আমি দেখিয়াছি সে নরক,
আমি চাহিয়াছি তোর মুখ
মুহূর্তমাঝে ধুইয়া সাফিয়া
ধূলিসাৎ হয় সুখ
যায়রে ফাটিয়া তব ধমনির শিরা
তুই কলিজাহীনা
রুদ্র ধরণীতলে বীণা বাজে
গর্জিয়া ঝংকার
মোর মাঝে বাজে কাঁকন সুরে
ব্যাথা মম আত্মার
অগ্নিতপ্ত অনল অশনে
পুড়িয়া যে অঙ্গার
জীবন-মৃত্যু ,সুধা-গরলের
ফারাক পড়ে না আর
বুঝবিরে তুই
খুঁজবি রে তুই
ঊর্ধ্ব গগনে, চরণতলে, ভূ-লোক ফাঁড়িয়া,
কাদিয়া ফিরিবি
পথে মরিবি
পাবিনারে খুঁজিয়া
মম আঁখিতে তোর স্বপনে ঝরিয়াছে কান্না
তুই কলিজাহীনা।
কালোর পড়ে
আলোর ভিড়ে,
ভোরের সিক্ত শুভ্র শিশিরে
বিন্দু চমক চকিয়া আঁখি গেলিরে ঝলসিয়া।
কহিয়াছিলাম তোর পদতলে করিয়া কুর্নিশ
ওরে কলিজাহীনা একটু ভালোবাসা দিস
তৃষিত ছিল অন্তরআত্মা চাহিয়া কি দেখেছিস??
দেখিবি কিরে, তোর চাহুনি তো বিষ
তুই দেখিস নি
তুই বুঝিস নি
তুই শুনিস নি মোর কথা
দিয়া গিয়াছিস যত যাতনা, কান্না, গ্লানি, ব্যাথা
তুই কলিজাহীনা
দেখিবি আমি শেষ দিবসে (হাশরের মাঠে)
দাড়িয়ে আছি রক্ত হাতে,
বুঝিয়া দেব বিধিরে মোর যত দেনা-পাওনা
ওহে কলিজাহীনা ।
৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ভালো লিখেছেন।
দুই লাইনের মাঝে এত স্পেস কেন?
মাসুদ আলম
microsoft word এ লিখি।
শুন্য শুন্যালয়
এতো ভালোবাসা বুঝিল না কলিজাহীনা। সত্যিই কি বুঝবে? সত্যিই কি খুঁজবে?
সাধু ভাষায় আপনার দখল আছে বোঝা যায়। ভালো লেগেছে কবিতা ভাইয়া।
মাসুদ আলম
একটা জিনিস কি জানেন, লেখা কখনো চিন্তাশক্তি থেকে বের হয় আমার বিশ্বাস হয় না। কবিতাখানি আমার জীবন নিয়ে লেখা।
ভালো থাকবেন।
শুন্য শুন্যালয়
ব্লগার সজীব
জীবনের গল্প ভাল ভাবেই প্রকাশ করেছেন।
মাসুদ আলম
ধন্যবাদ ভাই সজীব।
নিজের মনের ক্ষোভ -আক্রোশ লিখে ঝাড়ার চেষ্টা করেছি।