একদিন ঠিক অভিমান করব, ইশ্বরের নির্লিপ্তির মুখোশ উন্মোচিত হবে যেদিন। যেদিন তুমি এসে সামনে দাঁড়াবে, অথবা দাড়াবেনা। চলে যাবে নির্বিকার, সেদিন ঠিক অভিমান করব।
ভেসে যেতে যেতে যদি থামতে ইচ্ছে হয় ,তবে নাহয় থেমো যে কোন ঘাটে। না ঘাট খুজতে হবেনা, যেখানে থামাবে তরী সেইখানে গড়ে দেবো নতুন বন্দর; নতুন সভ্যতা । আমাদের নতুন পৃথিবীতে আমাদের নিয়মে চলবে সব, হৃদয়ের উষ্ণতায় মাপা হবে সবকিছু, ভালোবাসার ফসলেরা কলরোলে মুখরিত করে রাখবে যাবতীয় দুঃখবোধ। দিনের আলোয় চাষবাস ছেরে আসা যাযাবর জীবনের মতো। রাত্তিরে উৎসব,আগুনের আলোয়।আমরা জীবন কাটাবো আদিম মানবের।
যেদিন উঠবে পূর্ণ চন্দ্র, ট্রাভেলারস মুন সেদিন আমরা বেড়িয়ে পরব পুরানো আবাস ছেরে খুজে নেব নতুন বসতি।জগতের আনন্দযজ্ঞের পূর্ণ নিমন্ত্রণ সেখানে।প্রতিটি সন্ধ্যায় ক্যাম্প ফায়ারের পাশে তোমাকে সাজাবো ঈশ্বরী সাজে। অনন্ত জীবনের আগুনে পুড়িয়ে খাটি জীবন।
তারপরেও যদি খোলস ছারতে ইচ্ছে না হয়, তবে সব ভাসিয়ে দিয়ে নেমে যেও জলে। অথবা পূর্বজন্মের স্মৃতিতে তন্ময় হয়ে থেকো একেবারে। আমি ঠিক খুজে নেব পথ, যদিও জানি ততদিনে পথের রেখাও ঢেকে যাবে ঘাসে। তবুও ভরসা আছে অভ্যস্ত পায়ের ওপর। যাযাবরের পা তাকে ভুল ঠিকানায় নিয়ে গেলেও পরিচিত পথ খুজে নিতে ভুল করবে না। ততদিনে যদি জন্মায় মায়া, কি আসে যায়। ক্ষণিকের দুঃখবোধ হয়েই নাহয় রইল।
এখনো গোধূলি ও জোছনায় আমি বসি, সেও বসে।
আমি বসে থাকি একাকী আর সে, অন্য যুবকের পাশে।
মানুষের আসলে নিজেরই জানা নেই সে কি চায়, কেন চায়? কারনটাও বোধগম্য, তার আসলে নিজের ব্যাপারে স্বছ ধারনাই নেই। প্রেমে অথবা অপ্রেমে সাধনা, এবং যুগপৎ ঈর্ষাক্রান্ত মানুষের সাধনা কেবলি তার নিজেকে ছারিয়ে যাওয়ার, কেবলি অতৃপ্তির। তবু মানুষের আশা তার নিজের থেকেও বড়। আশা যতদিন আছে ততদিন অভিমান থাকবেই, থাকবেই জারুল গাছের নীচে একা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া।
আগলে জনম মোহে …… আগলে জনম 🙂
কবিতাংশ – জাকিরদা
৩২টি মন্তব্য
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
বেশ ভালো। মুক্তগদ্য বলা যায় সম্পুর্নরুপেই এই একান্ত অনুভুতি গুলোকে।
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাঙ্কিউ 🙂
বাট ইউ নো আইম নট বার্সা সাপোরটার 🙁 দ্যাট ইজ ব্রাছিলনা 😀 মিনস মুক্ত ডাজন্ট লাইক ইট একান্ত অনুভুতি সাউন্ডস লাভ্লী (3
জিসান শা ইকরাম
এত সবের পরে সে অভিমান করার সুযোগ দেবে আপনাকে ?
শেষের লাইন গুলো পড়ে এলোমেলো হয়ে গেলাম
কেন মানুষের অপূর্নতা?
কি চায় আসলে মানুষ?
কোন মানুষটা পরিপুর্ন ?
