যদি পাহাড় হতাম, অঝোর বৃষ্টিতে একা একা ভিজতাম
ইচ্ছে হলে ঝরনাধারা হয়ে নিচের দিকে ঝাপিয়ে পড়তাম
কলকল করে এগিয়ে গিয়ে নদীতে নিজেকে বিলিয়ে দিতাম
স্রোতস্বিনী নদী আমাকে বয়ে নিয়ে যেতো, ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেতাম প্রতিটি কুল
পথ ঘাট, বন্দর কতো কিছুই না ছুঁয়ে যেতাম ,কোনো বাধা মানতামনা
একসময় দূর থেকে সাগর দেখে উদ্দীপিত হতাম
ছুটে গিয়ে সাগরকে ছুঁয়ে সাগরেই আত্মাহুতি দিতাম নিজেকে, সেকি আনন্দই না হতো।
যদি বৃষ্টি হতাম, টিনের চালের ঐ বাড়ীটিতে টুংটাং শব্দে ঝরে পড়তাম
টিনের চাল আর আমি মিলে একটা অনন্য সুর ভাজতাম
গাছের ঢালে ভেজা কাকটাকে গান শুনাতাম, সে তন্ময় হয়ে শুনতো মোদের গান
বাড়ীর ছেলে বুড়োরাও শুনতো আমাদের টুংটাং রিমঝিম গান
একসময় ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়ে আত্মাহুতি দিতাম এই ধরিত্রীতে, সেকি আনন্দই না হতো।।
৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
একান্ত অনুভুতি ভাল লেগেছে।
সব কিছু হয়ে লেখুন, যেমন ঝর্না হয়ে লিখতে পারেন 🙂
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাইজান সুন্দর মন্তব্যের জন্য, সাথে ঈদ মুবারক
ছাইরাছ হেলাল
বৃষ্টির দিন কিন্তু শেষ হয়নি,
হুতি-ফুতি দেয়ার যথেষ্ঠ টাইম হাতে আছে,
তবে তা একলা না জোর বেঁধে তা কিন্তু লেখায় ক্লিয়ার না, ভাই।
আহারে আমাদের যে কী হবে!! পিছামারা বৃষ্টি কোনহানকার!!
ইঞ্জা
:D) পিছামারা বৃষ্টি :D)
গানটা আপাতত একলাই ধরেছি 😀
ধন্যবাদ 🙂
ব্লগার সজীব
ভাল লেগেছে কবিতা। ঈদ মোবারক ভাইয়া -{@ কেমন আছেন? 🙂
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, ঈদ মুবারক, আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন?
মৌনতা রিতু
পড়েছিলাম আগেই। এখানে মন্তব্য করা হয় নাই।
আমার ভাইজু সব কিছুতেই পারদর্শী। গল্প লেখা, সমসাময়ীক লেখা, আবার কবিতাও। ভাইজু, গল্প লেখার চেষ্টা করি কিন্তু পারি না।
আসলেই সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয় না।
ভাল থাকবেন ভাইজু। আর একটা গল্প চলুক।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, আপনি যা পারেন এই ব্লগের কেউ তা পারেননা, সত্যিকারের ব্লগ লেখা আপনিই আমাদের শেখচ্ছেন আপু, আপনার লেখার কল অনন্য অসাধারণ, লিখে যান আপু, পাশে আছি।