যে প্রথম ভালো থাকে তাঁর শেষপর্যন্ত ভালো থাকা জরুরি। এজন্যই লোককথায় বলে- শেষ ভালো যার,সব ভালো তাঁর।
. অনেক গ্রুপ সাহিত্যচর্চা বাদ দিয়ে ফুর্তিচর্চা করা শুরু করে দিলে, আমার খুব কষ্ট লাগে। সাহিত্যচর্চা ছাড়া আমার কখনও কিছু করতে ভালো লাগে না। আবার আমার স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করলে, আমি নিজেকেই গুছিয়ে রাখি।
. গ্রুপ কখনও ভালো কিছু দেয় না। এক সময় ভাবতাম গ্রুপ ভালো কিছু দেয়, এখন বুঝি এবং দেখি বিভিন্ন গ্রুপ লিডাররা ভেবে বসে আছে-
. লেখকরা হলো গোয়ালের গরু, যা তালিকাভুক্ত দৈনন্দিন কাজ দিবে তা বাধ্যতামূলক করতে হবে। লেজ নাড়িয়ে নিজের মশাটাও মারা যাবে না, তাড়ানো যাবে না দেয়ালে পিঠ ঘেঁষে চুলকানির ক্ষততে বসা মাছিটিও। এমনকি গোয়ালের মালিক জন্মবিরতিকরণ ইনজেকশনের ন্যায় আপনাকে মেধাবিরতিকরণ ইনজেকশন দিতে আসলেও গুঁতো মেরে ফেলে দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না, চেঁচিয়ে বলা যাবেনা আপনারা হলেন সাহিত্যজগতে হাতুড়ে ডাক্তারখ্যাত হিটলারের নাদুসনুদুস ফটোকপি।
. আমার স্বাধীনতা যেসব গ্রুপ-খাপ জিম্মি করে তাঁদের থেকে দূরে সরে থাকি এবং যথেষ্ট সম্মান রেখে। আমার মতো সাহিত্যচর্চা যারা করে তাঁদেরকে এখন আমি বলতেই পারি-
. ‘স্বাধীনতায় যারা হস্তক্ষেপ করে তারা আপনার মেধা বিকাশে ধান ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকার মতো। মনে রাখতে হবে আপনার মেধাই আপনার গ্রুপ, আপনার পেজ এবং আপনার প্রচার। আর যদি ভাবুন আপনার মেধা একজন মায়ের শাল দুধ এবং ফেইসবুক গ্রুপ বাজারের বাজারজাত কোনো প্রসিদ্ধ দুধ। তখন দেখবেন সেসব গ্রুপে বড় হরফে সহিশুদ্ধ লেখা আছে কিনা- “মায়ের দুধের বিকল্প নাই।”
. তখনেই আপনি ভাববেন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সেইসব প্রসিদ্ধ গ্রুপের হজমশক্তির কথা।
[ছবিটি ব্লগ থেকে নেয়া ]
১২টি মন্তব্য
ইঞ্জা
খুবই সত্য বলেছেন ভাই, কিছু গ্রুপ আছে যেন নাট্যশালা, সেখানে সারাক্ষণ পার্টি লেগেই আছে, আমি মেয়ে নিয়ে কাড়াকাড়ি হয়েছে তাও শুনেছি, এইসব্ গ্রুপকে বর্জন করাটাই উত্তম।
সত্য বলার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
নাজমুল হুদা
কিছু কিছু গ্রুপ ঘটকালির প্লাটফর্ম হয়ে গেছে, এবং সেইসব গ্রুপের এডমিনরাও ইফটিজিং চর্চা করে।
ইঞ্জা
সত্যি তাই, ক্যনো একদিন নিশ্চয় এই ব্যাপারে সম্মুখ আলোচনা করবো ভাই।
তৌহিদ
ফেসবুক সম্পর্কিত গ্রুপগুলোতে বিভিন্ন কার্যকলাপ হতে পারে এবংং সেটাই বাস্তব। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন সাহিত্য চর্চা গ্রুপে প্রেমপ্রীতি আর রংঢং এর সিনেমা শুরু করেন সেখানকার গ্রুপ সদস্যরা। এরকমটা হলে গ্রুপ লীভ নেয়াই উত্তম।
সদস্যদের নিয়ে ফেসবুকের অনেক ভালো গ্রুপকে দলাদলির জন্য বন্ধ হতে দেখেছি। আবার অনেক গ্রুপকে ভালো কাজের জন্য প্রশংসিত হতেও দেখেছি।
এখন আসি সোনেলার ফেসবুক গ্রুপের কথায়। সোনেলার ফেসবুক গ্রুপটি সরাসরি সোনেলা ব্লগের সাথে সম্পৃক্ত যেখানে অন্যান্য গ্রুপ ফেসবুকের সাথে সম্পৃক্ত। সোনেলা গ্রুপে আজ পর্যন্ত নির্মল সাহিত্য চর্চা এবং সুস্থ বিনোদন ছাড়া আর কিছুই হয়নি এটি আপনাকেও স্বীকার করতেই হবে।
