এক মাস পর গত শুক্রবার ঢাকা আসলাম পরিবারের কাছে , একদিন থাকবার পর শুনলাম মঙ্গলবার পর্যন্ত আবার অবরোধ । ভাবলাম , যাক ২টা দিন ছুটি কাটিয়ে মঙ্গলবার কাজের জায়গা সেই সুনামগঞ্জে ফিরে যাবো । আজই আবার ঘোষণা এলো আগামি ৩ দিন এরকম চলতে থাকবে ।
কিন্তু আমারতো বসে থাকলে চলবে না । সুনামগঞ্জ যেতে হবে । আমার সাথে আমার এক সহকর্মী এসেছে , ওরও আমার মত অবস্থা , চাকরি বাঁচাতে হলে যেতে হবে । তাঁকে বললাম কিভাবে যাওয়া যায় উপায় বের করেন । তিনি কিছুক্ষন পর জানালেন খবরের কাগজের গাড়িতে সিলেট পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে সুনামগঞ্জ যাওয়া যাবে । আমি পরিবারের সাথে কথা বললাম, তাঁরা কোন ভাবেই আমাকে যেতে দেবেন না । এতে যদি চাকরি চলে যায় যাক । আমি আমার বসকে বিষয়টা জানালাম । উনি শুনে বললেন , চলে আসেন কোন সমস্যা হবে না । তিনিও নাকি এভাবে গত সপ্তায় গেছেন । ভাবলাম আমি ও না হয় যাই! একটু ঝুঁকি নিতে হবে আর কি! এছাড়া চাকরি ও বাঁচানো দরকার । আমার সহকর্মিকে বলে দিলাম আমার জন্য একটা সিটের বাবস্থা করতে । ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম । প্রস্তুতি্ মোটামুটি শেষ । এদিকে আমার মেয়েতো কান্নাকাটি শুরু করেছে ।
একটু পর আমার বস আমাকে ফোন দিলেন, জানালেন আগামি কাল হরতাল দিয়েছে, এতো ঝুঁকি নিয়ে আসবার দরকার নাই । আমি একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম ।
কিন্তু মন থেকে অস্বস্তি যাচ্ছেনা । পরের সপ্তাহে যেতে পারবোতো ? চাকরি টিকে থাকবে তো ? এভাবে আর কতদিন ?
৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
পাল্টে গিয়েছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবন ধারা ।
থমকে গিয়েছে দেশ
এ থেকে কবে মুক্তি পাবো জানিনা।
তার ছেঁড়া
প্রথম দিকে হরতাল হলে , ঈদের দিনের মত খুশি হইতাম । আর এখন বিষ ফোড়াঁ হয়ে গিয়েছে ।
আদিব আদ্নান
আমরা ক্রমাগত বিপর্যস্ত হচ্ছি ।
কত কিছু যে আটকে আছে আটকে যাচ্ছে এমন করে ।
খসড়া
প্রতিক্ষন উৎকণ্ঠিত নিজের জন্য প্রিয়জনের জন্য।
স্বপ্ন
সাবধানে চলাফেরা করবেন ।
নীলকন্ঠ জয়
হরতাল-অবরোধে অতিষ্ট এবং শংকাময় জীবন।
ছন্নছাড়া
আপনাকে দেয়ার মতো কোন সান্তনা বা কোন পরামর্শ নেই …………
আমারা সবাই এই সব রাজনৈতিক কর্মসূচীর মাঝে বন্ধি ……।।
যেখানেই থাকবেন সাবধানে থাকবেন আর আমাদের নিয়মিত আপডেট দিবেন …।