215px-Tareque_Masud_Sylপ্রতি বছরের ন্যায় আবারও আসছে মুসলমানদের সব চেয়ে বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর।দীর্ঘ একটি মাস আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সংযম সাধনের পর আসে ঈদ উৎসব।এই ঈদ উৎসবে যোগ দিতে নাড়ীর টানে বাড়ী ফিরেন শহর নগরে কর্মরত দূর দূরান্তের অধিবাসীরা।ঈদের ছুটিতে বাড়ী ফিরতে হবে মা বাবা ভাই বোন পরিবার পরিজনের সাথে আনন্দ ভাগ বাটোয়ারা করতে,অনেকে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াতের বাহনগুলোর মাঝে উঠেন।আনন্দ আর স্বজনদের মিলনের সুখে ভূলে যান নিজের জীবনের নিরাপত্তা।

-স্যার,একটা টাহা দিবেন।
-কি রে তুই আবার আইছস,তোরে না সে সময় দশ টাকা দিলাম।
-কহন স্যার?
-ভোর বেলায়!
-এহনতো স্যার সন্ধ্যা,আপনি স্যার অহনো এখানেই ।
-কি জানিরে ভাই,আমার পরে যারা এলো তারাতো অন্য লাইনে টিকেট কেটে চলে গেল।।
-সব টিকেট ব্লাক হয়ে গেছে আপনে পাইবেন কৈ?তয় আমার জানা  একজন আছে হের  কাছে যাইতে পারেন।
-কই পাবো তাকে?
-আমি ডেকে আনছি আপনি কথা বইলেন….
দশ পনের মিনিট পর ছেলেটি তার কাছে এলেন।
-কি রে তোর  লোক কই?
-স্যার আর কইয়েন না সালার মামুগো জ্বালায় আর বাচি না।
-মামু সে তোর মামা নাকি
-আরে না স্যার এই মামু হেই আসল মামু না…..পুলিশ মামু,ওদের লাইগ্গাতো টিকিটের লোকটা আইল না।
-তবে এখন কি হবে?টিকেট পাবো না?
অবাক হন শহরের কর্পোরেট অফিসারটি।গত বার কোরবানী ঈদে তার বাড়ীতে যাওয়া হয়নি এবার তার যেতেই হবে  কত কিছছুতো সে কিনেছেন দুইটি বড় ব্যাগ ভর্তি তার ঈদের কেনা কাটা।।টিকেট না পাওয়াতে তার সব  স্বপ্ন আশা সব ভেস্তে যেতে চলছে টিকেটের লাইনের মাঝে।আবারও ছেলেটিকে অনেক মিনতি করে জিজ্ঞাসা করছেন।
-তোমারে কিছু দিমুনে আমারে একটা টিকেটের ব্যাবস্থা করে দাও।
-ঠিক আছে তয় আমার লগে আহেন,ঐ লোকটি ঐতো ঐ খানে আছেন।
দুই তিনটি ব্যাগ হেচড়ে টেনে কোন মতে ছেলেটির পিছন পিছন ছুটে চলছেন কিছু দূর যেতেই ছেলেটি থামল।
-কি ব্যাপার আর কত দূর?
-ঐতো এসে গেছি,তয়  স্যার আপনার এত জিনিস পত্রের ব্যাগ নিয়ে ওখানে যাওয়া যাবে না লোকে বুঝে ফেলবে।বরং আপনি একা ঐ  গল্লিতে গেলে সাধু সন্ন্যাসির পোষাকে তার সামনে গেলেই বুঝতে পেরে আপনাকে ডাক দিবে,ঠিক আছে।আমি এখানে,,,,এই যে এই দোকানটার কাছে আপনার ব্যাগগুলা নিয়া বসলাম।
সাহেব একটু ইতস্তঃ করছেন ঠিক সে সময় পাশে দোকানে দাড়ানো আর এক ভদ্র লোক দাড়িয়ে চা পান করছেন সেও তাকে অভয় দিলেন।
-সমস্যা নেই আমরাতো এখানে আছি, আপনি যান নতুবা দেরী হয়ে গেলে টিকেট আজ নাও পেতে পারেন।
লোকটি সরল মনে ছেলেটির কাছে ব্যাগগুলো দিয়ে চলে গেলেন গল্লির ভিতর।এই গল্লি সেই গল্লি ঘুড়তে ঘুড়তে শরিরের ঘাম কপাল বেয়ে পড়ছে তবুও কোন লোকের দেখা পেলেন না।
বাটপারের খপ্পড়ে পড়েছেন বুঝতে পেরে তার ব্রেনের সবগুলো তার ছিড়ে যায়,হাত পা অবস হয়ে আসে যেন আর চলতে পারছেন না।কোন মতো দোকানটির সামনে এসে দেখেন সব ফাকা শুধু চা দোকানদার বসে কি যেন হিসাব করছে।সে তার সামনে এসে মুখ বরাবর মুখ ঘেষে জিজ্ঞাসা করেন।
-এই যে ভাই ঐ লোকগুলো কই?আমার ব্যাগগুলো কই?
দোকানদারকে প্রশ্ন করাতে দোকানদারের উত্তর শুনে সেখানেই সে ফিট হয়ে গেলেন।
-কোন লোক?কি নাম?
(y) সাবধা্ন!!!সাবধা্ন!!!সাবধা্ন!!!যাত্রা পথে অপরিচিত কোন লোকদের সাথে কথা বললেও কোন কাজে নিজেকে জড়াবেন না
(y) সাবধা্ন!!!সাবধা্ন!!!সাবধা্ন!!!যাত্রা পথে অপরিচিত লোকের নিকট হতে কোন কিছু খাবেন না
(y) সাবধা্ন!!!সাবধা্ন!!!সাবধা্ন!!!যাত্রা পথে কোন অবস্থাতেই অপরিচিত কারো সাহায্য করবেন না অথবা সাহায্য নিবেন না তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
(y) সাবধানে পথ চলুন নিজেকে জীবিত রাখুন,পরিবারের জন্য আপনার প্রয়োজন অপরিহার্য্য।

vbugugবাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি উৎসবে বাড়ী ফেরা আসার পথে দূর্ঘটনা ঘটে থাকে তার মধ্যে লঞ্চ ডুবিই বেশী ঝুকি পূর্ণ।দেশে প্রায় আড়াইশটি চৌচলা লঞ্চ তিনশটি ছোট মাঝারি লঞ্চ রহিয়াছে যা কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে নদী পথে যাতায়াত করে থাকে তার মধ্যে বেশীর ভাগই ভঙ্গুর জোড়াতালি দেয়া।লঞ্চগুলোকে দেখলে বসনিয়ার সার কঙ্কাল অসহায় মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে।এ সব লঞ্চগুলোর কারনে প্রায় উৎসবে শত শত লোকের মৃত্যু ঘটে।
বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এআরসি) গবেষণা অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় ৩৫ হাজার।

বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার যান বাহনে মৃত্যুর হার প্রায় ৮৫ দশমিক ৬। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ছাড়াও আহত ও স্থায়ী ভাবে পঙ্গুত্ব বরণের হারও অনেকাংশে কম নয়।

rtyfনিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছিলেন,২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনয় মোট ৬ হাজার ৫৮২ জন নিহত হয়। আগের বছর নিহতের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ১৬২। এক বছরের ব্যবধানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৪২ জন বা ২৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাসড়কে রিকশা, ভ্যান, নসিমন ও সিএনজি অটোরিকশার মতো ছোট যান চলাচলের কারণে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক ও দুজনের অধিক চলা চলের কারণে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রতি দিনই বাড়ছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেছিলেন, সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত আইন অনেক দুর্বল যা আছে তারও যথাযথ প্রয়োগ নেই যা বর্তমান কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে তার সত্যতা পাওয়া যায়।

-{@ বিষেজ্ঞ ব্যাক্তিদের মতে,
(y) যুগপোযোগী আইনের অভাব,
(y) অপরিকল্পিত সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ,
(y) সড়ক-মহা সড়ক গুলোর পাশে হাট-বাজার,
(y) পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার অভাব,
(y) অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো,
(y) বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা,
(y) ক্রটিপূর্ণ যানবাহন ব্যবহার,
(y) সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত বাঁক,
(y) ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ,
(y) হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো
(y) ও চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা
(y) লঞ্চ মালিকদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ঘুষের বানিজ্যে প্রায় প্রতিটি উৎসবে ত্রুটিপূরণ লঞ্চগুলোকে চলাচলের পারমিসন দেয়া।
(y) সরকারী কর্ম কর্তাদের দায়ীত্তের প্রতি অবহেলা রাতারাতি কোটি পতি বণে যওয়া।
ইত্যাদির কারনে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা এবং অকালেই হারাচ্ছি দেশ বরেণ্য প্রতিভাবানদের।লঞ্চের ছাদে যাত্রী উঠবেই…..লঞ্চ মালিক সমিতি এমন সিদ্ধান্তকে সরকার কি ভাবে মেনে নিয়েছিলে তা আমাদের বোধগম্য নয় ?অবশ্য তাদেরও রয়েছে সরকারী কর্ম কর্তা বি আই ডব্লিউটি এর প্রতি মালিকদের বিশাল অভিযোগ

এ বিষয়ের উপর সোনেলায় আমার অন্যান্য পোষ্ট….
বাড়ী ফেরা হল না তার
সড়ক যানবাহন এবং অকাল মৃত্যু
@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@

“সবাই মিলে ঐক্য গড়ি
সড়ক দূর্ঘটামুক্ত বাংলাদেশ গড়ি”

 -{@ সকল অভিযোগ ভেঙ্গে মালিক/প্রশাসন আমাদের নির্বিগ্ন যাতায়াতে সুবিদা দিবেন এটাই আশা করি।
“চাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি”

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
-{@  -{@  -{@ সবাইকে অগ্রীম ঈদ মোবারক -{@  -{@  -{@ 

 কৃজ্ঞতায়
রাইজিংবিডি.কম
অনলাইন

৭২৪জন ৭২৪জন
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