যদি তোমার হাত কেটে ফেলা হয়।
যদি খনার পুনরাবৃত্তি হয় আদালতের রায়।
যদি দৃষ্টি কেঁড়ে নেয়া হয়।
যদি অপারেশন সার্চ লাইট চলে তোমার কলিজায় ।
তবুও তুমি থেমো না।
যমদূতের কাঁধে ভর দিয়ে হলেও
লিখে যেয়ো একটি কবিতা।
মুক্তিকামী মানুষের কবিতা।
ঘামে ভেজা শ্রমিকের কবিতা।
কাঁধে শিশু নিয়ে ইট ভাঙা মায়ের কবিতা।
বাসে নিষ্পেষিত হওয়া প্রাণ আমার বোনের কবিতা।
কবি তুমি থেমোনা।
যদি কলমের কালি শেষ হয়ে যায়,
বুক ফেড়ে রক্ত নিয়ে লাল বর্ণে লিখে যেয়ো-
❝হে শাসক তোর হাঙরের দাঁত আমার পায়ের
জুতো দিয়ে পিষ্ট হবে। জনতা জাগবে।❞
লাঙল-জোয়াল দিয়ে যে কৃষক মাটি ছিঁড়ে শস্য ফলায় সেও একদিন তোর বুক ছিঁড়ে কলিজা
বের করে ছুঁড়ে ফেলে দিবে ময়লার ভাগাড়ে,
তুই প্রস্তুত হ। সময় তোকে ক্ষমা করবে না।”
দূর সমুদ্রে শোনা যায় শোষিতের স্লোগান,
ওরা আসছে ভেঙে ফেলবে পাঁজরের হাড়।
ঘুড়িয়ে দিবে অট্টালিকা,রাজকীয় ভূষণ।
আগুনে পুড়ে হবে অন্ধকার সব ছাড়খার।
কবি তুমি থেমো না।
তোমার কলম হোক বিষমাখা তীর।
তোমার হাত হোক ইস্পাতে মোড়ানো।
তোমার দৃষ্টি হোক শকুনের মতো স্থির।।
তোমার একটি কবিতার অপেক্ষায়
কতো কাল থেমে গেছে বাঁশির সুর।
কতো চোখ জলে হয়েছে নদী।
কতো স্বপ্ন আজ ধরেছে শ্মশানের ভূষণ।
কতো প্রেম নিথর হয়ে পড়ে আছে রাস্তায়।
কবি, একটি কবিতা লিখো…
তোমার একটি কবিতা জাগিয়ে তুলোক
ঘুমন্ত আলোক ভোর।
জেগে উঠুক মৃতপ্রায় মানুষের কন্ঠনালী।
ধ্বনিত হোক বজ্র কন্ঠ সুর দূর হতে বহুদূর।
কবি,
একটি কবিতা লিখো।
৫টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এমন কবিতা রচিত হোক । কবিতায় বিরহের দ্রোহ খুঁজে পেলাম। চমৎকার লিখেছেন। কবির জন্য অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন।
আরজু মুক্তা
কবির কলম সদা জাগ্রত থাকুক।
শুভ কামনা
রোকসানা খন্দকার রুকু
চলতে থাকুক কবিতা। কবির জন্য শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
কবি ও কলমের মিলনে সৃষ্টি হোক নতুন নতুন কাব্য। শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
যমদূতের কাঁধে ভর দিয়ে হলেও
লিখে যেয়ো একটি কবিতা।