাগিতে মালালা ঠকে যেত! আর যাই হোক একে’ধারীদের হার মানাতে কেউ কখনো দেখেনি। পুড়োটাই নিতো তারা, চাই তো ষ্টেজ সহ উড়ে যেত!
অফটপিকঃ লিখতে যেয়েই হাসতে হাসতে শেষ, ভাগ্যিস টিভিতে আমার কল্পিত পুরষ্কার বিতরণীর ছবিটা দেখতে হবে না !!!
১০/১০/২০১৪ রাত: ৯.৪৫
১১টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
যেই শান্তিরে নিয়া এতো টানাটানি করলো তারা আজ সেই শান্তিও অশান্তিতে। আপনার ছবিটা দেখতে পারলে আমরাও হাসতে পারতাম যদিও হেসেছি অনেক বক্তব্য পড়ে।
সুকান্ত
তাই ???
ব্লগার সজীব
ভালোই যুক্তি দিয়েছেন। মালালাকে কেউ চিনতেই পারতো না, বন্ধুকধারীদের ভূমিকা মালালার চেয়ে বেশি।
মোঃ মজিবর রহমান
এখন নবল পুরুস্কার ছেলে খেলার মত। কিছু কিছু নোবল পায় কমিটির সাথে সুখ্যাতি বা উড়ন্ত ভাবে যার কারন অনেকের মাঝে হাসির খোরাক জন্মায় যেমন আপনার মাঝে ।
সুন্দর অভিব্যাক্তি।
সুকান্ত
ধন্যবাদ !!!
নুসরাত মৌরিন
নোবেল তিনি ই পাবেন যিনি একজন উচ্চমানের মার্কীন দালাল হতে পারবেন…।সো… আসুন আমরা লজেন্স খাই…। 😀
আসলেই পুরষ্কারটার আসল দাবীদার কিন্তু আসলেই যারা তাকে গুলি করেছে তারাই… ভাল লাগলো সময়োপযোগী লেখা।
লীলাবতী
ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
কৃন্তনিকা
ঠিক বলেছেন… :c
শাহ আলম বাদশা
বেশ মজাও পেলাম
জিসান শা ইকরাম
একমত।
সুকান্ত
ধন্যবাদ সবাইকে !!!