রিলেটিভিটি সম্পর্কে আইনষ্টাইন বলে ছিলেন-জ্বলন্ত চুলায় তোমার হাত এক মিনিট ধরে রাখো-মনে হবে যেন এক বছর কেটে গেল। অন্যদিকে যদি তুমি একজন সুন্দুরী তরুনীর সঙ্গে এক ঘন্টা বসে থাকো, মনে হবে এক মিনিটও হয়নি। এটাই রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতা।
এই তত্বের সাথে মিল রেখে গোপাল ভাঁড় দ্রব্যমূল্যের আপেক্ষিকতার তত্ব আবিস্কার করেছে এইবার। গোপাল ভাঁড়ের মতে, “ব্যাপক ক্ষুদা ও চাহিদা নিয়ে একদিন বাজার করে দেখ, মনে হবে যেন এক বছরের টাকা খরচ করে ফেললে।
অন্যদিকে ক্ষুদা ও চাহিদা প্রায় বন্ধ রেখে এক বছর বাজার করো, দেখবে যেন একদিনো হয়নি। এটাই দ্রব্যমূল্যের আপেক্ষিকতা”। গোপাল ভাঁড়ের মতে চাহিদা কমালেই বাজার ঠান্ডা হয়ে যাবে।
এই তত্ব শুনার পর গোপাল ভাঁড়কে প্রশ্ন করা হোল তাইলে এইবার বলেন চাহিদা কমানোর উপায় কি? গোপাল ভাঁড় সাথে সাথে জবাব দিলঃ যেমন ধরুন বাজার থেকে আপনি দুই তিনটা কাঁচা মরিচ এনে রান্নার সময় চুলার উপর ঝুলিয়ে রাখা, পিয়াজ এনে সেটা চুবিয়ে রান্না করা, ভাতের বদলে আলু-আলুর বদলে ঘাস খাওয়া(দু’চারজন তৃণভূজি এদেশেও এখনও আছে) ইত্যাদি। অন্যদিকে মোবাইল ফোনে আমাদের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বেশি কথা বলা বন্ধ করা, রিকশা-টেম্পু বাসের বদলে পদযাত্রায় শামিল হওয়া, পোশাক ব্যাবহারে বাংলা সিনেমার নায়িকাদের ফলো করাসহ বিভিন্ন উপায় নিয়ে ব্যাপক টিপস দিল উত্তরে। গোপাল ভাঁড়ের ধারনা এগুলো ঠিক মত ফলো করলে দ্রব্যমূল্যে ব্যাপক ভাবে কমে যাবে। এবং এর জন্য সে নোবেল প্রাইজও পেয়ে যেতে পারে।
এই পর্বের সমাপ্তি।
প্রথম পর্বঃ http://sonelablog.com/archives/27633
বিঃদ্রঃ ইহা একটি রম্য রচনা। কারো জীবনের সাথে ডানে বামে, চামে চিকনে, উপর নিচে মিল খাইলে আমি উন্মাদ দায়ী না। আর জানেনতো পাগলে কিনা বলে আর ……… কিনা খায়।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
১৭টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সমাপ্তটায় দ্রব্যমুল্যের থিউরিটা বেশ যুক্তিযুক্ত মনে হলো।মিতব্যায়ী সব সময় সুফল বয়ে আনে।
সীমান্ত উন্মাদ
বলেন কি ভাই যুক্তিযুক্ত তাইলে গোপাল গোপাল ভাঁড়ের নোবেল প্রাইজ এইবার শিউর।
অনেক অনেক শুভকামনা জানিবেন মনির ভাই। ভালোথাকুন নিরন্তর।
জিসান শা ইকরাম
মজা পেলেও দ্রব্য মুল্য নাগালের মদগ্যে রাখার বুদ্ধি কিন্তু খারাপ দেয়নি 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
জি মামা, গোপাল ভাঁড়ের মাথেয় দেখি ভালই বুদ্ধি আছে, মানুষ যে হেরে বোকা গাধা কয় তা আসলে ঠিক না। কি বলেন??
