১-
ঝিমিয়ে পড়া রাত্তির জানে কোথাও ছুটছে নক্ষত্রের ছুটে চলা।
জেগে থাকা পাপড়ি জানে কখন ফুটবে আলপিনের আগায় একটাই পৃথিবীর সুর্য। নির্ঘুম চোখের পাপড়ি জানে কোন শিশিরের অপেক্ষায় কেটেছে চক্রযানের চরে রাত। প্রতিশব্দের প্রতিটি অক্ষরে লিপিবদ্ধতায় গেঁথে যাওয়া কিছু প্রশ্নাতীত বন্ধন, দম নিতে থাকে প্রথম ঝড়ের আগমুহুর্তে! দুর্বোধ্যতার প্রাচীরে গাঁথা হয়ে যায় নিঝুম বনের স্বাক্ষর।
উপমায়িত শব্দের পিঠে ভর করে করে জলাঙ্গী ঢেউ তোলে নিস্তরঙ্গ বিতর্কিত মোহনার নাম পেতে।
২–
লুটিয়ে পড়া মেঘের আঘাতে পাহাড়ের বুক ভেজে ব্যস্ত নাগরিক, জঙ্গল ভেজে পয়লা ঝড়বৃষ্টির শুভাগমনে।
চুপসে থাকে ভিজে দাঁড়কাক ; ফেরিওয়ালার হাঁকডাক! মেঘ পাহাড়ের সন্ধিক্ষণ!
ঋতু বদলে যায়, চলে সান্ধ্য বাতির নিমন্ত্রণ
ফিসফিস করে ল্যাম্পপোস্টের তারে ফিঙে পাখির সুর বাজে- কান্নার জল ধুয়ে নেয় আসন্ন বৈশাখী ঝড়!
রাস্তার উপরেই উনুনের আঁচে জ্যান্ত মাছের টুকরো
মৃতদের করে উপহাস।
টেবিলে রাখা পানির বোতল কমে যেতে থাকে তৃষিতের গলায়।
অসমাপ্ত উত্তরের কাছে ঘড়ির কাঁটা ঘুরে যেতে যেতে বলে যায়
তবুও, – আজ ভীষণ ভালো আছি—–
১৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
দু’খানার উত্তর ক্যামনে দেই।
আর এক খানার উত্তর দিতে চাইলে কোন্ খানা তা? সে তো ভেবে কুলে যেতে পারছি না।
তবুও কাব্য বলে কথা, এড়িয়ে-বেড়িয়ে যাওয়া তো ঠিক না!!
জোড়ে বলেন ঠিক না বেঠিক!
রোকসানা খন্দকার রুকু
জোড়ে বলেন ঠিক না বেঠিক!***
হা হা হা এই গরমে ওয়াজ!
বন্যা লিপি
ক্যান যে কাব্য লিখি? ধুর ; বাদ দেন কাব্যের ভাবাভাবি। উত্তর লাগবে না কোনোডার। আউলাঝাউলা কথার আবার উত্তর হয় নাকি?
মহারাজের কথা বেঠিক হবার সাহস কই? ওয়াজ টোয়াজ বাদ। এহন থিক্কা আর লিখুম না, সত্য কইতাছি। আর লিখুম না। লেখাজোকা আমার কম্ম না বুইজালাইছি।
ছাইরাছ হেলাল
সময়ের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরন্তর স্বপ্ন দেখি……………..
বন্যা লিপি
কেউ বললো / না, আমায় আশির্বাদ করলো, জীবন গল্পের মত না হোক!….. আমি বলি -” আমি গল্পেই খুুঁজি জীবন।
সময়ের প্লেটে ভাত বেড়ে দেবার অজুহাতে আমি দেখি আমার শুন্য করতল! বলয় শুন্য মানবের সঙ্গী হব ভেবে রাস্তা মাপছি নিরন্তর!
