আপনারা কি জানের শরীফ খান অতীতে একজন পাখি শিকারি ছিলেন ? উনার বাবা ও শিকারি ছিলের। উনার বাবা পেশায় ছিলেন ডাক্তার। নাম টা ভুলে গেছি 🙂 । একাটা ঘটনা শেয়ার করি 🙂 ……..
শরিফ খান একদিন বিকালে শিকারে বাইর হইলেন। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখলেন বেড়ার উপর একটা ঘুঘু বসে বিকালের মিষ্টি রোদে পালক শোকাচ্ছে। ইয়ারগান তাক করে গুলি ছুঁড়লেন। শিকারি বাবার ছেলে 😉 নিশানা নির্ভুল। কিন্তু পাখিটা গুলি খেয়েও উড়াল দিল !!! । বসল গিয়ে পাশের তাল গাছে। কি করা যায় ???!!!
উঠে পরলেন গাছে 🙂 আর যা দেখলেন তাতে উনার শিকারি জীবন ওই খানেই সমাপ্ত ঘোষণা করলেন ।
উনি দেখে ছিলেন ওই গাছে পাখিটার বাসা। বাসায় দুইটা ডিম লাল হয়ে গিয়েছে পাখির রক্তে। ( অনেক আগে পড়ছিলাম, অনেক সংকেপে বললাম। )
এই ঘটানা পইড়াই ত আমি কইলজার মধ্যে চিপা খাইলাম আর কোন দিন পাখি মারি নাই। সাপ মারতাম খুব। উনার বই পরেই এই সব ছাইড়া দিছি :)। আমি অনেক শিক্ষিত লোক দেখেছি যারা পাখি ভক্ষ!!! , তারা লোকদের টাকা দেয় পাখি ধরে দেওয়ার জন্য। যাক আমি পিচ্চি মানুষ বড়দের বিষয়ে নাক না গলানোই ভাল।
সবচেয়ে বেশি পাখি মৃত্যু বরণ করে কিশোর/বাচ্চাদের হাতে। আমার হাতে অবশ্য খুব কম পাখিই মৃত্যু লাভ করেছে।
চলুন আরেকটা বাসা আবিষ্কার করা যাক 😉
১. দেখতে পারছেন কিছু ?
২. নাহ! কিছুই নাই !!??পাচ্চেন না? আরে ভাইওত দেখতে পাইল এইখান থেকে, আচ্চা কাছে জান 🙁 ।
৩. আহা! এইত 🙂 !!!
৪. এইদিকে আসেন, এইদিকে ভাল দেখা যায়।
৫. ডাল মে কুছ কালা হ্যে !? ওহ!! বাসামে কুছ হে ??!
৬. ওয়াওও একটা ডিম 🙂
৭. ইতা রাইত তুলা অইচে ( 😉 )
৮. এইটা আরেকটা ।
৯. দুটো বাসাই মনে হই পরিত্যক্ত। কারণ !!!!
কারণ, দুটোর কোনটিতেই পাখি ছিল না, নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাতে আবার গেচিলাম J
৮ নাম্বার ছবিটা আমি ফেবুতে দিয়ে বলছিলাম বলেন ত এইটা কি পাখির বাসা ?
আমার হাজারদেড়েক বন্ধুদের মাঝে আমার একজন আপু বলতে পারছিল এইটা টুনটুনির বাসা। উনি আরো বলছে, “ছোট বেলায় নাকি এই পাখি অনেক ধরেছে” J । উনাকে আপনে চিনেন ? নাম আলোছায়া । বাড়ি আমারদের পাশেই চুনারুগাট J । সাতছড়ি গেছেন কক্ষনো ? চুনারুঘাট আর সাতছড়ি পাশা-পাশিই । জীব বৈচিত্র্য সমড়িধ অঞ্চল।
২৫টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
সাতছড়ি এবার যেতেই হবে দেখছি ।
পাখিদের প্রতি আপনার মায়া দেখে ভাল লাগল ।
অপেক্ষা করছি , আরও কিছু শোনার জন্য ।
হাকুশ পাকুশ
যান 🙂 পারলে আমায় ও নিয়া যাইয়েন 🙂
হতভাগ্য কবি
খুবই সুন্দর ।
হাকুশ পাকুশ
ধন্যবাদ 🙂
সোনিয়া হক
পাখিদের ভালবাসুন । ভালো লেগেছে পোষ্ট ।
ভাই ছবির সাইজ অনেক বড় , লোড হতে সময় লেগেছে ।
হাকুশ পাকুশ
ধন্যবাদ 🙂
:O এই ছবির সাইজ বড় ? এইগুলা মোবাইলে তোলা। এইগুলা যদি লোড হতে সময় নেয় তাইলে ত আমার ডিএসএলআর কিনার সপ্ন নাদেখাই ভাল । 🙂
বনলতা সেন
আলোছায়া আপুও আপনার মত পাখিকে ভালোবাসেন মনে হয় ।
হাকুশ পাকুশ
আপি আমি বলছি উনি এই পাখি ধরত, ছোট বেলায়। ভালবাসত কি না জানি না ত ?!!!
