বর্তমানে অনলাইনে মুক্ত চিন্তাধারার চর্চার জায়গা খুবই সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে । কারণ, এখানে মুক্তচিন্তকরা সংখ্যালঘু এবং বদ্ধচিন্তকরা সংখ্যাগুরু। তাই মুক্তচিন্তকরা যদি নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার চর্চা করতে যান তবে বদ্ধচিন্তকরা আপনার উপর হামলে পড়বে । তারা শুধু ঘাপটি মেরে আছে সুযোগ বুঝে ঝাপটি মারার জন্য। আমার ফেইসবুকের বন্ধু তালিকায় আমি অনেককে দেখেছি যারা নিজের প্রাণ হাতে নিয়ে লিখে যায়। হ্যাঁ , আপনাদের মত প্রকাশের অধিকার আছে সেটা আমি জানি । আমি জানি আপনারা দেশকে আপনারা কিছু দিতে চাইছেন ।আপনারা প্রয়াস করছেন দেশকে কু-সংস্কারমুক্ত , সংঘাতহীন , অসাম্প্রদায়িক একটা জাতি উপহার দিতে কিন্তু দেশ আপনাদের কি দিয়েছে ?
কয়েকটা চাপাতির কোপ বাদে আর বেশি কিছু দিতে পেরেছে কি ! দেশ আপনার সামান্য নিরাপত্তা বিধানটুকুও করতে পারছেনা । আসলে আপনাদের এদেশে জন্ম নেওয়াটাই পাপ হয়েছে । সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে ঠিকই তবে দেশের মানুষ স্বাধীন হতে পারেনি । যুদ্ধের ফলে আমরা একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড ছাড়া এর বেশি কিছুই আর পায়নি । কি আর হবে এসব ভেবে তার চেয়ে ভালো আপাতত নিজের মেধাটা চাপাতির কোপ খাওয়ার কাজে না লাগিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে লাগান তাতে অনেক লাভ হবে । দেখুন আমি কিন্তু আপনাদের রণক্ষেত্রে এসে পরাজয় মেনে নিতে বলছিনা । রণক্ষেত্রে পালিয়ে অথবা গা ঢাকা দিয়ে আত্মরক্ষা করতে বলছি মাত্র । কারণ, রণক্ষেত্রে গা ঢাকা অথবা পালিয়ে আত্মরক্ষা করা মানে পরাজয় মেনে নেওয়া নয় বরং যুদ্ধের একটি কৌশল বটে । কারণ, রণক্ষেত্রে গা ঢাকা দিয়ে পরবর্তিতে প্রতিপক্ষকে নিজের সুবিধামত স্থানে এনে আঘাত হানা রণ পরিকল্পনারই একটি অংশ । বরং এটিই বুদ্ধিমান যোদ্ধার কাজ । যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য যোদ্ধার বেঁচে থাকাটা বেশ গুরুত্বপূর্ন । কারণ, বেঁচে থাকলে পুনঃআক্রমনের সুযোগ থাকে ।
তাই যেদিন দেশ আপনাদের গ্রহন করার উপযুক্ততা অর্জন করবে ,দেশের অবস্থা যেদিন আপনাদের অনুকূলে থাকবে সেদিনই আপনারা মুক্তচিন্তাধারার চর্চা করবেন । সেদিন মুক্তচর্চার কারণে আর প্রাণ সংকটে পড়তে হবেনা । সেদিন নিজে নিরাপদে থেকে দেশকে কিছু দেবার চেষ্টা করবেন । আপনাদের বেঁচে থাকাটা খুবই জরূরী । কারন, মুক্তচর্চার হাত ধরেই একদিন আমাদের মুক্তি ঘটবে ।
১৪টি মন্তব্য
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক, বেঁচে থাকাটাই এখন জরুরী। জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা খুব জরুরী।
স্বদেশী যোদ্ধা
আপনি ঠিক বলেছেন ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
লেখা ভালো হয়েচ্ছে তবে লেখা দিয়ে লা পাত্তা তা ঠিক নয়।
স্বদেশী যোদ্ধা
না ,ভাই আমার মোবাইল থেকে ব্লগিং করা যায় না । তাই অনাকাঙ্খিত কারণে আমাকে লাপাত্তা হতে হয়েছে । এর জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
ইমন
ইউরোপ, আমেরিকায় মুক্তচর্চা আর বাংলাদেশে মুক্ত চর্চা ভিন্ন ব্যাপার। আমাদের দেশে মুক্ত চর্চা করার জন্য চিন্তক্রা ভিন্ন(সাপ ও মড়বে লাঠি ও ভাংবেনা)কোন পথ অবলম্বন করতে পারে। মুক্ত চিন্তকের নামে যদি কেউ হাজার বছরের পুরনো মতবাদ/ধর্ম কে এক বাক্যে , এক কথায় উড়িয়ে দেয় তাহলে সাপের লেজে পা দেয়া হবে বৈ কি। মুক্ত চিন্তকদের বুঝা উচিত যুত্সই, মানানসই কোনো অল্টারনেটিভ পথ তৈরী না করে মানুষকে যদি আহবান করা হয় বা বলা হয় ” মুহাম্মদ লুচ্চা, কৃষ্ণ বদমাশ ” তাহলে যারা সৃষ্টিকর্তার ভালবাসায় পসেসিভ তারা কিন্তু রিঅ্যাক্ট করবে রুড।
হাজার বছর ধরে তারা যে জিনিসটাকে মেনে আসতেছে তাকে হুট করে বাতিল করে দিলে তারা আশ্রয়টা নিবে কই! বাংলাদেশের কয় শতাংশ মানুষ বিজ্ঞানেবং বিজ্ঞানের ভাষা বুঝার ক্ষমতা আছে!
