কাপড় কাঁচার সাবানের সাথে সুন্দরী মহিলা দেখে আমরা অনেকেই মুগ্ধ হই। কিন্তু ভেবে দেখুন, আপনি বাস্তব জীবনে দেখেছেন কোনো সুদর্শন এলিট শ্রেণীর তরুণী কাপড় কাঁচছে সাবান দিয়ে; তাও আবার পুকুরে? পন্যের সাথে যদি সুন্দরী কোনো মডেল থাকে তাহলে সেই সুন্দরীর দিকে তাকাতে গিয়ে পন্যের দিকে তাকাবেই। কিংবা সেই সুন্দরীকে ভেবে ভেবেই মানুষজন তার সেই পন্যটা কিনে নেবে। বাস্তবে কি আসলেই তা হচ্ছে? নারী কি মডেল নাকি ভোগ্যপণ্য??
(পোষ্টের প্রতীকী ছবিটি গুগল থেকে নেয়া)
১৩টি মন্তব্য
ইঞ্জা
একজন মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসাবে বলতে পারি, এইসব কাপড় কাঁচার সাবান বেশি বিক্রি হয় গ্রামাঞ্চলে, পন্য সাবান হলেও মডেল হয় প্রতীকী, যেমন গ্রামের মেয়েরা বেশির ভাগ পুকুর বস নদীর পাড়েই কাপড় কাঁচে।
তৌহিদ ইসলাম
আপনার যুক্তি মানলাম, কিন্তু গ্রামের মেয়েরা মডেলদের মত কড়া মেকআপ নিয়ে পুকুর ঘাটে যায়না। আর সব জায়গায় মেয়েদেরকেই কেন মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে হবে? শেভিং ক্রিমেও কেন মেয়ে মডেল?? উদ্দেশ্য একটাই -ব্যবসা।
ইঞ্জা
ব্যবসা তো শতভাগ।
তৌহিদ ইসলাম
এটাতেই আমার আপত্তি
জিসান শা ইকরাম
মডেলকেই ভোগ্যপন্য বানিয়ে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
তৌহিদ ইসলাম
এটা যদি ব্যবসায়ীক পলিসি হয় তাহলে তা ঘৃণ্য কাজ নয় কি? নারীদের যারা পন্যের মডেল বানাবেন ভালো কথা, কিন্তু ভিন্নভাবেও তা করা যেতে পারে।
তৌহিদ
আমার আগের লেখাগুলো দেখছি আর বর্তমান লেখার সাথে মিলাচ্ছি। সোনেলার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমারও একই প্রশ্ন উত্তর দিবেন বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো। (y)
তৌহিদ ইসলাম
তারা কি উত্তর দিবেন ভাইয়া, তারা তো আছে ব্যবসায়ীক ধান্দায়।
মৌনতা রিতু
নারীরাই নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। এটা তাদেরই ব্যার্থতাই আমি বলব। যেমন দেখেন ফর্সা হবার ক্রিমের এ্যাড। আমার তো দেখে মনে হয় ঝাড়ু ছুঁড়ে মারি। সৃষ্টিকর্তা জেনেশুনেই তাকে তার রূপ দিয়েছে। তা নিয়ে কেনো যে এতো আক্ষেপ!
আবার ফটোসুন্দরী হওয়ার প্রতিযোগিতা, এটা আমার কাছে নিজেকে নিয়ে নিজের প্রহসন ছাড়া আর কিছু না।
আমি লেখকের সাথে একমত। অল্প কথা ভালো বিষয় লিখেছেন।
তৌহিদ ইসলাম
নারী মডেলিং পেশা হিসেবে নিলে তাদের সাধুবাদ জানাই কিন্তু তা হতে হবে যুক্তিযুক্ত। পন্য হিসেবে নিজে ব্যবহার হতে নয়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
কোনো নারী যদি নিজের ইচ্ছেতে এভাবে মডেলিং করেন, তাহলে ঠিক আছে।
বরং অন্যভাবে বলা যায় জোর করে নারীকে ব্যবহার করা হচ্ছে কতো রকমের অশ্লীল ছবির জন্য। “কনে দেখা” এটা তো সব থেকে জঘণ্য ব্যাপার।
আমি এর মধ্যে খারাপ কিছুই দেখিনা। বরং মডেলিং করে একজন নারী উপার্জন করেন।
তবে আপনার লেখার হাত যথেষ্ট ভালো।
তৌহিদ ইসলাম
নারী যখন স্ব ইচ্ছায় মডেলিং করে সেখানে কিছু বলার নেই। কিন্তু নারীকে যখন কেউ পন্য বিক্রির জন্যে বিকল্প হিসেবে ভাবে সেখানেই আমার আপত্তি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।