চারি দিকে থৈ থৈ পানি– লক্ষ লক্ষ আর্তস্বর-
ঝরে পড়ছে পতঙ্গের মতো- চলছে জীবন ,
তাহারা বারবার তাকায় আকাশের পানে
ধান ক্ষেতে মাঝী এপার ওপার বৈঠা বায় ।
তারা ঝরা ফসলের ভাষার সূর, বুকে গেঁথে ফিরে যায়
একমুঠো ভাত- শত সহস্র হাত, স্থির চক্ষু-রক্ত ঝরে
কাঁকন- কাঁদানো কণ্ঠ,ক্লান্ত বুড়ো- জোয়ান, ঝিমায় শিশু কাঁধে
আধার ঘনায়- একটি দুটি প্রদীপ কাঁপে, ঘৃণ্য লোলুপ দৃষ্টি হাসে।
মানুষ আর নদী, তারা স্থান থেকে স্থানচ্যুতও হয়ে,
এ নদীর জল কোন নদীর কোলে? গোলকধাঁধায় ঘুরে-
চেয়ে চেয়ে দেখে ঘরবাড়ির আসবাব,কলসি- হাড়ি ভাসে
ছুটে যায়, শত শত শীর্ণ হাত- ডাক দেয় মাঝীরে ।
ধান ক্ষেতে মাঝী এপার ওপার বৈঠা বায়,কাদের ডাক শুনা যায় ?
৯টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
মাঝি ডাক শুনতে পেলেও, যাদের কাছে পৌঁছানোর কথা, তারা শোনেনা ভাইয়া। নদীতে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর আর্তস্মর কেউই যেন আর শুনতে পায়না। হাহাকার ছড়ানো কবিতা।
সৈয়দ আলী উল আমিন
জ্বি ভাই। আন্তরিক ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
অসহায় মানুষের ডাক কেউ শুনতে পায় না,
এই ডাক আদিকাল থেকেই চলে আসছে,
সৈয়দ আলী উল আমিন
কেউ শুনে না_________ তারপরও ত্রাণ চুরি করে বড় গলায় কথা বলে।
ইঞ্জা
বানভাসি মানুষ গুলার ডাক শুনার কেউ নেই ভাই।
সৈয়দ আলী উল আমিন
কেউ শুনে না_________ তারপরও ত্রাণ চুরি করে বড় গলায় কথা বলে।
ইঞ্জা
এরা হলো দু পেয়ে ঘৃণীত পশু।
মোঃ মজিবর রহমান
strong সুন্দর কথা বলেছেন তবে ভাই অসহায় সর্বদা কেদে যায় ডেকে যায় শুনার কেউ নেউ আছে ইবলিশের মত অট্টাহাসির লোক, দেখেও দেখে না কারন তাঁদের অভাব নেয় কষ্ট নেয় বলে………।।
মিষ্টি জিন
বন্যায় ভেসে যাওয়া মানুষের আর্তনাদ কারো কানে পৌছায় না।
দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।