চেতনা-১৯৭১-ইমেজ
চেতনা-১৯৭১- নদী ও নৌকার দেশ বাংলাদেশ

বাতাসে শারদীয়া উতসবের গন্ধের সঙ্গেই এসে মিশেছে জ্বিলহজ্ব মাসের পবিত্র হজ্বব্রতের “লাব্বায়িক আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক” ধ্বনিও। আজ সৌদিতে ছাব্বিশ লক্ষের বেশি মুসলমান আল্লাহ-র রহমতের নেয়ামত হিসেবে এককাতারে দাঁড়িয়ে ঈদ-উল-আজহা-র নামাজ শেষে কুরবাণীর ফরজ আদায়ে শুকরিয়া আদায় করে হজ্বব্রতের শিক্ষা নিয়েই যে যার গন্তব্যে ফিরে যাবেন। তাঁরা সেথায় আল্লাহ-র কুরআনের নির্দেশ অভিন্নভাবে মেনেছেন। মীনায় প্রতীকি প্রস্তর ছুঁড়েছেন শয়তানকে বিতাড়ন করতে। যদিও অন্তর হতে শয়তানের শয়তানি কতটা বিতাড়ন সম্ভব সেই প্রশ্নটি আসে।

সমগ্র বিশ্বে মুসলমান আজ তাদের অন্ধ ধর্মান্ধ উগ্রবাদের ঔদ্ধত্বে নিন্দনীয় অবস্থানেই। অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ এই বাংলাদেশের হাজার বছরের সকল ধর্মের পারস্পরিক সৌহার্দ্যের ঐতিহ্য বিনষ্ট ধর্মের নামধারী অধর্মকারী দলের দৌরাত্মে। তারা বিগত কয়েক বছর ধরে ধর্মীয় সম্পীতি বিনষ্ট করে একাত্তুরের মহান চেতনা ধ্বংসের জন্য মরিয়া। বিরোধীতার নামেই তারা দেশ ও দশের সম্পদ ধ্বংসের জ্বালাও-পোড়াও কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বহুবিধ উস্কানীময় পরিকল্পনায় মত্ত-উন্মত্ত। কিন্তু, তারপরেও আজকের তরুণ প্রজন্ম অনেক সচেতন বলেই তারা একাত্তুরের চেতনার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। এই তরুণ প্রজন্মই আসছে দিনের সৈনিক রূপে চেতনাবিরোধীদের হটাবে একদিন। এমন বিশ্বাসেই আজও বেঁচে রয়েছে আমাদের মতোন কালের স্বাক্ষীরা। সেই দিনটি দেখে মরেও সুখ। তারই স্বপ্নে কী-বোর্ডে আঙুল চালিয়ে লিখি পঙক্তিমালা। আগামী কাল বাংলাদেশের মুসলমান পালন করবে ঈদ-উল-আজহা-র নামাজ শেষে পবিত্র কুরবাণী। বাংলাদেশের মানুষ যেন অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ বিসর্জন দিয়েই কুরবাণী-র আদর্শগত ত্যাগের শিক্ষাটি নিয়ে দেশকে অগ্রসরমান ধারায়, চেতনার মহান ঐতিহ্যে এগিয়ে দিতে শপথ নেয় – প্রার্থনা এই। একই সঙ্গে আমার সদ্যলেখা পঙক্তি শুভেচ্ছা হিসেবে শেয়ার করছি।

 

অজবিথীকা আজও টানে …

পিছুটানময় অজস্র আশ্চর্য গানে!

তারই ছায়ান্ধ গন্ধে …

তুমুল রঙের সঙ্গে সখ্যতায় কাটাই সকালসন্ধে!

অসুখবিসুখ তুচ্ছ তারই পড়ন্ত শত তুলোমেঘের মায়াবী ঘোরে …

পাঁজরজাগা গানের সুরেসুরে!

গানগুলি যে ডুবেই যেতো মিথ্যাচারের কুটিল কালো স্রোতে …

ভাগ্যিশ জন্মেছিলাম সত্যবদ্ধ কালের অপাপবিদ্ধ রক্তগর্ভপাতে!

বাংলামায়ের সেই মহাকাল সেই মহতি উথালপাথাল গণজোয়ার …

কেউ দেখেনি জগতলোকে মুক্তিকামী বজ্রশপথ নেতার!

যে যা বলুক মিথ্যুক আর বিভ্রান্ত নিন্দুক বিশ্ব জানে এদেশটা কার দান –

কার ডাকে সাড়ে সাতকোটির হৃদয়ে বেজেছিলো অজর মুক্তির গান!

এই যে গানের কথা লেখামাত্র মরাগাঙেও জোয়ার এলো –

এইতো বলার ছিলো বলেই অকালমৃত অস্থিমজ্জাতেও গান এলো!

সে গানগুলি পঙক্তিঘোরে উড়েউড়ে –

শুধোয় হৃদয় জুড়ে – “কিগো মনে পড়ে?”

তখন গহন জলেস্থলে একাত্তুরের ঝংকৃত ঢেউ আসে ফিরে –

তখন গহন স্বপ্নপোড়া রক্তগানে চেতনারা আসে ফিরে।।

১৫ অক্টোবর ২০১৩ ইং


৭২৮জন ৭২৮জন
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