আগুন রঙের শিমুল
কষ্ট কল্পনা দাদা 🙂
উইশফুল থিংকিং কইতে পারলে খুশী হইতাম যদিও, বাট ইউ নো এভ্রিথিং 🙂 দ্যা ওয়ার ইজ লস্ট
প্রহেলিকা
দিনের শ্রেষ্ঠ পাঠ, সার্বজনীন অনুভূতিকে তুলে আনা বেশ কঠিন হলেও তুলে আনতে পেরেছেন হ্যা আপনি পেরেছেন নির্দ্বিধায় বলছি প্রিয় সাইদ ভাই। মানুষের মাঝে সব সময়ই কিছু না কিছুর অপ্রাপ্তিবোধ কাজ করে আর সেই অপ্রাপ্তির আকুলতা, অনুভূতি প্রাপ্তিতেই বিনষ্ট হয়ে যায়। প্রাপ্তির জন্য যতটুকু আকুলতা দেখা যায় ততটুকু কিন্তু প্রাপ্তি লগ্নে আনন্দের মাঝে পরিলক্ষিত হয় না কারণ তখন সবাই নূতন কিছুর পিছনে দৌড়ায়। বেশ ভালো একটি লেখা। অভিনন্দন জানুন প্রিয় সাইদ ভাই।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ প্রিয় প্রহেলিকা 🙂
দুঃখবোধ সার্বজনীনই এইটা তুইলা আনায় কৃতিত্ব নাই ডিয়ার, কারন সব মানুষেই কষ্ট পাইলে একই রকম কইরা কান্দে। কৃতিত্ব দিবো আমি আপনাকে – যে সতত আশার বানী শুনায়ে যায় 🙂
যা দেবী সর্বভুতে 🙂
প্রহেলিকা
না প্রিয় সাইদ ভাই তারপরও বলতে ইচ্ছে করে ভিন্ন কিছু মানুষ থেকেই যায় যারা দুঃখেও হাসতে পারে হোক তা অভিনয়ের। একেকজনের সুখ প্রকাশের ভঙ্গি যেমন একেকরকম তেমনি দুঃখবোধও। আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বড় হলো চোখেরও চোখ থাকা লাগে তাহলে সব কিছুই তুলে আনা যায় যেমন আপনি পেরেছেন। অনেকেরইতো দেখি ব্যাথা পায় ঘরে কান্দে হাটে এসে কই তারাতো পারে না সব তুলে আনতে হোক তা দুঃখবোধ।
আগুন রঙের শিমুল
হাট > বাজার
বাজারে আইসা কান্দে বাজারী পাব্লিক 🙂 তাদের সুখ দুঃখ দুইটার বাজারী ,খেলো।
তাদের নিয়া আমার মাথা ব্যথা নাই, জানি আপনারও নাই। থাকার কথাও না – অনুভবের আর বর্ণনার মাঝে বাজারী সুখ দুঃখের জন্য স্পেস নাই আসলে 🙂 অইজে বারোয়ারী তাবুর কানাতের নীচে নাচনেওয়ালির দেখা মেলে, কিন্ত নববধূর মুখ দেখতে চাই পঞ্চপ্রদীপের আলো আর শাঁখ বেনারসীর যুগলবন্দী 🙂
প্রহেলিকা
মাথা ব্যাথা আমাদের থাকার কথা নয় ভাইয়া, তুলনাতো চলেই না। বাজার বাজারই। দারুন কৈছেন এইবার এই হচ্ছে ভেদাভেদ আর এই ভেদাভেদকে মেনে নিতে হবে সব ভেদবিদদেরও। কিছু ভেদাভেদ খুব প্রয়োজন মনে হয়। গোপন সুত্রে সংবাদ প্রিয় সাইদ ভাই কোথাও মন্তব্য করতে গেলে নাকি নূতন একটি লেখার অনুষঙ্গও পেয়ে যায়। কয়েকবার নজরে আসছে মন্তব্য করতে গিয়া নূতন লেখা লিখেছেন।
আগুন রঙের শিমুল
হাহাহাহা , মন্তব্য করতে গেলে অনেক নতুন ভাবনা মাথায় আসে তাই লিখি, এইটার কারন হচ্ছে আমি জাত লেখক না। পড়ে লিখি, আপনাদের ভাবনা পড়ার পর নতুন ভাবনা আসে। দ্যাট ইজ যেদিন পড়া বন্ধ সেইদিন লেখাও বন্ধ 🙁
শুন্য শুন্যালয়
মানুষের নিজের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারনাই নেই, সত্যি বলেছেন। নিজের নিয়মে গড়া পৃথিবী অন্যের নিয়মে গড়া পৃথিবীর সাথে মেলে না যে..
