আজ সকালটাকে বড় মায়াময়-ক্লান্ত মনে হলো
স্থবির করোতোয়ার জলে বৃত্তবন্দি কিছু বাতাস,
তামাটে কিছু আলো নিয়ে ফেরিওয়ালা রোদ,
সমস্তই যেন প্রাগৈতিহাসিক কোন পাথুরে স্কেস।
অথচ সূর্যাস্তের আগেও স্বপ্নাতুর এই প্রাকৃতিক পৃষ্ঠায়
চিত্রিত ছিল পাখিদের প্রণয় আরাধোনা,
বীজঘুমে শুয়ে থাকা বৃক্ষদের সবুজ সম্ভাবনা।
অদ্ভুত কপটতায়
হারিয়ে যায় বোহেমিয়ান প্রজাপতির রঙ
হৃতরঙে সেজে ওঠে জারজ নাগরিক দেয়াল
ললনাদের বিজ্ঞাপনী বুকের মাপে
নির্মিত হয় ধর্ষিত সভ্যতার টেম্পল
যেখানে ছায়ার প্রতিকল্প মারণাস্ত্রের ধোঁয়া
যেখানে আহত রোদের গর্ভে বেড়ে ওঠে মরিচিকা।
৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
শব্দ চয়নে মুন্সিয়ানার পরিচয়
অনেক ভালো লেগেছে ।
শিশির কনা
সকালের আগের কল্পনা গুলো অসাধারন ।
প্রজন্ম ৭১
ভালো লিখেছেন (y)
মিসু
খুব ভালো লেগেছে ।
ব্লগার সজীব
খুব সুন্দর
নীলাঞ্জনা নীলা
যেখানে ছায়ার প্রতিকল্প মারণাস্ত্রের ধোঁয়া
যেখানে আহত রোদের গর্ভে বেড়ে ওঠে মরিচিকা।— সুন্দর কথা মালা।