যারা ব্লগ আর ফেসবুকের পার্থক্য বোঝেনা এদের শিক্ষিত বা স্বশিক্ষিত মানুষ বলতে আমি নারাজ। তারা আবার নিজেদের কবি, লেখক, সাহিত্যিক বলে পরিচয় দেয়। বইমেলায় টাকা দিয়ে দুইটা বই প্রকাশ করলেই লেখক, সাহিত্যিক হওয়া যায়না।
একজন লেখক তার লেখা অনেক জায়গায়, অনেক মাধ্যমে প্রকাশ করতেই পারেন। এটা যার যার নিজস্ব অভিরুচি। অথচ সদস্যদের ননিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করা তাদের ভাব দেখলে মনে হয়, ফেসবুকে গ্রুপ বানিয়ে সাহিত্যচর্চার নামে রংচর্চা করাকেই নিজের ধ্যান জ্ঞান বানিয়ে ফেলেছে। যেন তাদের নিজস্ব গ্রুপ বেষ্ট বাকী সব ধনেপাতা।
মনেপ্রাণে শুদ্ধ হতে পারেনি, নিজেরা নাকি আবার লেখক। সাহিত্য গ্রুপে সাহিত্য চর্চার নামে কুটিলতার চর্চা করা এমন মানুষদের ধিক্কার জানাই।
আর জানেনইতো, দুর্জন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য?
ভালো থাকুন সবসময়।
সুরাইয়া পারভীন
ভাইরে ভাই কী লিখেছেন! জাস্ট ফাটিয়ে দিয়েছেন
👏👏👏
লেখক সবসময় স্বাধীন। লেখককে দিয়ে জোর করে কিছু করানো যায় না সেটা অনেকেই বুঝতেই চায় না। লেখকগণ যেনো তাদের বাপদাদার পাওয়া সম্পত্তি। তাই যেমনে চালাবে তেমনেই চলতে হবে
বন্যা লিপি
একহাত দেখিয়ে বেড়ে লিখেছো ছোটো ভাই। গ্রুপওয়াইজ সাহিত্যচর্চা যে কি জিনিস? তা ঘুরেফিরে বেশ দেখছি। লেখকের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা না থাকলে, সে লেখক প্রফেশনাল টাইপ লেখক হয়ে যান। প্রফেশনাল তো পেস্কারও হয়, দলিল লেখক ও হয়। ধন্যবাদ গ্রুপ নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টের জন্য। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
আমিও এটা মনে করি, লেখার স্বাধীনতা না ঘাকলে লিখে কী লাভ? লেখক তো বর্ণ শব্দ নিয়ে খেলবে। অনেক গ্রুপে দেখেছি, লতুপুতু মার্কা পোস্ট এ্যাকসেপ্ট করছে, আর ভালো পোস্ট আনএ্যাপ্রুভ।
ধন্যবাদ, প্রিয় ছোট ভাই।
প্রিয়তি দিলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার এই লেখাটি পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। সুন্দর উপস্থাপনা হয়েছে। গ্রুপগুলো আমার খুব বিরক্ত লাগে। এখানে শুধু চাটুকারিতা, অসুস্থ চর্চার জয়জয়কার। ব্যাকরণ আর ব্যআকারণের পার্থক্যই এরা বুঝেনা তাহলে এদের কাছ থেকে ভালো কিছু কিভাবে আশা করা যায়? অফুরন্ত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা সতত। শুভ সকাল
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ মধুময় লেখেছেন কবি দা অনেক শুভ কামনা রইল
রোকসানা খন্দকার রুকু
একেবারেই মনের কথা বলতে পেরেছেন।কলম কি আর জোর করে চলে তার নিজের গতিতে চলে।
আমাদের ভালো মন্দ বুঝেই চলতে হবে।
শুভ কামনা ভাই।
শামীম চৌধুরী
শুধুই মুগ্ধতা।
হালিম নজরুল
আমার কাছে মনে হয় সাহিত্যচর্চাটা একান্তই নির্ভর করে নিজের উপর। অবশ্য উপযুক্ত পরিবেশ বা ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য কিছু মাধ্যমের ভূমিকা আছে।