জিসান মামা শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
খেয়ালী মেয়ে
চাহিদা কমানোর উপায়গুলো জানাসত্বেও চাহিদা কমে না,বরং দিন দিন চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে:(
সীমান্ত উন্মাদ
তবে কি জানেন কিছু কিছু আঁতেল পাব্লিক ব্যাপারটাকে কিন্তু আমলে নিচ্ছে না, তাদের ধারনা দ্রব্যমুল্যের পাগলা ঘোড়া এই ভাবে উপরে উঠতে উঠতে চাঁদ, প্লুটু, ইউরেনাস নেপচুন এই রকম গ্রহে ঠাই নিলে পৃথিবী এর বদ আচড় থেকে মুক্তি পাবে। এই হিসেব ঠিক থাকলে দ্রব্য মূল্য বাড়লে সমস্যা নাই আশা করি।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো। দ্রব্যের মূল্যের দাম যতই উচ্চমুখি হোক না কেন, একদিন কিন্তু বাজার করে আমাদের সবাইকে দাওয়াত খাওয়ানুর অনুরোধ থাকলো আপনার কাছে :p
ভালো থাকুন।
খেয়ালী মেয়ে
মাটির ব্যাংক নিয়েছি একটা মেলা থেকে—দেখি কিছু জমাতে পারি কিনা–তারপর দাওয়াত মিস হবে না 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা। অপেক্ষায় থাকলাম।
মাটির ব্যাংকে টাকা জমুক
আর দ্রব্য মূল্যেরো দাম কমুক,
অনেক অনেক শুভকামনা জানিবেন।
স্বপ্ন নীলা
হা হা হা —- দারুন
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা হা — শুভকামনা নিরন্তর।
শুন্য শুন্যালয়
আলুর পরিবর্তে ঘাস খেতে হবে? তুমি শুরু করো, দেখি আগে কয় পয়সা জমে। নোবেল পাও নাকি বেল পাও রেজাল্টের পর বিবেচনা করবো।
সীমান্ত উন্মাদ
আরে কি যে বল আমি খাব কেন আর নোবেল প্রাইজ আমি পাব কেমনে?? এইটাতো গোপাল ভাঁড়ের তত্ব পাইলে সে পাবে।
তবে তোমার প্রশ্নের উত্তরে গোপাল ভাঁড় জানিয়েছেন, তিনি এখানে তৃনভূজি বলিতে রাজাকার আলবদর আলশামস এবং তাহার সন্তান ছাগু দিগকে বুঝাইছেন যাহারা এখনও এই স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধীতা করিবার পরও এই দেশের অন্ন ধংস করে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করিতেছে তাহাদের বুঝাইয়াছে। তুমি কেন তাহা আগে বুঝিতে পার নাই তাহা গোপাল ভাঁড়ের বোধগম্য হইতেছেনা বলিয়া একটু আগে তিনি আমাকে জানিয়াছেন।
উনি একথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করিয়াছেন যে নোবেল প্রাপ্তির জন্য তিনি লবিং জারি রাখিয়া চলিছেন। বেল না তিনি নোবেলই পাইবেন ইহা বিশ্বাস করিতে তোমাকে অনুরোধ করিয়াছেন। :p
ইমন
🙂
নীতেশ বড়ুয়া
হাহাহাহাহা…হিহিহিহি…হুহুহুহু…হোহোহোহো… ব্যচেলর সম্প্রদায়ের জন্যে দারুণ 😉 https://sonelablog.com/wp-content/plugins/smilies-themer/MDC/3.gif
সীমান্ত উন্মাদ
সব ভুক্তভুগির জন্যই দারুন বলে মনে হয়, হা হা হা হিহি হো হো হো ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর আপনার জন্য।
ব্লগার সজীব
ভালো লেগেছে খুব।
সীমান্ত উন্মাদ
ভালোলেগেছে জেনে আমিও অনেক খুশিত হইলাম সজীব ভাই। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।