পপি তালুকদার
ঋতু বদলে যায় বদলে যায় প্রকৃতি মানুষ তার চিরাচরিত ধারা বদলায় না। অন্যের কষ্ট দেখে আনন্দিত হয় তাদের হৃদয়।অনেক উত্তর অজানা থেকে যায় সময়ের কাছে। আর এভাবে চলে যায় অনন্তকাল………
তবু বলি ভালো আছি, ভালো থেকো……….….
বন্যা লিপি
তবু বলি…. আজ ভীষণ ভালো আছি” এই বলতে পারাটা যে কতখানি জোড়ের! যে মুখ থেকে উচ্চারিত হয়….শুধু সেই বলতে পারে কতটা গরল মিশেলে বলা যায়……ভালো আছি…..
আরজু মুক্তা
ঘুণে ধরা টেবিলের উপর শুয়ে থাকা আমিও এক পক্ষঘাত গ্রস্থ মানুষ। দিন শেষে আমিও বলি ” ভালো আছি!”
বন্যা লিপি
অযাচিত চাওয়ার কোলে মাথে পেতে দিয়ে বলে উঠি’ এ আমি কেমন আমি
আদর পেলে কেঁদে উঠি
কষ্ট পেলে ভালো থাকি!
বদলে নিলে সহজ পথ
বাঁকা পথেই শান্তি খুঁজি!
পঙ্গু হয়েও দৌঁড়ে বেড়াই
মাপতে থাকি জগতটাই!
চোখের খুলে রেখে
অন্ধকারেই আলো জ্বালাই!
তবু বলি — এই তো আছি ভীষণ ভালো…….
বন্যা লিপি
#চোখের আলো খুলে রেখে”
খাদিজাতুল কুবরা
“রাস্তার উপরেই উনুনের আঁচে জ্যান্ত মাছের টুকরো
মৃতদের করে উপহাস।”
উপহাস হাসফাস দীর্ঘশ্বাস স্বত্তেও ভালো থাকার চেষ্টা প্রচেষ্টার নামই হয়তো জীবন ।
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় আপু।
বন্যা লিপি
” জীবনরে…. তোর ছোঁয়াতে
মন রাঙাতে এত আয়োজন
রাত আসে
আসে দিন
রাত চলে যায়…..
তবু ভালোইত আছি এভাবেও
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালো থাকতেই সব! সব ভালো নিয়েই ভালো থাকার শর্ত পুরণ।
এতো এতো দেখার ভীরে ঘরে ফেরা কখনো কি থেমে রয়! চোখের পলক কি আটকে রয় অবাক বিস্ময় শেষে!
বন্যা লিপি
কলমের খোঁচায় শুধু লেখা রয়
দেখা অ-দেখার দৃশ্যায়তন….
ঘরে ফেরা না ফেরার তাগিদ জেগে রয় জীবনের নিয়মতান্ত্রিক নিয়মে
এইসব চলতেই থাকর বুমেরাং এর মত……ভালো আছি এইতো!!
মনিরুজ্জামান অনিক
অসম্ভব ঘোর লাগা একটা কবিতা পড়লাম।
আরো কয়েকবার পড়তে হবে কবিতাটি।
কয়েকবার পড়েছি কিছু যায়গায় আটকে গেছি
বুঝতে পারছিনা কোনদিকে যাবো। চোখ বন্ধ করে কবিতাটি উপলব্ধি করছি – হয়ে যাচ্ছি জ্যান্ত মাছ, দাঁড়কাক, কিংবা পানির বোতল।।
সু-প্রভাত🍵
শুভকামনা রইলো।
বন্যা লিপি
বোঝাবুঝি ছেড়ে দিন বেশি কষ্ট হলে, চোখ বন্ধ করে উপলব্ধিটুকু আঁকরে রাখুন। লেখা সার্থকতা পাবে তাতে।
শুভ বিকেল
শুভ কামনা