কেউ আছো? কানে গুঁজে দিবে
এই প্রশ্নবোধক কাঁচুলি রাত! এঁকে দেবে
লালা গ্রন্থির—
শেষ প্রশ্ন? দেখো, ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের শেষ
জল জোসনা;
কয়েক দানা শিশির বিন্দু মৃত পড়ে আছে
ফিউশন চক্র!
ধূলিকণার তবু একটা জাত-পাত আছে,
ওদের তাও নেই;
কয়লা পোড়া ফুসমন্তর! কে বলতে পারে?
ওরা
একদিন মানুষ ছিল!
দুয়ারে যম দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও
এতোটূকু হাত-পা কাঁপেনি; তাই বুঝি
ঈশ্বরের দেওয়া মাদুলি গলায় বেঁধে
ত্রিহুইলারের ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে ফিরছিল
না ফেরার গল্প
শতজনমের তাজমহল!
কেউ জানো, কে হারলো আর কে জিতলো?
এই নন্দন কানন!
আসমানী এখনও তাকিয়ে আছে পোড়া কয়লার
দিকে, সে যে তার মা ছিল!
লতার মতো জড়িয়ে থাকা অচেনা হাত দুটি
সে যে তার ভাই ছিল!!
২টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
বলবো না বুঝতে পেরেছি কিংবা ধরতে পেরেছি তারপরও পাঠে মুগ্ধতা এসেছে আপনার শব্দের বুনুনের দক্ষতায়। আপনার কবিতায় শব্দের সতর্ক ব্যবহার খুব বিস্মিত করে কবি। তবে কবিতাটি এমনি এমনি ছাড়া যাবে চমত্কার শ্লেষ মিশ্রিত যা ভালো লাগা সৃষ্টি করে। ভালো থাকবেন কবি, ভালবাসা জানবেন।
খসড়া
ভাল লাগল।