রাতে ডেকে ,ঘুম থেকে তুলে ভাত খাওয়ায়,
খাওয়ার সময় পাতে দুই চোখ-আদুরে মন
পড়ে থাকে,
গ্লাসে জল শেষ হলে কলসির থেকে জল
ঢেলে দেয়,পাতে আবার উপোরিও দেয়,
ঘুমানোর সময় মশারি না টাঙালে বকা দেয়,
মাঝে মাঝে নিজেই আমার বিছানা ঝেড়ে,
মশারি বালিশের তলায় যত্ন হাতে গুঁজে
ঘুমাতে যায়,
জ্বর হলে এখনও আমাকে কোলের কাছে নিয়ে ঘুমায়,মাথায় দেয় আলতো ছোঁয়া…
ঔষুধ খাইয়ে দেয়, জ্বরের মাত্রা অধিক হলে
কেঁদে ওঠে-বুকের খোলে জাপ্টে ধরে,
বাড়ি থেকে পা বাড়ালে ,সাবধানী বানী
শুনিয়ে মঙ্গল কামনা করে
মন খারাপ হলে স্বান্তনা দেয়,না হয়
সাহস জোগায়,না হলে আবার কাঁদে,
যে জাতের মানুষ পৃথিবীকে জন্ম-কাল থেকে
নীল-কন্ঠে লালিত পালিত করে আসছে,
সেই জাতের মানুষের গর্ভে জরায়ু থেকেই
লাথি কষে,গর্ভের মুখ ফাঁটিয়ে,রক্তপাত
ঘটিয়ে ভুমিষ্ঠ হই !
দধীচির কুড়িটি হাড় ভাঙার যন্ত্রনা,চিৎকার
অসহ্যের শব্দ এক লহমায় সহে যায়,শুধু মাত্র
আমার কান্না, মহীরুহ হাসির জন্য!
এই জাতের মানুষ কে আমি মা আপা প্রিয়া
বলে ডাকি..
রাতের অন্ধকারে পুরুষ পতিতা বলে ডাকে,
পতিতার স্বরূপ খুঁজতে খুঁজতে নিদ্রায় যায়…
৪টি মন্তব্য
লীলাবতী
খুব ভালো লেগেছে ।
প্রজন্ম ৭১
ভালো লিখেছেন ভাই
জিসান শা ইকরাম
একটু কঠিন , অনেক ভালো লাগা।
এই মেঘ এই রোদ্দুর
অনেক সুন্দর হইছে