তারপরেও মুক্তচিন্তক্রা তাদের মতবাদ, কথা বলবে, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তাদেরকেও ভাষার পরিমিতিবুধটা খেয়াল রাখতে হবে। কারণ তারা যেহেতু বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মের মত স্পর্শ কাত একটা ব্যাপারকে ডিফেন্ড করবে তখন তাদের প্রতিপক্ষ কিন্তু তাদের চে নিচের লেভেলের। তাদের মত শিক্ষিত, বৈজ্ঞানিক মনস্ক না। বরং, তাদের প্রতিপক্ষরা রিতিমতো মুর্খ।
তাই, ” নবী পুন্দানি ইভেন্ট” বা ” মুহাম্মাদ লুচ্চা ছিলেন” নামক আগ্রাসী মনোভাব এবং এই টাইপের শব্দ ব্যবহার না করে তারা তাদের চিন্তা, মননশিলিতার বাপারে আলোচনা করুক।
মোট কথা তাদেরকে বাংলাদেশে মুক্ত মনা বিকাশ করতে হলে, স্ট্রাটেগি পরিবর্তন করতে হবে। কারণ তাদের প্রতিপক্ষ ধর্মান্ধ, ধর্ম গুরু, অশিক্ষিত জন সম্প্রদায়।
সর্বোপরি, ধর্মান্ধদের কাছ থেকে না হক, অন্তত মুক্ত মোনারা পরিমিতি বোধ ব্যাপারটা খেয়াল রাখবেন, আশ করি।
স্বদেশী যোদ্ধা
আপনার সাথে আমি সহমত ।
জিসান শা ইকরাম
মুক্ত চিন্তা অর্থ যদি হয় ধর্মকে আক্রমন করে লেখা,তাতে এমি একমত নই
লেখার স্বাধীনতা মানে এই নয় যে আমার লেখায় আপনাকে আহত করা বা অপমান করা।
আগুনে ঝাঁপ দিলে শরীর পুড়ে যাবে
এ কারনে আমরা আগুনে ঝাঁপ দেই না।
স্থান কাল পাত্র একজন শিক্ষিত মানুষের বিবেচনা করা উচিৎ
সেটাই যদি করতে না পারে,তবে তার শিক্ষায় ঘাটতি আছে ধরে নিতে হবে।
আমার মন্তব্যে একথা বুঝবেন না যে চাপাতির কোপকে আমি বৈধতা দিচ্ছি
ঐ সব চাপাতি ওয়ালারা দেশকে অন্ধকারে নিতে চায় এটা আমি বুঝি।
শুভ কামনা।
স্বদেশী যোদ্ধা
জিসান ভাই , ধর্মকে কটাক্ষ করে কোন লেখা আমি নিজেওও অসমর্থন করি । যারা ধর্ম নিয়ে বিরুদ্ধাচন করে তারা একধরনের অপরাধী সেটাও আমি মানি । কিন্তু তাদেরকে কুপিয়ে মারাটাকে আমি সমর্থন করতে পারিনা ।
আমি যদি মহাভারতের ইতিহাস দেখি তবে দেখা যায় । সেখানে একজন গদাধারীর বিরুদ্ধে একজন গদাধারী ,একজন ধনুকধারীর বিরুদ্ধে একজন ধনুকধারী যুদ্ধ করেছেন । তাই আমি বিশ্বাস করি যোদ্ধা যদি কলমধারী হয় তবে তার বিরুদ্ধে একজন কলমধারীই যুদ্ধে নামা উচিত তবে কোনো চাপাতীধারী নয় ।
সঞ্জয় কুমার
লেখার সাথে সম্পূর্ণ সহমত ।।
স্বদেশী যোদ্ধা
ধন্যবাদ । আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো ।
শুন্য শুন্যালয়
ভালো লিখেছেন। যদিও জানিনা আদৌ কোনদিন এমন মুক্তচিন্তকদের গ্রহণ করার পরিবেশ আমাদের দেশে তৈরি হবে কিনা।যেকোন কিছুরই পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিক যেমন থাকে, তেমনি কোন মতবাদ কেউ পজিটিভলি, কেউ নেগেটিভলি নেবেই। আপনি যেরকম পরিবেশের কথা বলছেন, সেরকম আদৌ হবে বলে মনে করিনা। ইমন এবং জিসান ভাইয়ার মন্তব্য ভালো লেগেছে।
স্বদেশী যোদ্ধা
হ্যাঁ , আদৌ সেই পরিবেশ সৃষ্টি হবে কিনা সেইটা নিয়ে আমিও সন্দিহান । তারপরও আশায় বুক বাঁধি ।
ব্লগার সজীব
মুক্ত চিন্তার মানুষদের অবস্থা বুঝে পথ পারি দিতে হবে।
স্বদেশী যোদ্ধা
ঠিক ঠিক ।