আশা যতদিন আছে ততদিন অভিমান থাকবেই, থাকবেই জারুল গাছের নীচে একা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া..ভীষণ সুন্দর আর অভিমানী লাইন।
আগুন রঙের শিমুল
আহ , শুন্য 🙂
সত্যি বলতে লেখা পাবলিশ করার পর যে কয়জনের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি তার একজন আপনি 🙂 আর আমার জমজ ভাইয়ের নাম দুঃখ, সে নিয়ত জারুল গাছের নীচে বৃষ্টিতে ভিজে যায় 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ইটস এন অনার ফর মি।
ডাইজাইগটিক টুইন হলে ভিন্ন ভিন্ন বিশিষ্টের হতে পারে, হলেই ভালো। মাঝে মাঝে তাকে একটু সমবেদনা জানিয়ে আসুন। 🙂
আগুন রঙের শিমুল
তথাস্তু 🙂
মাহামুদ
প্রাপ্তিবোধ কখনোই কোন মানুষের শেষ হয়না বোধহয়…
আগুন রঙের শিমুল
হ, প্রকৃতির প্রতিশোধ 🙁
নওশিন মিশু
মানুষের আসলে নিজেরই স্বছ ধারনাই নেই। চিরন্তন সত্যি ….
আগুন রঙের শিমুল
অথচ মানুষের নিজেকে নিয়ে কত গর্ব – কত স্বপ্ন , কত কি
ছাইরাছ হেলাল
ঈশ্বরী প্রাপ্তির আশাবাদিতা প্রেমের গহীনে বা গহীন প্রেমে, আর তা যদি হয় শ্বাশত ,
তাহলে তো কথাই নেই।
আমরা কি অপেক্ষা করব?
আগুন রঙের শিমুল
প্রেমে বা অপ্রেমে অপেক্ষাই জীবন।
অপ্রেমের সাধনায় যায় বেলা – তৃষ্ণাবুকে বসে থাকা জলের কিনারে। ছোঁয়া হয়না জল অহংকারে 🙂
বনলতা সেন
এখনই করুন সেই অভিমান।দেরি করা ঠিক না।
অভিমান থেকে যদি বেশি কিছু হয় তাহলে অভিমানই ভাল
আগুন রঙের শিমুল
এই সত্যবদ্ধ অভিমানের
এই নির্বাক সময় –
এই অবারিত দুঃখবোধ
ছুঁয়ে যায় গগন ললাট নিশিদিন।
এই ক্লান্ত অস্থির হাত, এ ছুঁতে পারেনি তোমাকে
তাই এ হাত করে যায় পাপ অসূয়া; দ্বিধাহীন । 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
আমি ভীষন রকম আশাবাদী মানুষ। তাই শেষ লাইগুলোতে বেশি বেশি ভালোলাগা রেখে গেলাম। শুভকামনা নিরন্তর
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ ব্রাদার 🙂
খেয়ালী মেয়ে
আশা যতদিন আছে অভিমানও ততদিন থাকবে–আর ভালোবাসা যেখানে একটু বেশী অভিমানও সেখানে একটু বেশীই হয় 🙂
আগুন রঙের শিমুল
ভালোবাসা যেইখানে একেবারে নেই সেইখানে অভিমান , কাকচক্ষু জল আর ধোঁয়াশার মেঘ 🙂
ব্লগার সজীব
আমি তো অভিমান করেই আছি :p ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আগুন রঙের শিমুল
তাইলে তো আপনে ভালোবাসায় ডুবে আছেন সজীব , অভিনন্দন (3
খসড়া
চল ভাই দিন তারিখ ঠিক করে দু জনে মিলে একসাথে অভিনাম করি। একতাই বল ,কি বল। :p
আগুন রঙের শিমুল
বিভিন্ন মানুষের ভিন্নতর দুঃখবোধ, জলের একই রঙ – চোখের জলের। তাইলে চলেন – একতাই বল B|
নুসরাত মৌরিন
“মানুষের আসলে নিজেরই জানা নেই সে কি চায়, কেন চায়? কারনটাও বোধগম্য, তার আসলে নিজের ব্যাপারে স্বছ ধারনাই নেই। প্রেমে অথবা অপ্রেমে সাধনা, এবং যুগপৎ ঈর্ষাক্রান্ত মানুষের সাধনা কেবলি তার নিজেকে ছারিয়ে যাওয়ার, কেবলি অতৃপ্তির। তবু মানুষের আশা তার নিজের থেকেও বড়। আশা যতদিন আছে ততদিন অভিমান থাকবেই, থাকবেই জারুল গাছের নীচে একা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া”।
দারুন… দারুন… এবং দারুন!! (y) (y) (y)
যতদিন আশা থাকবে অভিমান থাকবেই…।সবচেয়ে বড় অভিমান বোধ হয় হয় নিজের সাথেই…।
খুব বেশি ভাল লাগলো লেখাটি।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ নুসরাত 🙂