চিকিৎসার জন্য শেষবার ঢাকা ছাড়বার আগে জাহানারা ইমাম বলেছিলেন “ওদের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে।এবার ফিরে এলেই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো আমরা।দেশ জেগে গেছে,তরুণরা হাল ধরেছে। আমার সন্তানরা এক হয়েছে ‘দানবশক্তি’র বিরুদ্ধে তাই ‘জয় আমাদের সুনিশ্চিত’।”
কিন্তু দেহে বাসা বাঁধা কর্কটব্যাধি তাকে দেশব্যাপী জেগে ওঠা মুক্তিযুদ্ধের চতনাদীপ্ত মানুষদের নিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করার পবিত্র কাজটি সম্পন্ন করতে দেয়নি।ব্যাধি যতই প্রকটতর হয়েছে, উদ্দেশ্য সাধনে তিনি যেন আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছেন। মৃত্যুশয্যায়ও তিনি ভুলেননি স্বীয় দায়িত্ব। কম্পিত হস্তে খোলা চিঠি লিখেছেন-
“সহযোদ্ধা দেশবাসীগন,
আপনারা গত তিন বছর ধরে একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরূদ্ধে লড়াই করে আসছেন।এই লড়াইয়ে আপনারা দেশবাসি অভূতপূর্ব ঐক্যবদ্ধতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।আন্দোলনের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম।আমাদের অঙ্গীকার ছিল লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাব না।
মরণ ব্যাধি ক্যান্সার আমাকে শেষ কামড় দিয়েছে।আমি আমার অঙ্গিকার রেখেছি।রাজপথ ছেড়ে যাইনি। মৃত্যুর পথে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। তাই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং অঙ্গীকার পালনের কথা আরেকবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই।আপনারা আপনাদের অঙ্গীকার ও ওয়াদা পূরণ করবেন।আন্দোলনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে থাকবেন।আমি না থাকলেও আপনারা আমার সন্তান- সন্ততিরা আপনাদের উত্তরসূরিরা সোনার বাংলায় থাকবেন।
এই আন্দোলনকে এখনো দুস্তর পথ পাড়ি দিতে হবে।দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা,ছাত্র ও যুব শক্তি,নারী সমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই লড়াইয়ে আছে।তবু আমি জানি জনগণের মত বিশ্বস্ত আর কেউ নয়।জনগণই সকল শক্তির উৎস। তাই একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী বিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ‘৭১- এর ঘাতক দালাল নির্মূল সমন্বয় আন্দোলনের দায়িত্বভার আমি আপনাদের বাংলাদেশের জনগনের হাতে অর্পণ করলাম। জয় আমাদের হবেই ।
—জাহানারা ইমাম
হ্যাঁ জয় আমাদের হবেই সেটা যতদিন পড়েই আসুক না কেন।যে দেশের মায়েরা দেশের তরে নিজের সন্তানকে কোরবানী করতে জানে সে সন্তানেরা পরাজয় মেনে নিতে পারে না।তোমার রেখে যাওয়া হাজারো সন্তান তোমার রুমির প্রতিটি রক্তের বদলা নিয়ে।
—– তোমার প্রজন্মযোদ্ধারা ।
১৫টি মন্তব্য
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, জয় আমাদের হবেই।
শহীদ জননীর হাজারো সন্তানেরা সেই জয় ছিনিয়ে আনবেই।
আরাফ কাশেমী
জয় আমাদের সুনিশ্চিত
সীমান্ত উন্মাদ
হে জননী আমার
জয় আমাদের হয়েছে, হচ্ছে, ভবিষ্যতে আমরা জিতব অপশিক্তির বিরুদ্ধে। তোমার রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ আমরা তোমার হাজারো সন্তান আছি অতন্দ্র প্রহরীর মত। তুমি ভেবোনা।
ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, কারন জননী জাহানারা ইমামের বিষয়ে কেউ কিছু লিখলেই আমার চোখ ভিজে যায়। এই নিশুথী রাতে আমার আবেগকে দোলা দেওয়ার জন্য আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
সীমান্ত উন্মাদ
হে জননী আমার
জয় আমাদের হয়েছে, হচ্ছে, ভবিষ্যতে আমরা জিতব অপশিক্তির বিরুদ্ধে। তোমার রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশের সপ্ন একদিন সত্যি করব, আমরা তোমার হাজারো সন্তান আছি অতন্দ্র প্রহরীর মত। তুমি ভেবোনা।
ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, কারন জননী জাহানারা ইমামের বিষয়ে কেউ কিছু লিখলেই আমার চোখ ভিজে যায়। এই নিশুথী রাতে আমার আবেগকে দোলা দেওয়ার জন্য আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
মেহেরী তাজ
আপনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।
শুধু মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে দেখুন আমরা জয় কিভাবে এনে দেই।
আরাফ কাশেমী
রুমীরা জেগে আছে জেগে থাকবে
অনিকেত নন্দিনী
জয় আমাদের হবেই।যে দেশের মায়েরা দেশের তরে নিজের সন্তানকে কোরবানী করতে জানে সে সন্তানেরা পরাজয় মেনে নিতে পারে না।
হিলিয়াম এইচ ই
জয় আমাদের হবেই। ইনশাআল্লাহ।
আরাফ কাশেমী
ইনশাআল্লাহ
জিসান শা ইকরাম
মা এর মৃত্যুবার্ষিকীতে মা এর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি -{@
আরাফ কাশেমী
এই রকম মায়েদের প্রতি দিবসে শ্রদ্ধা জানানো উচিত
খেয়ালী মেয়ে
এই মহীয়সী সংগ্রামী জননীকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি………….
হ্যাঁ জয় আমাদের হবেই সেটা যতদিন পড়েই আসুক না কেন…….
আরাফ কাশেমী
জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি একটু একটু করে
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মহান এই নেত্রীকে জানাই অন্তর থেকে শ্রদ্ধা পরপারে তার আত্তার শান্তি কামনা।সে না এলে হয়তো আরো কত যুগ লাগল র বিচার কাজ শুরু করতে।
আরাফ কাশেমী
তিনি আমাদের আরেকজন মা আমাদের সকলের প্রিয় আম্মা 🙂