কলকাতা, মেদিনীপুর‘ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা র প্যান্ডেল গুলো আলোর রোশনাইতে সেজে উঠেছে!!!!!
বাঙালীদের মা আসছেন লক্ষ লক্ষ টাকার সাজে!!!!!
চন্দননগরের আলোতে!!!
প্রসাদের ঘটাতে!!!
পুরুত ঠাকুরের অনবরত মন্ত্র উচ্চারণের
পূণ্যতে!!!
কলকাতার বস্তি আর রাস্তার ধারে বেঁচে থাকা ভিখারির ছেলে মেয়েরা ফুটপাতের জামা ১৫০টাকা দিয়ে কিনে,
মার সামনে অবাক দৃষ্টিতে দাঁড়ীয়ে!!!
মায়ের কোটি টাকার সাজের খাঁজে খাঁজে কত কষ্ট যন্ত্রণা, হাহাকারের বুকচাপড়ানি চিৎকার করছে খেতে না পাওয়া কুকুরের মতো বেঁচে থাকা সন্তানদের জন্য!!!!???
#
ষষ্ঠী থেকে সপ্তমী আলো আর নাচ গান
করে আমাদের ঠিক কিসের স্বাদ মেটে!!!!
অনাথ আশ্রমে বিপুল ভাণ্ডারের কিছু অংশ জমা দিলে!
আপাতত বস্তিতে জ্ঞানের সবুজ আলো জ্বলত!
কোটিপতির দুলালকে কুড়ি বাইশ টা পোষাক না পরিয়ে/
১৫ থেকে ১৬টা গরিবের বাচ্চাদের
মুক্ত হস্তে দান করলে/
আমাদের দাম্ভিক কাগজে সাক্ষাতকার
দেওয়া মিডিয়ায় ভাষণের চোটে ক্যামেরা
পুড়িয়ে দেওয়া শিক্ষিতসমাজের ঠিক কি
ক্ষতি হত!!!!???
===============
কোলকাতা
৩০ অক্টোবর, ২০১৫
৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
মৌলবাদীরা আপনার খবর করে দেবে …………
বাস্তব লেখা
কিন্তু জবাব জানা নেই……
অরুনি মায়া
আমরা আনন্দের মুহূর্ত গুলো ভাগ করে নিতে আজও শিখিনি যে অরুনিমা
শুন্য শুন্যালয়
জানা নেই আপু। আমাদের কিসে যে আনন্দ তা আজো গোলচক্কর খাচ্ছে। আমরা এভাবেই অভ্যস্ত, ভিন্ন পথটির হদিস যেন পেয়েই উঠছিনা।
অনেক অনেক ভালো লিখেছেন আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
বলার ভাষা নাই।
ধর্মবিদরা সব কেরে।
নীতেশ বড়ুয়া
বরাবরের মতোই একই চেহারার অন্য রূপ দেখালেন দিদি। -{@
আবু খায়ের আনিছ
দিদি আপনার কথার সাথে সহমত করে বলছি, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ মজুদ আছে ভারতের মন্দিরের নীচে। পরিমানটা কেজিতে নয় টনে। প্রতিটা মন্দিরের নীচে যে পরিমাণ স্বর্ণ আছে তার ক্ষুদ্রতম অংশও যদি এই সব গরিবদের পিছনে ব্যায় করা হত তাহলে এত গরিব থাকত না।
শুধু ভারত নয় বাংলাদেশেও এমন অনেক আছে, সপ্তাহান্তে একদিন মসজিদে যাবে তার জন্য কত আয়োজন, কত সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন অথচ সেই মসজিদের পাশেই আশ্রমহীন মানুষ পড়ে আছে সেটা চোখে পড়বে না।
জীবে সেবা করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর অথবা মানব সেবাই সবচেয়ে বড় ঈশ্বর আরাধনা এই কথা দুটির বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমরা ধর্মপালনে যে খরচ করি, জীবেপ্রেম করার সময় কোথায়?
জীবহত্যার জন্য প্রচুর খরচ করি, উপাসনালয়ের জন্য তো আছেই।
পুজো কিংবা ঈদ কিংবা বড়দিনের জন্য যে পরিমাণ অর্থব্যয় করি তা যদি দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করতাম, তাহলে নিম্নবিত্ত শব্দটা অভিধান থেকে বিলুপ্ত হতো। বড়ো কথা বলছি ঠিকই এই তো পুজোতে যা আয় করেছি তার সবটুকুই নতূন জামা-কাপড়ে খরচ করলাম। তাই নিজেকে আলাদা করে দেখিনা আর। হুম এখন লিখতে বসে মনে হলো, ঠিক করিনি।
দিদি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয়, বিবেকের দরোজায় টোকাও দিয়ে গেলো আপনার লেখনী। -{@
অরুণিমা
মোবাইল দিয়ে সোনেলা সাইট ভিজিট করি বলে সবার মন্তব্যের জবাব আলাদা আলাদা ভাবে দিতে পারছি না বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি -{@