আচ্চা জিজ্ঞেস করবনে 🙂
asdhare alor bristy
ভালোবাসতাম তো অবশ্যই। আমি অনেক পাখি পুষেছিও। লাষ্ট পুষেছিলাম বাবুই। তবে পুষ মানেনি। একটা শালিক পাখি ও পুষেছিলাম সারাক্ষন আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাকতো
জিসান শা ইকরাম
শরীফ খান এর এই কাহিনী আগে জানতাম না
ডিম দুটো রক্তে লাল হয়ে আছে – মাতৃত্ব সব প্রানীর মাঝেই এক ।
পাতার ভাজে এমন সুন্দর পাখির বাসা ভাবা যায় না ।
আলোছায়া ম্যাম ও মনে হচ্ছে আপনার মত পাখির বাসা বিশেষজ্ঞ ।
হাকুশ পাকুশ
হুম আমি এইটা পরেছি প্রথম আলোর ক্রোরপত্র “অন্য আলো”তে । অনেক আগে। কোন বইতে না।
হুম মনে হচ্ছে 🙂
ধন্যবাদ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমিও পাখি শিকারের বিরোধী ।
ওদের প্রতি আপনার অসম্ভব মমতা দেখে ভাল লাগল ।
হাকুশ পাকুশ
শুধু পাখি না আমি যে কোন বন্য প্রানি শিকারের বিরোধীতা করি।
ধন্যবাদ 🙂
"বাইরনিক শুভ্র"
শরীফ খানের শিকারি জীবনের কথা প্রথম আলো তে পড়েছি ।টুনি কে চিনি । কিন্তু টুনির ভালো বাসার সাথে পরিচয় এই প্রথম হল । 🙂
হাকুশ পাকুশ
পত্রিকাতে সঙ্কেপে দেওয়া থাকে।
ধন্যবাদ 🙂
শিশির কনা
টুনটুনি পাখির বাসা এই প্রথম দেখলাম । ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।
হাকুশ পাকুশ
ধন্যবাদ 🙂 শিশির কনিকা 😉
কৃন্তনিকা
আগে কখনো এভাবে পাখির বাসা দেখিনি। দেখে মনে হচ্ছিল discovery channel এ পাখির প্রোগ্রাম দেখছি।
সত্যিই বেশ উপভোগ্য… 😛 ডিমগুলো খুবই কিউট… 🙂
হাকুশ পাকুশ
ধন্যবাদ 🙂
আমার প্রিয় চ্যানেল হচ্ছে ডিসকভারি। আর প্রিয় প্রোগ্রাম হচ্ছে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড।
আম্মায় কয় বেয়ার গ্রেইল নাকি আমার সৎ ভাই 😉 হাহাআহ
যাযাবর
অসাধারন । পোস্ট দিয়ে কোথায় গেলেন হাকুসহ পাকুশ ভাই ? 🙂
অন্তরা মিতু
লেখকের নাম – হাকুশ পাকুশ ….. দারুন
লেখকের প্রোফাইল ছবি ….. দারুন দারুন
এই পোস্টের নাম ….. দারুন দারুন দারুন
এই পোস্টের লেখা ….. দারুন দারুন দারুন দারুন
এই পোস্টের ছবিগুলো ….. দারুন দারুন দারুন দারুন দারুন
এই পোস্টের ছবিগুলোর ক্যাপশনগুলো ….. দারুন দারুন দারুন দারুন দারুন দারুন
সবশেষে, আলোছায়া আপুকে ধন্যবাদ….. আর লেখককে… বুঝতে পারছি না কি দেয়া যায়…..
হাকুশ পাকুশ
আহ! আপনার কমেন্ট টা “জাক্কাস” হইছে, একে বারে “চাক্কিচুয়া”। হহাহাহা
হাকুশ পাকুশ
অনেক দেরী করে ফেললাম মনে হই 🙁
কি করি কারেন্ট থাকে না। এই রিপ্লে দেওয়ার সময় তিন বার কারেন্ট নিচে।
একজন কে রিপ্লে দিয়া অন্য জন কে না দিলে সে মাইন্ড করবে। কিন্তু কারেন্ট জন্য আমি কি করব ???
asdhare alor bristy
ওই পাকুশ আমার বদনাম করলা না সুনাম……….আলো ছায়া ;(
হাকুশ পাকুশ
বদনাম হইব কেন ???
আর আপনের এই নাম কেন ? আসল্টা কি সুন্দর হইত না?