আকাশের রঙ পাল্টে যায় –
প্রতিটি বেগোনভিলিয়ার মতো, অ-সুখী বেগুনি,
অথচ তার বুকের ভেতর রঙহীন সাদা।
প্রতিটি বিষন্নতা গন্ধফুলের পরাগরেনু মেখে
ছুয়েঁ দিতে চায় দিন, দেখেনা আকাশচুরি হয়ে গেছে।
নীল নেই আর, বুকের কাছে মৃত চড়াই –
শক্ত হিম পাখায় সাবেক স্বাধীনতার ঘ্রাণ।
উচ্ছসিত আলোর ছটায় মগ্ন সকলই –
বেগোনভিলিয়ার বুকের রঙের আকাল,
চড়াইয়ের মৃত উল্লাস, বিপন্ন আকাশ;
বীপরিতে, জানালায় জেগে থাকে আলো
সাঁঝরাত, মাঝরাত, ধলপহরে –
সাঁওতালী মাদলের মতো বেজে যায়,
এক ঘর, এক বাড়ি, একটাই জানালা ; পাশাপাশি
তবু চুপচাপ মাঝরাতে কেদে ওঠে কেন জলরাশি।
১৫টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
ওই জলরাশির হা হা কারে মৃদু বাতাস খেলা করে। ঢেউ ওঠে।
আমার এক আকাশ চুরি হলে দোষ কি বলো!
সে তো ছিল তবু ছিল না উড়ার ডানা আমার।
নীল তাই ছুঁই নি আমি। হয়ত চেয়েছি ছুঁয়ে দিতে। ডানা কৈ ছুবো তাকে!
চমৎকার লাগলো কবিতা। আপনি ভাল লেখেন তা জানি। শিখতে চাই, লিখুন তাই বেশি করে।
ভাল থাকুন শুভকামনা রইলো।
আগুন রঙের শিমুল
আকাশ যে চুরি হয়েছে তা অনেকের বোঝা হয়না এক জীবনে, খাচার মাপের ওড়াউড়িতেই সন্তুষ্ট অধিকাংশ … আর অল্পসংখ্যক আক্ষেপ করে, আহা আমারও একটা বুনো আকাশ ছিলো 🙂
ধন্যবাদ আপনাকেও
সৈয়দ আলী উল আমিন
কবিতাটি আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে।
আগুন রঙের শিমুল
ভালোবাসা জানবেন 🙂
প্রহেলিকা
নীল নেই আর, বুকের কাছে মৃত চড়াই –
শক্ত হিম পাখায় সাবেক স্বাধীনতার ঘ্রাণ।
বিশেষ করে এই দু’লাইনে অনেকক্ষণ ঘুরপাক খেয়েছি। লাভ ইট।
আগুন রঙের শিমুল
বিহোল্ড, দাউ আর্ট অব ফেয়ার 🙂
শুন্য শুন্যালয়
পুরোটাতেই তো জলরাশির কান্না টের পেলাম, তবু তবু কেন?
মধ্যরাতে এক ঘর, এক জানলা জেগে আছে। f stop less than 2 তে একটা রাতের ল্যান্ডস্কেপ তাতে শুধুই একটি জানলা। জানলায় কোন জলের মুখ হলে আরো ভালো হয়। কেমন হবে? এই কবিতার চেয়েও সুন্দর?
আগুন রঙের শিমুল
জলের পাখি উড়ে গেলে জল পরে থাকে, অন্ধকারে একা। তাই জেগে থাকি জানলার মতো খোলা … প্রাত্যহিক জীবনের নিয়ম মেনে বাঁচি, ভালোবাসি, দুঃখ পাই, হাসি … ভালো আছি 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপনার কষ্টের দিন রাত সপ্তাহ, আমি পড়ে বলে উঠলাম, বাহ্।
ব্লগার সজীব
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়তেই থাকি পড়তেই থাকি। বিষণ্ণতায়ও কেমন এক ধরনের আনন্দ থাকে, আপনার লেখাগুলো এমন।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ সজীব (3
নীলাঞ্জনা নীলা
বিষণ্ণতাও এতো সুন্দর হয়! আপনার এই কবিতা না পড়লে জানতামই না।
সত্যি বলছি মনের গভীরে নাড়া দিয়েছে প্রতিটি পংক্তি।
আগুন রঙের শিমুল
আপনার মন্তব্যের কি জবাব দেব বুঝতেছিনা 🙂 কাচুমাচু মুখের একটা ইমু থাকলে জবাব দেয়া সহজ হতো।
মেহেরী তাজ
জলরাশি রা এতো কাঁদে কেনো?
কবিতা বলেই নয় তো? ;?
আগুন রঙের শিমুল
হু, মনেহয় কবিতা বলেই।
নাহলে জলের কান্না জলেই মিশে যায়, কারও তা দেখতে পাবার কথা নয় 🙂