@@ আমাদের সরকারের কিছু পদক্ষেপ:
বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ থেকে এখনই পুরোপুরিভাবে শিশু গৃহশ্রম নিরসন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মজিবুর রহমান। জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলেই আমরা বুঝতে পারব, গৃহশ্রমিক নিষিদ্ধ অনেক কঠিন কাজ। এখনই সেটা সম্ভবও নয়। তবে তাদের নিরাপদ গৃহশ্রম নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।” এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সরকার গৃহশ্রমিকদের একটি কাঠামোতে আনার জন্য গৃহশ্রমিক নীতিমালা তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর। নীতিমালাটি এখন খসড়া সংশোধন পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত সংশোধনের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।” ২০১৬ সালের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের ব্যাপারে সরকার পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানান শ্রম যুগ্ম সচিব। তিনি জানান, শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০, শ্রম আইন ২০০৬, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনপিএ) ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য নীতি ও আইন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, “বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে পুরোপুরিভাবে শিশুশ্রম নিরসন করা খুব কঠিন হলেও সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসন প্রথম পর্যায় ও দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুকে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন তৃতীয় পর্যায়ে কাজ চলছে। এতে ৫০ হাজার শিশুকে প্রশিক্ষণের মাধমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।” সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিশু শ্রম বিষয়ক জাতীয় সমীক্ষা করা হয়েছিল ২০০২-২০০৩ সালে। এখন পর্যন্ত শিশুশ্রম বিষয়ক এই উপাত্ত ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আইএলও এর সহায়তায় আরেকটি জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষা পরিচালনা করছে, যার ফলাফল ২০১৪ সালের প্রথমার্ধে পাওয়া যাবে।
‘গৃহকর্মে শিশু শ্রমকে না বলুন’
প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত হবে। বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইন্টারন্যাশনাল, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংগঠন। ১২ জুন বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হযেছে বলেও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস বি রেড্ডি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনর এক্সিকউটিভ ডিরেক্টর শাহীন আনাম, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপার্সন এনামুল হক চৌধুরী ও সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইন্টারন্যাশনালের (ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রোগাম অপারেশনস) ইকবাল নায়ার।
@@@ গৃহ কর্ত্রী কর্তৃক নির্যাতিত কিছু গৃহ কর্মীঃ
একটু দেখে আসুন। মানুষ কেমনে অমানুষ হয়। বাংলার দামাল সন্তান ভাই এর ব্লগঃ http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/4901/Banglardamalsontan/27837
মানুষ নেমে যায় নীচ থেকে নীচে – সুরা ত্বীন।
অর্থাত মানুষ দুনিয়ার সকল প্রাণী থেকেও নিকৃষ্টতর হয়ে যায়। আবার মানুষই হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
নাদুস নুদুস গৃহকত্রী যখন ”আদুরী” নামক কাজের মেয়েগুলিকে চরম অনাদরে রেখে নির্যাতন করে, ব্লেড দিয়ে খুচিয়ে, গরম ছ্যাকা দিয়ে প্রায় মেরেই ফেলেছিল বা ফেলছে । এই ছবি গুলি দেখে আসলে সুরা ত্বীন উপলব্ধি করতে পারবেন! মানুষ যে কত নীচ হতে পারে, কত ভয়ংকর হতে পারে, কত অমানবিক হতে পারে, ।
একটি মন্তব্য
খসড়া
সচেতনমূলক পোস্ট। আপনি পোস্টের শেষে আগের পোস্টের লিংক দিয়ে দিয়েন তবে নতুন পাঠকের পড়তে ও বুঝতে সুবিধা হবে পুরান পাঠকরাও পড়তে পারবে। ধন্যবাদ।